রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চীন সফরের শততম বার্ষিকী উদযাপনে চীনা ও ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের আসর
2024-04-25 17:34:35

চীন এবং ভারত দু’দেশেরই সুদীর্ঘ ইতিহাসের প্রাচীন সভ্যতা রয়েছে। দুই দেশের শাস্ত্রীয় সংগীতেরও নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই দুই ধরনের সংগীতের সংমিশ্রণ থেকে কী ধরনের স্ফুলিঙ্গ বের হবে? আজকের অনুষ্ঠানে দুই ধরনের শাস্ত্রীয় সংগীতের সংমিশ্রনের সৌন্দর্য্য উপভোগ করুন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চীন সফরের শততম বার্ষিকী উদযাপনের লক্ষ্যে, বিদেশের সঙ্গে চীনা জনগণের মৈত্রী সমিতি, কলকাতায় চীনের কনস্যুলেট জেনারেল, শেনচেন বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চীন সফরের শততম বার্ষিকী উদযাপনী অনুষ্ঠান এবং শেনচেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারতীয় সংগীত ও সাংস্কৃতিক বিনিময় সপ্তাহ অনুষ্ঠিত হয়।

বিদেশের সঙ্গে চীনা জনগণের মৈত্রী সমিতির উপ-মহাপরিচালক লি শি খুই সাক্ষাত্কারে বলেছেন: "একশ’ বছর আগে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চীন সফর চীন-ভারতবর্ষে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের জন্য একটি ভালো সূচনা উন্মোচন করেছে। আমি কয়েকটি সঙ্গীত শুনেছি, বিশেষ করে দু’দেশের সঙ্গীতশিল্পীদের সংমিশ্রন পারফমেন্স দেখে মনে হয়, চীন ও ভারতের সংস্কৃতির মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। চীন ও ভারত সুপ্রতিবেশী। আশা করি সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে আমাদের মধ্যে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে।”

এবারের চীন ও ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের আসরে ভারতের চৈতি আর্টস ফাউন্ডেশনের সংগীত শিল্পী এবং শেনচেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ হিউম্যানিটিজ থেকে কুছিন এবং কুজেং শিল্পীরা অংশগ্রহণ করেছেন।

চৈতি আর্টস ফাউন্ডেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সিদ্ধার্থ সিনহা একটি সাক্ষাত্কারে বলেছেন:"প্রতিটি সংস্কৃতির নিজস্ব সৌন্দর্য্য রয়েছে। আমরা যখন নিজেদের সংস্কৃতির প্রশংসা করি তখন অন্য সংস্কৃতিরও মূল্যায়ন করবো। এভাবে পরস্পরের সংস্কৃতিতে গ্রহণ করার মধ্য দিয় সম্প্রীতিময় বিশ্ব গড়ে উঠবে।”

সংগীত দেশের সীমানা নির্বিশেষে একটি বিশ্ব ভাষা, সংগীতের মাধ্যমে, দুটি প্রাচীন সংস্কৃতির উজ্জ্বল সম্মিলন হয়েছে। চীন ও ভারতের সংস্কৃতির সংমিশ্রণের মাধ্যমে একে অপরের কাছ থেকে নতুন কিছু শিখেছে। এভাবে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে মানবজাতির অভিন্ন ভবিষ্যতের কমিউনিটি গঠন করা যায়।

(স্বর্ণা/হাশিম/ছাই)