বিদেশে কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নে প্রবাসী চীনাদের প্রয়াস
2024-05-13 15:58:32

চীনের ফুচিয়ান প্রদেশ ছিল প্রাচীনকালে সামুদ্রিক রেশমপথের আরম্ভবিন্দু। তাই, অতীতে বিদেশে বসবাসকারী প্রবাসী চীনাদের মধ্যে অনেকের জন্মস্থান ফুচিয়ান প্রদেশ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগের আওতায় কারিগরি শিক্ষাসংশ্লিষ্ট প্রকল্পও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে, প্রবাসী চীনারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দক্ষ ব্যক্তিদের চাহিদা বিবেচনা করে, সংশ্লিষ্ট দেশের সাথে কারিগরি প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করেছে; যৌথভাবে চীনের কারিগরি শিক্ষার প্রাধান্য ও প্রতিযোগিতা-শক্তি উন্নত করেছে। আজকের অনুষ্ঠানে আমরা সংবাদদাতার সাক্ষাত্কারের ভিত্তিতে, বিভিন্ন দেশে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে চীনের সহযোগিতার কিছু প্রকল্প নিয়ে কথা বলব।

 

ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় চীনা ভাষা শেখার প্রতিষ্ঠান চীনের ফুচিয়ান লিমিং কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। ইন্দোনেশিয়ার এ কারিগরি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী চেয়ারম্যান ছাই ছাং চিয়ের পূর্বপুরুষ চীনের হাইনান প্রদেশের, যিনি ১৯৪৭ সালে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ছোটবেলা থেকে চীনা ভাষা শিখতে শুরু করেন। ২০০০ সালে স্থানীয় বন্ধুদের সাথে যৌথভাবে জাকার্তা চীনা ভাষা শেখার প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন তিনি এবং টানা ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইন্দোনেশিয়ায় চীনা ভাষা শেখাচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে তার প্রতিষ্ঠান ব্যাপক অবদান রেখেছে। বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ায় এ প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে ৫০টিরও বেশি চীনা ভাষার এইচএসকে পরীক্ষাকেন্দ্র চালু আছে।

 

২০১৯ সাল থেকে এ প্রতিষ্ঠান ফুচিয়ান লিমিং কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চীনা ভাষা আদান-প্রদান ও সহযোগিতা কেন্দ্রের সাথে ‘চীনা ব্রিজ’ প্রতিযোগিতা আয়োজন করছে এবং ইন্দোনেশিয়ায় ‘চীনা ব্রিজ’ প্রকল্পের সাথে জড়িত কর্মীদের চীন সফরে সহায়তা দিয়ে থাকে।

 

গত কয়েক বছরে ইন্দোনেশিয়ায় আসা ভ্রমণকারীদের মধ্যে চীনা পর্যটকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল। গত কয়েক বছরে ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া প্রদেশ স্থানীয় পর্যটন শিল্পকে কাজে লাগিয়ে অর্থনীতি উন্নয়নের চেষ্টা করছে এবং চীনের সাথে সংশ্লিষ্ট খাতে সহযোগিতা করতে আগ্রহী। দু’পক্ষের যৌথ প্রয়াসে ইন্দোনেশিয়ায় আরও বেশি পর্যটন খাতের দক্ষ ব্যক্তি প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন। এর উদ্দেশ্য, আরও বেশি চীনা পর্যটককে আকর্ষণ করা।

 

২০১৯ সালে লিমিং (ইন্দোনেশিয়া) একাডেমি জাকার্তার চীনা ভাষা শেখা প্রতিষ্ঠানে শাখা অফিস স্থাপন করে এবং জনাব ছাই একাডেমির বিদেশি প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে থাকেন। তখন পাপুয়া প্রদেশের সরকার, জাকার্তা চীনা ভাষা শেখা প্রতিষ্ঠান এবং লিমিং কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে ‘চীনা ভাষা প্লাস পর্যটন ব্যবস্থাপনা’ এবং ‘চীনা ভাষা প্লাস বিজ্ঞাপন ডিজাইন’-সহ পেশাদার প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করে।

 

বস্তুত বৈশিষ্ট্যময় কারিগরি শিক্ষাকে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে চীনের ফুচিয়ান প্রদেশ। ২০২১ সালে কারিগরি স্কুল ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগসংলগ্ন দেশ ও অঞ্চলে শাখা স্কুল নির্মাণের পরিকল্পনা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে। এ সম্পর্কে লিমিং কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক বিনিময় কেন্দ্রের প্রধান লিন ইয়াং বলেন, বিদেশে বসবাসকারী প্রবাসী চীনারা চীনের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন। তাঁরা বিনিময়ের সহযোগী। প্রবাসী চীনারা স্থানীয় অঞ্চলের সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে ভালো জানেন এবং চীনের স্কুলের উপযোগী শিক্ষক ও শিক্ষাসম্পদ পাঠিয়ে দিতে সাহায্য করেন। এভাবে বিদেশে কারিগরি শিক্ষার মান উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে।

 

মালিয়েশিয়ার চিনচিয়াং কমিউনিটি ফেডারেশন এবং চীনের কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতার সাথে ফেডারেশনের প্রধানের চীন সফরের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ২০১৫ সালে ফেডারেশনের প্রধান হুয়াং তুং হাই ৫২ জন কিশোর-কিশোরী নিয়ে চীনের ফুচিয়ান প্রদেশের চিনচিয়াং শহরে শীতকালীন ক্যাম্পে যোগ দেন। তখন এ শীতকালীন ক্যাম্পের প্রধান আয়োজক ছিল ছুয়ানচৌ হাল্কা শিল্প কারিগরি একাডেমি। একাডেমি পরিদর্শনের পর এখানকার সমৃদ্ধ কারিগরি দক্ষতার প্রশিক্ষণ কোর্স হুয়াংয়ের মনে গভীর দাগ কাটে।

 

এ সম্পর্কে তিনি বলেন, কাঠমিস্ত্রি প্লাস প্রক্রিয়াকরণ প্রযুক্তি, ইলেকট্রনিক ও ইলেকট্রিক্যাল প্রযুক্তি, স্থাপত্য প্রকৌশল প্রযুক্তি এবং লজিস্টিক ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্স বেশ দরকারি। যদি মালিয়েশিয়ার শিক্ষার্থীরা এসব প্রযুক্তি শিখতে পারে এবং চীনের সংশ্লিষ্ট উন্নত অভিজ্ঞতা অর্জন করে, তাহলে তাদের কর্মসংস্থান ও উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ বাড়বে। এ চিন্তাভাবনায় জনাব কুয়াং তুং হাই ছুয়ানচৌ কারিগরি একাডেমির সাথে কয়েকবার আলোচনা করেন এবং তাঁর এ প্রস্তাব ছুয়ানচৌ কারিগরি একাডেমির বিদেশে শাখা স্কুল স্থাপনের পরিকল্পনার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। ফলে দু’পক্ষের যৌথ প্রয়াসে এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হয়।

 

২০১৭ সালে ছুয়ানচৌ হাল্কা শিল্প কারিগরি একাডেমি এবং মালিয়েশিয়ার চিনচিয়াং কমিউনিটি ফেডারেশনের সাথে সহযোগিতা শুরু হয়। তারা মালিয়েশিয়ায় শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা শুরু করে। জনাব হুয়াং মালিয়েশিয়ার বিভিন্ন প্রদেশ ও অঙ্গরাজ্যে গিয়ে স্থানীয় চীনা ভাষা স্কুল ও প্রবাসী কমিউনিটির সাথে দেখা করেন এবং শিক্ষার্থী ভর্তি নিয়ে কয়েকবার সেমিনার আয়োজন করেন।

 

চীনের কারিগরি শিক্ষা মালিয়েশিয়ার যুব সমাজে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। সংশ্লিষ্ট কারিগরি শিক্ষা খাতে সহযোগিতাব্যবস্থা চালু করার পর, মোট ১০৭ জন মালিয়েশিয়ান শিক্ষার্থী চীনের কারিগরি একাডেমির শাখা স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্নাতক হওয়ার পর মালিয়েশিয়ায় চীনা কোম্পানিতে চাকরি পেয়েছেন এবং কেউ কেউ ছুয়ানচৌ শহরের শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ পেয়েছেন।

 

এ সম্পর্কে ছুয়ানচৌ হাল্কা শিল্প কারিগরি একাডেমির আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান হ্য চেন পেং বলেন, বিদেশে প্রবাসী চীনাদের সহায়তায়, চীনের কারিগরি স্কুলের বিদেশে শাখা স্কুল স্থাপনে অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে।

 

বিদেশি শিক্ষার্থীদের চীনে পড়াশোনা করতে আসার প্রবণতা বাড়ার সাথে সাথে, বিদেশে কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নও অব্যাহত রয়েছে। ২০২০ সালে ছুয়াংচৌ হাল্কা শিল্প কারিগরি একাডেমি, মালিয়েশিয়ার চিনচিয়াং কমিউনিটি ফেডারেশন এবং ছুয়ানচৌ শহরের ইন্টারনেট বাণিজ্য পরিষদের যৌথ উদ্যোগে, ‘মালিয়েশিয়ায় আন্তঃদেশীয় ইলেকট্রনিক ব্যবসার কারিগরি প্রশিক্ষণ’ চালু হয়, যা মালিয়েশিয়ার যুবক-যুবতীদের আকর্ষণ করে। কারণ, তারা ইলেকট্রনিক ব্যবসা করতে চায়। টিকটক দোকান পরিচালনা, ভিডিওতে অনলাইনে পণ্যদ্রব্য বিক্রি করার টিপসসহ বিভিন্ন বিষয় রয়েছে এ প্রশিক্ষণ কোর্সে এবং তা মালিয়েশিয়ার শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়।

 

তা ছাড়া, ছুয়ানচৌ হাল্কা শিল্প একাডেমি অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইন্দোনেশিয়া ও জাপানে অবস্থানরত চিনচিয়াং কমিউনিটি ফেডারেশনের সাথে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক স্থাপন করেছে, এমন দেশে তাদের কারিগরি প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করতে চেষ্টা করেছে।

 

২০২৩ সালের মার্চ মাসে ছুয়ানচৌ কারিগরি একাডেমি মালিয়েশিয়ার আরও ৪টি চীনা ভাষা শেখার স্কুলের সাথে ‘সামুদ্রিক রেশমপথ একাডেমি’র ডিজিটাল দক্ষতা প্রশিক্ষণ ক্লাস চালু করে, যাতে স্থানীয় ২৫৫ জন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর জন্য ডিজাটাল প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

 

কারিগরি শিক্ষা সহযোগিতার ভিত্তিতে নতুন ধরনের সহযোগিতাও সম্প্রসারিত হচ্ছে। জনাব হুয়াং বলেন, এখন আরও বেশি মালিয়েশিয়ান শিক্ষার্থী ছুয়ানচৌ হাল্কা শিল্প কারিগরি একাডেমিতে পড়াশোনা করছে; স্কুলে মালিয়েশিয়ার ঐতিহ্যিক ড্রামিং দল গঠিত হয়েছে। ছুয়ানচৌ একাডেমির এ ড্রামিং দলে মালিয়েশিয়া ও চীনা ছাত্রছাত্রী রয়েছে, যারা সবসময় চিনচিয়াংতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেয়।

 

এসব উদ্যোগের মাধ্যমে চীন ও মালিয়েশিয়ার মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় বেড়েছে এবং মানুষে-মানুষে যোগাযোগ ও আদান-প্রদান জোরদার হয়েছে। এটি এক ধরনের নতুন সাফল্য।

 

স্থানীয় প্রবাসী চীনাদের সহায়তায় ফুচিয়ান প্রদেশের আন্তর্জাতিক কারিগরি শিক্ষা সহযোগিতা আরও অনেক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। কিরগিজস্তানের মধ্য এশিয়া ফুচিয়ান ব্যবসা সমিতির মহাপরিচালক লিন চিন তিয়ান প্রতিদিন ব্যস্ততার মধ্যে কাজ করে থাকেন। এ দেশে লিমিং সামুদ্রিক রেশমপথ একাডেমির ‘আন্তঃদেশীয় ইলেকট্রনিক ব্যবসা প্রশিক্ষণ কোর্স’ চালু করতে তিনি কিরগিজস্তানের রাষ্ট্রীয় প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কয়েক দফা আলোচনায় বসেন।

 

জনাব লিনের জন্মস্থান ফুচিয়ান প্রদেশের ছুয়ানচৌ শহরে। ২০ বছর আগে তিনি কিরগিজস্তানে আসেন এবং পণ্যদ্রব্যের আমদানি ও রপ্তানি ব্যবসা শুরু করেন। কিরগিজস্থানে ফুচিয়ান ব্যবসা সমিতির মহাপরিচালক হিসেবে তিনি স্থানীয় শতাধিক চীনা শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ রাখেন।

 

গত কয়েক বছরে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগের কারণে, কিরগিজস্তানে ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে। অনেক চীনা শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থানীয় অর্থনীতির উন্নয়নে নিজ নিজ অবদান রাখছে। তাদের মধ্যে অনেকে পোশাক, জ্বালানি সম্পদ, পর্যটন ও ইলেকট্রনিক ব্যবসার সাথে জড়িত। সংশ্লিষ্ট শিল্পের দ্রুত উন্নয়নে অনেক দক্ষ ব্যক্তির প্রয়োজন। বর্তমানে কিরগিজস্তান আর প্রতিবেশী দেশগুলোতে পোশাক ডিজাইন ও উত্পাদন, সেলাই সরঞ্জাম মেরামত, খনিজ শিল্পপ্রতিষ্ঠানের উত্পাদন ও ব্যবস্থাপনা, খনিজ সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতির মেরামতসহ বিভিন্ন খাতে দক্ষ ব্যক্তির অভাব দেখা যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে চীনা শিল্পপ্রতিষ্ঠান, স্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও কোম্পানি এবং বিভিন্ন ব্যবসা সমিতিগুলো আশা করছে যে, যত দ্রুত সম্ভব নির্দিষ্টভাবে দক্ষ ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে, যাতে শিল্পের উন্নয়ন ও স্থানীয় কর্মসংস্থানের চাহিদা মেটানো সম্ভব হয়।

২০২২ সালের শেষ দিকে যখন লিন জন্মস্থানে ফিরে আসেন, তখন ফুচিয়ান প্রদেশের বিদেশে ‘সামুদ্রিক রেশমপথ একাডেমি’ স্থাপনের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানেন। তারপর তিনি কিরগিজস্তানে এ একাডেমি নির্মাণের ধারণা পেশ করেন।

 

২০২৩ সালের বসন্ত উত্সবের পর ছুয়ানচৌ প্রবাসী চীনা ফেডারেশনের সুপারিশে তিনি লিমিং কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগ করেন। দু’পক্ষের যৌথ প্রয়াসে কম সময়ের মধ্যে সহযোগিতামূলক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। একই বছরের ৮ জুলাই লিমিং (মধ্য-এশিয়া) সামুদ্রিক রেশমপথ একাডেমি গড়ে তোলার কাজ শুরু হয় এবং লিমিং কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় কিরগিজস্তানের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সহযোগিতার সম্পর্ক স্থাপন করে।

 

দু’দেশের বাস্তব সহযোগিতা জোরদারে বিভিন্ন  খাতে উপযোগী দক্ষ ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া অতি গুরুত্বপূর্ণ কাজ, যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দীর্ঘকালীন উন্নয়ন আর দু’দেশের বাস্তব সহযোগিতায় প্রয়োজনীয় দক্ষ ব্যক্তির চাহিদা মেটাতে পারে। এমন উদ্যোগের মাধ্যমে আরও বেশি ধরনের কারিগরি প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করা হবে, যা হবে স্থানীয় বাসিন্দাদের কর্মদক্ষতার উন্নয়নে সহায়ক।

 

জনাব লিন আরও বলেন, বর্তমানে লিমিং (মধ্য-এশিয়া) সামুদ্রিক রেশমপথ একাডেমিতে ‘সবুজ জ্বালানিসম্পদ গাড়ির মেরামত’, ‘আন্তঃদেশীয় ই-কমার্স’, ‘পোশাক ডিজাইন’ আর ‘পর্যটন চীনা ভাষা’-সহ বিভিন্ন ক্লাস চালু হযেছে। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের দক্ষ ব্যক্তির চাহিদা মেটানো যাবে।

 

লিন আরও বলেন, স্থানীয় কর্মীরা আরও বেশি কর্মদক্ষতা অর্জন করায় তাদের মাসিক বেতনও দ্রুত বেড়েছে। তাই তাঁরা সহজে শিল্পপ্রতিষ্ঠান ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে চান না। এ প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে কিরগিজস্তানের কয়েক ডজন চীনা শিল্পপ্রতিষ্ঠান একাডেমির সাথে দক্ষ ব্যক্তিদের নির্দিষ্ট প্রশিক্ষণ কোর্স চালুর ক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে। তাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ কর্মীরা স্নাতক হওয়ার পর ফুচিয়ান লিমিং কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগও পাবে।

(সুবর্ণা/আলিম/রুবি)