এক বছরে ১ লাখ ৮৩ হাজার যাত্রী চলাচল চীন-লাওস রেলপথে
2024-04-22 15:32:07

গত ১৩ এপ্রিল ছিল চীন-লাওস রেলপথ আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী ট্রেন চালু হওয়ার প্রথম বার্ষিকী। এ পর্যন্ত মোট ৮৭টি দেশ ও অঞ্চলের ১ লাখ ৮৩ হাজার মানুষ কাস্টমসের প্রবেশ ও প্রস্থান চ্যানেল দিয়ে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করেছেন। আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী ট্রেন “চালু হওয়ার পর মসৃণ হওয়া, মসৃণ থেকে দ্রুত এবং দ্রুত থেকে ভালো’ হওয়ার লক্ষ্য যথাক্রমে অর্জিত হচ্ছে।

ইয়ুননান মোহান প্রবেশ-প্রস্থান সীমান্ত চেকপয়েন্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত এ চেকপয়েন্ট ৭৩৮টি আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী ট্রেন চেক করেছে। সাতাশিটি দেশ ও অঞ্চলের ১ লাখ ৮৩ হাজার মানুষ প্রবেশ ও প্রস্থান যাত্রী কাস্টমসের মধ্য দিয়ে নির্বিঘ্নে গমানাগমন করেছেন। বিদেশি পর্যটকদের মধ্যে লাওস, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার পর্যটকদের প্রবেশ ও প্রস্থান সবচেয়ে বেশি। দৃশ্য দর্শন, আত্মীয়স্বজন বা বন্ধুদের সঙ্গে সাক্ষাত, কর্মসংস্থান ও ব্যবসা তাদের প্রধান লক্ষ্য। চীনা পর্যটকদের মধ্যে সারা দেশের ৩৪টি প্রাদেশিক পর্যায়ের প্রশাসনিক অঞ্চলের ১ লাখ ৫৪ হাজার ৫শ পর্যটক চীন-লাওস রেলপথের আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী ট্রেন বাছাই’কে অগ্রাধিকার দেন। তাদের মধ্যে ৫০ শতাংশেরও বেশি প্রবীণ।

চীন-লাওস রেলপথ আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী ট্রেন চালু হওয়ার পর চীনের খুনমিং এবং লাওসের ভিয়েনটিয়ানের মধ্যে যাতায়াতের সময় কমেছে। এ রেলপথের এক প্রান্ত থেকে সকালে রওয়ানে দিলে বিকেলে অন্য প্রান্তে পৌঁছানো যায়। সেকারণে সকালে খুনমিংয়ে রাইস-নুডলস খেয়ে বিকেলে ভিয়েনটিয়ানে কফি খাওয়া এক ধরনের নতুন জীবনধারায় পরিণত হয়েছে। এক বছর ধরে, দু’বার থামার সময় হ্রাস এবং দু’বার টিকিটের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। থামার সময় শুরু দিকের যেখানে ৯০ মিনিট ছিল বর্তমানে তা ৫২ মিনিটে নামিয়ে আনা হয়েছে। টিকিটের সংখ্যা শুরু দিকে ছিল ২৫০টি এবং বর্তমানে ৩৫০টিতে উন্নীত করা হয়েছে। প্রবেশ ও প্রস্থানকারী মানুষের সংখ্যা শুরু দিকে দিনে যেখানে ৩শ’ ছিল, এখন তা বাড়িয়ে ৭শ’ করা হয়েছে।

লাওসে কৃষি পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা চীনা ব্যবসায়ী চৌ ওয়েননিয়ান বলেন, “চীন-লাওস রেলপথ চালু হবার আগে, সড়কপথ দিয়ে খুনমিং থেকে ভিয়েনটিয়ানে যেতে খুব বেশি সময় লাগতো। প্রতি দুই বা তিন মাসে আমি একবার যাতায়াত করতাম। এখন চীন-লাওস রেলপথ দিয়ে একই দিনে পৌঁছানো যায়। প্রত্যেক সপ্তাহে আমি দুয়েক বার করে যাতায়াত করি। ব্যবসা করতে অনেক সুবিধা হয়েছে।”

মোহান সীমান্ত চেকপয়েন্টের প্রধান ওয়াং ছিয়াং জানান,  প্রবেশ ও প্রস্থানকারী যাত্রীর চাপ ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং বন্দরের উন্নয়নের প্রক্রিয়ায় চেকপয়েন্ট নতুন পরিষেবা ব্যবস্থা উদ্ভাবন চালু করেছে। যেমন প্রবেশ ও প্রস্থানকারী পর্যটন দলের অনলাইন বুকিং এবং ২৪ ঘন্টা বাধামুক্ত ছাড়পত্র ইত্যাদি সুবিধাজনক ব্যবস্থার মাধ্যম রেলপথ ও শুল্কসহ বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে ওয়ান-স্টপ কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স সেবা কার্যকর করা হয়েছে। ফলে কার্যকরভাবে বন্দরের মসৃণ ও দ্রুত ক্লিয়ারেন্স নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। (প্রেমা/রহমান)