মো ইয়ান লিন ১৯৭৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর চীনের হুপেই প্রদেশের উহানে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন গায়িকা, গীতিকার, ও সঙ্গীত-প্রযোজক। তিনি সুবিখ্যাত অভিনেত্রী চৌ সুন-এর জন্য ‘সমুদ্র দেখা’ শীর্ষক গানটি লেখার কারণে বিখ্যাত হয়েছিলেন এবং "নিয়ে যাও" গানটির কারণে সঙ্গীতজগতে সৃজনশীল প্রতিভা হিসেবে তার শক্তি ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়। তার দ্বিতীয় অ্যালবামের শিরোনাম গান "একটু ভালোবাসা" মো ইয়ানলিনকে আরও জনপ্রিয় করে তোলে। এই উচ্চ-মানের গানগুলো মো ইয়ানলিনের দশ বছরের সঙ্গীত ক্যারিয়ারকে সমৃদ্ধ করেছে। আজকের অনুষ্ঠানে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো তার অ্যালবাম "চলো যাই"-এর কয়েকটি গান।
"চলো যাই" মো ইয়ানলিন ২০১৫ সালের ২৬ জানুয়ারি প্রকাশ করেন। এটি একটি মিউজিক অ্যালবাম। অ্যালবামে মোট ১০টি গান রয়েছে। এই অ্যালবামের কারণে মো ইয়ানলিন ২০১৫ মিউজিক পাইওনিয়ার অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে সেরা অগ্রগামী গায়কের পুরস্কার জিতেছেন এবং অ্যালবামের "দৌড় দাও, ব্যাঙ" গানটি সেরা দশটি অগ্রগামী গোল্ডেন মেলোডি অ্যাওয়ার্ডের একটি হিসেবে পুরস্কৃত হয়।
"চলো যাই"-এর সৃষ্টি সম্পর্কে মো ইয়ানলিন বলেন, তিনি প্রায়শই তার শৈশবে ফিরে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন এবং তার শৈশবের স্মৃতি খুব স্পষ্ট। মো ইয়ানলিনের স্বপ্ন হল একজন গায়িকা হওয়া এবং শৈশবে শোনা টেপের গানের বইতে মুদ্রিত প্রযোজকতালিকাকে তার নিজের রেকর্ডে স্থানান্তরিত করা। এই স্বপ্ন ২০০৪ সালে সত্যি হয়েছিল। "চলো যাই" ধারণাটি একটি একক ভ্রমণ থেকে আসে। অ্যালবামে সবকিছু ছেড়ে দিয়ে ভ্রমণে বের হতে চাওয়ার অনুভূতি এতে তুলে ধরা হয়েছে।
"চলো যাই"-এ মোট ১০টি গান রয়েছে। অ্যালবামের বেশিরভাগ গানই মো ইয়ানলিন রচনা করেছেন। অ্যালবাম তৈরির ক্ষেত্রে, চীনের তাইওয়ানের সঙ্গীত-প্রযোজক ওয়াং চি ফিং’কে পুরো অ্যালবামের প্রযোজক হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। অ্যালবামটি বেইজিং এবং তাইপেই থেকে রেকর্ডিং করা হয়। অ্যালবামের পোস্ট-প্রোডাকশন যুক্তরাষ্ট্রে গ্র্যামি মিক্সিং বিশেষজ্ঞ ক্রেগ বারবিজ করেছেন। "চলো যাই" হল মো ইয়ানলিন এবং মালয়েশিয়ার সঙ্গীতশিল্পী হুয়াং শু হুইয়ের মধ্যে প্রথম সহযোগিতার কাজ।
"চলো যাই"-এর তিনটি এমভি-র জন্য তাইওয়ানের পরিচালক লাই জিয়ানহে পুরো দল নিয়ে জার্মানিতে যান ও সেখানে শুটিং করেন।
পুরো অ্যালবাম "চলো যাই" একটি পপ-রক সঙ্গীত পরিবেশ তৈরি করেছে। পপ অংশের আবেগপূর্ণ এবং সংবেদনশীলতা, রক অংশের কঠোরতা ও উত্তেজনা, মো ইয়ানলিনের সৃজনশীল মেজাজকে ভালোভাবে উপস্থাপন করে, যা কঠোর ও নরম, নরম ও অনমনীয়। এটি কেবল মো ইয়ানলিনের প্রথম অ্যালবাম "স্টাবোর্ন সিলিবেসি"-র একটি ভালো ধারাবাহিকতা নয়, বরং মো ইয়ানলিনের অভিব্যক্তি থেকে বিচার করলে, এই মেজাজটি তার ব্যক্তিত্বের সাথেও বেশ সামঞ্জস্যপূর্ণ। অ্যালবামের গানগুলো মসৃণ ও সুরেলা। সেটা "জেগে উঠে আবার স্বপ্ন দেখো" হোক বা "পালিয়ে যাওয়া দরজা" হোক না কেন, সবগুলোরই একটি স্বাভাবিক ও আনফোর্সড মেলোডি লাইন রয়েছে।
প্রথম হিট গান "জেগে উঠে আবার স্বপ্ন দেখো"-র রচয়িতা মো ইয়ানলিন। গানটির সুর সহজ ও আকর্ষণীয়। এই গানটি শুনলে আপনার মন ভরে যাবে রঙ আর কল্পনায়। আপনি একা থাকলেও সুন্দর স্বপ্নের আকাঙ্খায় পূর্ণ হবেন। অতীতের প্রেমের গানের গৌরবময় শৈলী থেকে ভিন্ন, এটি একটি একেবারে নতুন অবস্থায় মো ইয়ানলিন, প্রবল চাপ এবং বিষন্নতা ঝেড়ে ফেলে, স্বপ্নের প্রত্যাশা এবং ভ্রমণের পথে মনের স্বস্তি নিয়ে আসে।
দ্বিতীয় হিট গান "পালিয়ে যাওয়া দরজা” হল একটি লিরিকাল রক গান, এবং এর সুস্পষ্ট ছন্দ ও সুর মানুষকে এটির সাথে দোলা দেয়। ২০০৬ সালে তৈরি করা এই কাজটি মো ইয়ানলিনের সাম্প্রতিক কাজ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।
তৃতীয় হিট গান "বৃশ্চিক এবং কন্যা রাশি" আবেগ ও স্পন্দনে ভরপুর; আমাদের ছেড়ে দেওয়ার সাহস দেখায়। গিটার এর প্রধান যন্ত্র, এবং সেলো দুঃখের স্পর্শ যোগ করে। গানের শেষ বাক্য "তোমাকে যেতে দেই এবং নিজেকে মুক্তি দেই" কল্পনার জন্য জায়গা রেখে দেয়। (ইয়াং/আলিম)