সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডের ‘নিউ জুরিখ টাইমস’ পত্রিকায় প্রকাশিত এক ভাষ্যে বলা হয়েছে, যদি প্রতিটি দেশ কেবল নিজের জন্য পণ্য উত্পাদন করে, তাহলে বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রশ্নের বাইরে চলে যাবে। পত্রিকাটি মনে করে, চীনের “অত্যধিক উত্পাদন ক্ষমতা” ঘিরে পশ্চিমা দেশের সমালোচনা আসলে কপটতা ও দূরদৃষ্টিহীনতার প্রতিফলন।
‘নিউ জুরিখ টাইমস’ পত্রিকা সুইজারল্যান্ডের বৃহত্তম সংবাদপত্রগুলোর অন্যতম। পাশাপাশি জার্মান-ভাষী অঞ্চলের প্রভাবশালী মূলধারার মিডিয়াগুলোরও অন্যতম। ১৯ এপ্রিলে পত্রিকার প্রধান অর্থনীতিবিদ পিটার ফিশার “চীনের ‘অত্যধিক উত্পাদন ক্ষমতা’: পশ্চিমের সমালোচনা আসলে কপটতা ও দূরদৃষ্টিহীনতা” শীর্ষক ভাষ্যে বর্তমানে বৈদ্যুতিক গাড়িসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের “চীনের অত্যধিক উত্পাদন ক্ষমতা তত্ত্ব” উল্লেখ করেছেন।
তিনি জিজ্ঞাস করেছেন: “অত্যধিক উত্পাদন ক্ষমতা আসলে কী”? পশ্চিমা দেশগুলো এশিয়ায় পণ্য রপ্তানি করে। এটা কী এক ধরনের অত্যধিক উত্পাদন ক্ষমতা? প্রতিটি দেশ যদি শুধু নিজের দেশের বাজারের জন্য পণ্য উত্পাদন করে, তাহলে বৈশ্বিক বাণিজ্য কোথা থেকে শুরু হবে?
তথাকথিত ভর্তুকির মাধ্যমে চীনা প্রতিষ্ঠানের প্রাধান্য অর্জন করা সংক্রান্ত বিতর্কের ব্যাপারে তিনি বলেন, অভিযোগটি খুবই কপটতাপূর্ণ। তিনি সুইজারল্যান্ডের সেন্ট গ্যালেন বিশ্ববিদ্যালয় (এইচএসজি)-এর বাণিজ্য সতর্কতা ডেটাবেসের পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে বলেন, সংশ্লিষ্ট পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ভর্তুকি ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর চেয়ে অনেক বেশি। কিন্তু চীনের ভর্তুকিকে যুক্তরাষ্ট্র বা ইইউ’র সঙ্গে তুলনা করা যায় না।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, পশ্চিম সাশ্রয়ী ফটোভোলটাইক পণ্য ও বায়ু বিদ্যুৎ পণ্য কিনতে পারলে অথবা চীনের সৃজনশীল বৈদ্যুতিক গাড়ি ইউরোপীয় নির্মাণকারীদের উদ্ভাবন বেগবান করতে পারলে, ভোক্তারা এটা দেখে খুশি হবেন। তিনি বিশেষ করে উল্লেখ করেন, বিশ্ব যে ডিকার্বনাইজেশন লক্ষ্য অর্জন করতে যাচ্ছে, সেটি বিরাট ব্যয়ের প্রক্রিয়া। এর ব্যয় হ্রাস করার ক্ষেত্রে চীন সাহায্য করতে পারে। (প্রেমা/রহমান)