প্যারিসে চীন-ফ্রান্স যুব-সংলাপ প্রসঙ্গ
2024-05-06 16:34:26

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ফ্রান্স সফরে যান স্থানীয় সময় ৫ মে। এদিন চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি), প্যারিস রাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সংগঠন, এবং চীনের চিনান বিশ্ববিদ্যালয়, যৌথভাবে প্যারিসে আয়োজন করে ‘চীনা বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়ন ও চীন-ফ্রান্স যুব-সংলাপ’ শীর্ষক সেমিনারের।

চীনের সিপিসি’র কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার বিভাগের উপ-প্রধান ও চায়না মিডিয়া গ্রুপের মহাপরিচালক শেন হাই শিয়োং, প্রাক্তন ফরাসি প্রতিমন্ত্রী, সংস্কৃতি ও শিক্ষামন্ত্রী, প্রাক্তন ফরাসি রাষ্ট্রদূত সিলভি বারম্যান, প্যারিস রাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই-এর প্রতিনিধি ও ফ্রান্সের ন্যাশনাল একাডেমি অফ টেকনোলজিসের শিক্ষাবিদ, এবং প্যারিসে জাতিসংঘের আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কমিটির চেয়ারম্যান সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।

ফরাসি ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ফ্রান্স-চীন ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ও ফরাসি সিনেটের ফ্রান্স-চীন ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের সিনেটর বৈঠকে অংশগ্রহণকারীদের সামনে একটি বিশেষ প্রতিবেদন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেন। প্রতিবেদনে চীনা বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়ন নিয়ে আলোচনা করা হয়। এতে পারস্পরিক বিনিময়ের মাধ্যমে দু’দেশের যুবসমাজের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা বাড়ানো এবং চীন-ফ্রান্স বন্ধুত্বকে মজবুত করার কথা বলা হয়েছে।

এ সময় শেন হাই শিয়োং বলেন, ৬০ বছর আগে চীন ও ফ্রান্সের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে, উভয় দেশ পরস্পরকে সম্মান দিয়ে এসেছে এবং দু’দেশের সহযোগিতায় বিশেষ সাফল্যও অর্জিত হয়েছে। চীন ও ফ্রান্সের যুবসমাজ মানবজাতির অভিন্ন ভবিষ্যতের জন্য অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়।

ফ্রান্সের সাবেক প্রতিমন্ত্রী বলেন, “৬০ বছর আগে ফ্রান্স ও চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা ছিল স্বপ্নদর্শী ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। চীনের যে কেবল সমৃদ্ধ প্রাচীন সভ্যতা রয়েছে, তা নয়; বরং বিশ্বের আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিও রয়েছে। আজকাল চীন বৈশ্বিক মঞ্চে আগের যে-কোনো সময়ের তুলনায় অধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। ফ্রান্স ও চীনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আর্থ-বাণিজ্যিক যোগাযোগ, মানবিক তত্পরতা, এবং যুব বিনিময়সহ বিভিন্ন সহযোগিতা আরও জোরদারের প্রত্যাশায় রইলাম। বিশেষ করে, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের বিনিময় অব্যাহতভাবে দু’দেশের সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক গভীরতর করার জন্য দৃঢ় ভিত্তি সৃষ্টি করতে পারে। এবারের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি) কর্তৃক আমন্ত্রিত হয়ে দু’জন ফরাসি সাংস্কৃতিক দূত চীনে আসেন। চীনা ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি রক্ষা ও আধুনিক বৈজ্ঞানিক উন্নয়ন সম্পর্কে তাঁরা ভালোভাবে জেনেছেন, অনুভব করেছেন। দু’দেশের আরও বেশি যুবক-যুবতী সংলাপের মাধ্যমে যৌথভাবে ফ্রান্স ও চীনের মৈত্রী গভীরতর করবে এবং বিশ্বের বিভিন্ন সভ্যতার বিনিময় ও পারস্পরিক শিক্ষাকাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশা করা যায়।”

ফরাসি রাষ্ট্রীয় বিজ্ঞান একাডেমির প্রধান বলেন, “ফ্রান্স ও চীনের যুবক-যুবতীদের পারস্পরিক আতিথেয়তা ও মৈত্রীর মাধ্যমে বিনিময় ও সহযোগিতা চালানোর বিষয়টি দেখে আমি ভীষণ আনন্দিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, ফ্রান্স ও চীনের মধ্যে সহযোগিতা ও বিনিময় ক্রমশ বেড়েছে, যোগাযোও আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে। চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি থেকে বছরব্যাপী কার্যক্রম আয়োজন করেছে প্যারিস রাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সমিতি। এটা চীনের সাথে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী মৈত্রীর জন্য নতুন চালিকাশক্তি যোগানোর প্রচেষ্টা।”

প্যারিস জাতিসংঘ স্কুল কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, “ফ্রান্স ও চীনের মধ্য দূরন্ত্ব হাজার হাজার মাইলের হলেও, সুদীর্ঘকালের সংস্কৃতি ও ইতিহাস পরস্পরকে আকর্ষণ করে। চলতি বছর দু’দেশের মধ্যে সংস্কৃতি ও পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতায় আরও বেশি সাফল্য অর্জিত হবে বলে আশা করা যায়। বর্তমানে দু’পক্ষ স্পষ্টভাবেই দেখছে যে, বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে; তারা ‘প্যারিস চুক্তি’ এবং ‘জীববৈচিত্র্য কনভেশন’-এর জন্য নিজেদের প্রচেষ্টাও চালিয়েছে। জাতিসংঘকে কেন্দ্র করে, আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার সম্মান ও রক্ষার কাজ করে যাচ্ছে দু’দেশ। দু’দেশের তরুণ-তরুণীদের একতার শক্তি বিশাল ও প্রবল। ঐক্যের মাধ্যমেই কেবল আরও সুন্দর বিশ্ব গড়ে তোলা যাবে এবং আরও সুন্দর ভবিষ্যত সৃষ্টি করা যাবে।”

কার্যক্রম চলাকালে সিএমজি ও প্যারিস রাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সমিতির মধ্যে, ‘সিএমজি ও প্যারিস রাজনীতি বিশ্ববিদ্যালযের প্রাক্তন ছাত্র সমিতির সহযোগিতামূলক সমঝোতা স্মারক’ স্বাক্ষরিত হয়। 

ফ্রান্সের সাবেক প্রতিমন্ত্রী বলেন, “৬০ বছর আগে ফ্রান্স ও চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা ছিল স্বপ্নদর্শী ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। চীনের যে কেবল সমৃদ্ধ প্রাচীন সভ্যতা রয়েছে, তা নয়; বরং বিশ্বের আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিও রয়েছে। আজকাল চীন বৈশ্বিক মঞ্চে আগের যে-কোনো সময়ের তুলনায় অধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। ফ্রান্স ও চীনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আর্থ-বাণিজ্যিক যোগাযোগ, মানবিক তত্পরতা, এবং যুব বিনিময়সহ বিভিন্ন সহযোগিতা আরও জোরদারের প্রত্যাশায় রইলাম। বিশেষ করে, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের বিনিময় অব্যাহতভাবে দু’দেশের সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক গভীরতর করার জন্য দৃঢ় ভিত্তি সৃষ্টি করতে পারে। এবারের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি) কর্তৃক আমন্ত্রিত হয়ে দু’জন ফরাসি সাংস্কৃতিক দূত চীনে আসেন। চীনা ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি রক্ষা ও আধুনিক বৈজ্ঞানিক উন্নয়ন সম্পর্কে তাঁরা ভালোভাবে জেনেছেন, অনুভব করেছেন। দু’দেশের আরও বেশি যুবক-যুবতী সংলাপের মাধ্যমে যৌথভাবে ফ্রান্স ও চীনের মৈত্রী গভীরতর করবে এবং বিশ্বের বিভিন্ন সভ্যতার বিনিময় ও পারস্পরিক শিক্ষাকাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশা করা যায়।”

ফরাসি রাষ্ট্রীয় বিজ্ঞান একাডেমির প্রধান বলেন, “ফ্রান্স ও চীনের যুবক-যুবতীদের পারস্পরিক আতিথেয়তা ও মৈত্রীর মাধ্যমে বিনিময় ও সহযোগিতা চালানোর বিষয়টি দেখে আমি ভীষণ আনন্দিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, ফ্রান্স ও চীনের মধ্যে সহযোগিতা ও বিনিময় ক্রমশ বেড়েছে, যোগাযোও আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে। চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি থেকে বছরব্যাপী কার্যক্রম আয়োজন করেছে প্যারিস রাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সমিতি। এটা চীনের সাথে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী মৈত্রীর জন্য নতুন চালিকাশক্তি যোগানোর প্রচেষ্টা।”

প্যারিস জাতিসংঘ স্কুল কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, “ফ্রান্স ও চীনের মধ্য দূরন্ত্ব হাজার হাজার মাইলের হলেও, সুদীর্ঘকালের সংস্কৃতি ও ইতিহাস পরস্পরকে আকর্ষণ করে। চলতি বছর দু’দেশের মধ্যে সংস্কৃতি ও পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতায় আরও বেশি সাফল্য অর্জিত হবে বলে আশা করা যায়। বর্তমানে দু’পক্ষ স্পষ্টভাবেই দেখছে যে, বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে; তারা ‘প্যারিস চুক্তি’ এবং ‘জীববৈচিত্র্য কনভেশন’-এর জন্য নিজেদের প্রচেষ্টাও চালিয়েছে। জাতিসংঘকে কেন্দ্র করে, আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার সম্মান ও রক্ষার কাজ করে যাচ্ছে দু’দেশ। দু’দেশের তরুণ-তরুণীদের একতার শক্তি বিশাল ও প্রবল। ঐক্যের মাধ্যমেই কেবল আরও সুন্দর বিশ্ব গড়ে তোলা যাবে এবং আরও সুন্দর ভবিষ্যত সৃষ্টি করা যাবে।”

কার্যক্রম চলাকালে সিএমজি ও প্যারিস রাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সমিতির মধ্যে, ‘সিএমজি ও প্যারিস রাজনীতি বিশ্ববিদ্যালযের প্রাক্তন ছাত্র সমিতির সহযোগিতামূলক সমঝোতা স্মারক’ স্বাক্ষরিত হয়। 

(অনুপমা/ওয়াং হাইমান/আলিম/ছাই)