রোববারের আলাপন: কুই চৌয়ের ‘ছুন ছাও’ ফুটবল সুপারলিগ চলছে
2024-04-28 18:11:42


আকাশ: সুপ্রিয় শ্রোতা, সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানে। আপনাদের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমাদের সাপ্তাহিক আয়োজন ‘রোববারের আলাপন’। আপনাদের সঙ্গে আছি আমি আপনাদের বন্ধু আকাশ এবং তৌহিদ।


ভাই, বসন্তকালে এসেছে। বেইজিংয়ের বসন্তকাল কেমন লাগছে? আপনি আমাদের সঙ্গে কিছু শেয়ার করতে পারবেন কি?

তৌহিদ:..

এখন বেইজিংয়ে সবুজ হয়ে উঠেছে। অনুষ্ঠানের শুরুতে আমরা প্রথমে সবুজ সম্পর্কিত একটি খবর আপনাদের সাথে শেয়ার করব, কেমন? 

বন্ধুরা, সম্প্রতি প্রকাশিত ‘চীনের ভূখণ্ডে সবুজায়নের বুলেটিন’ অনুসারে, ২০২৩ সালে চীনের বনভূমি খাতে নতুন সাফল্য অর্জিত হয়েছে। বুলেটিনে দেখা যায়, ২০২৩ সালে চীনে নতুন করে প্রায় ৪০০ হেক্টর জমিতে গাছ লাগানো হয়েছে। চীনে বিশ্বের বৃহত্তম কৃত্রিম বনভূমি আছে।


চীনের জাতীয় বন ও তৃণভূমি প্রশাসনের কর্মকর্তা চাং ওয়েই বলেন, অষ্টাদশ সিপিসি’র জাতীয় কংগ্রেস আয়োজনের পর, সবার চেষ্টায় দেশে মোট ১১.২ কোটি হেক্টর জমিতে গাছ লাগানো হয়েছে। চীনের কৃত্রিম বনভূমির আয়তন ৮.৭৬ কোটি হেক্টর, যা বিশ্বের শীর্ষে পৌঁছেছে। 


চীনা প্রকৌশল একাডেমির পণ্ডিত লিউ সি রং বলেন, প্রায় ২০ বছরে বিশ্বের নতুন বনায়নের মধ্যে এক চতুর্থাংশ হল চীনের অবদান।


মরুকরণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হিসেবে ২০২৩ সালে চীন সার্বিকভাবে ‘থ্রি-নর্থ শেল্টারবেল্ট প্রোগ্রাম’ আরও জোরদার করেছে। এতে মোট ১২ লাখ হেক্টর জমিতে গাছ ও ঘাস লাগানো হয়েছে।


গাছ রোপণ করা বিষয়ক খাতে চীন অনেক গুরুত্ব দেয়। এ বিষয়ে আপনি কি মনে করেন? 

তৌহিদ:...


সংগীত


বন্ধুরা, চীনে আছে অনেক ফুটবলপ্রেমী। বর্তমানে দেশের কুই চৌয়ের ‘ ছুন ছাও’ ফুটবল সুপারলিগ চলছে। এ সুপারলিগের প্রতি সবার আগ্রহ আছে। আমরা এখন এ সম্পর্কিত কথা বলব, কেমন?


বন্ধুরা,  চীনের কুই চৌয়ের রং চিয়াং কাউন্টির উদ্যোগে ‘সম্প্রীতিময় ও সুন্দর গ্রাম ফুটবল সুপারলীগ’ তথা ‘ছুন ছাও’ গত বছরের মে মাসে শুরু হয়ে এখনো চলছে। এটি দেশব্যাপী লাখ লাখ ফুটবলপ্রেমীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং তাদের সমর্থন পেয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অনেক ফুটবলপ্রেমী রং চিয়াংয়ে গিয়ে ‘ছুন ছাও’ উপভোগ করেন এবং সমর্থন দেন। এতে স্থানীয় সাংস্কৃতিক পর্যটনও চাঙ্গা হয়েছে। 


২০২৩ সালে, ‘ছুন ছাও’য়ের কারণে, রং চিয়াং মোট ৭৬ লাখ ৫৮ হাজার ৫০০ জন পর্যটককে স্বাগত জানিয়েছিল। পর্যটন খাতে আয় ৮৩৯ কোটি ৮০ লাখ ইউয়ানে পোঁছেছে।


দেশজুড়ে বিপুল সংখ্যক ফুটবলপ্রেমী রং চিয়াং এ ছোট কাউন্টিতে আসছেন। এ কারণে স্থানীয় হোটেল ও রেস্টুরেন্টগুলো অনেক উন্নত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২৩ সালে, রং চিয়াংয়ের হোটেলের মোট শয্যার পরিমাণ পাঁচ হাজারেরও বেশি ছিল। এখন তা বেড়ে দশ হাজারেরও বেশি হয়েছে। 


‘ছুন ছাও’ স্থানীয় জনগণের আয় বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তাদের সুখি জীবন উন্নয়নেও ভুমিকা রেখেছে। স্থানীয় গ্রামবাসী উ ছাং রুই বলেন, “অনেক অতিথি দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আমাদের গ্রামে এসেছেন। আজ আমরা অতিথিদের জন্য ৬০০ টেবিলে খাবার পরিবেশন করেছি। তাদের জন্য আমারা সারা দিন ব্যস্ত রয়েছি। আমি আশা করি, আমাদের সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও সবচেয়ে ভাল জিনিস অতিথিদের দিতে পারব।”


ভাই, আপনি এ খবর কেমন লাগছে?

তৌহিদ:..

বাংলাদেশেও অনেক ‘ ছুন ছাও’ বা গ্রামাঞ্চলে ফুটবল ম্যাচ রয়েছে। তা সম্পর্কিত আমাদের কিছু বলতে পারবেন কি?

তৌহিদ:…

বেশ মজার। বাংলাদেশের গ্রামে আর কি কি খেলা হয়?

তৌহিদ:…

আপনি বাংলাদেশের খেলা সম্পর্কিত কিছু মজার স্মৃতি আমাদের সাথে বলতে পারবেন কি?

তৌহিদ:… ঘুড়ি ওড়ানো, ফুটবল..।

 (আকাশ/তৌহিদ)