এপ্রিল ২৬: ‘বর্তমানে সৌর প্যানেল খাতে অনেক অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। এর কারণ হলো চীন খরচ কমানোর চেষ্টা করছে। বৈদ্যুতিক গাড়ি খাতেও একই অবস্থা।’ ২৬তম বিশ্ব জ্বালানি সম্মেলনে সৌদি আরামকো কোম্পানির সিইও আমিন নাসের এসন কথা বলেছেন। চীনের নতুন জ্বালানি শিল্পের উন্নয়ন বিশ্বের জালানি রূপান্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা করেছে সিএমজি সম্পাদকীয়।
কিছু মার্কিন লোক ‘চীনের অতিরিক্ত সক্ষমতা বা ওভার-ক্যাপাসিটি’র ভুয়া তত্ত্ব সৃষ্টি করেছে ও প্রচার করেছে। আমিন নাসেরের কথা আন্তর্জাতিক সমাজের যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত মতামত প্রকাশ করেছে।
আসলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্য হচ্ছে গণজীবিকা উন্নয়ন। নতুন জ্বালানি পরিচ্ছন্নতাকে গুরুত্ব দেয়, তবে তার খরচ বেশি। প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও উন্নত শিল্প চেইন ব্যবস্থার মাধ্যমে চীন বিশ্বের জন্য সাশ্রয়ী পদ্ধতি প্রদান করেছে। যাতে করে নতুন জ্বালানির পণ্য আরও সহজলভ্য হয়।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জন্য চীনের নতুন জ্বালানি উৎপাদনের সক্ষমতা উন্নয়নের নতুন প্রাণশক্তি বয়ে এনেছে। ব্লুমবার্গের এক প্রবন্ধে বলা হয়, বিশ্বের জ্বালানি রূপান্তর সম্ভব হবার একটি বড় কারণ হচ্ছে চীন ‘সস্তা ও পরিচ্ছন্ন পণ্য দিয়েছে।’ ২০১২ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত, চীনের সবুজ বাণিজ্যের আকার ১৪৬.৩ শতাংশ বেড়েছে। যা বিশ্বের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ‘সবুজ চালিকাশক্তি’ যুগিয়েছে।
বাস্তবতার সামনে, পশ্চিমা দেশগুলোর তথাকথিত ‘চীনের অতিরিক্ত সক্ষমতা বা ওভার-ক্যাপাসিটির’ তত্ত্ব দ্রুত তার আসল চেহারা উন্মোচন করেছে। অনেক আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞের মতে, তারা ‘ওভার-ক্যাপাসিটির’ অজুহাতে সংরক্ষণবাদের জন্য কাজ করছে। যা বিশ্বের জ্বালানি রূপান্তর প্রক্রিয়াকে বাধা দেয়। বিশ্বের প্রকৃত সমস্যাগুলো সমাধানে চীন কাজ করছে।
(আকাশ/তৌহিদ/ফেইফেই)