চলতি প্রসঙ্গ: বেইজিং আন্তর্জাতিক অর্ধ-ম্যারাথন, ২০২৪
2024-04-17 16:23:46

এপ্রিল ১৭: বাতাস বয়ে যাওয়ার সাথে সাথে, প্রাচীন রাজধানী বেইজিংয়ে আবারও ক্রীড়া কার্নিভাল, ‘বেইজিং আন্তর্জাতিক অর্ধ-ম্যারাথন, ২০২৪’-এর আসর বসেছে। এই ইভেন্ট কেবল দৌড়বিদদের একটি বিশাল সমাবেশই নয়; বরং এটি বেইজিংয়ের বিশ্বের সামনে নিজের চালিকাশক্তি ও সৌন্দর্যশক্তি দেখানোর জন্য একটি দুর্দান্ত মঞ্চও বটে। এবারের আন্তর্জাতিক অর্ধ-ম্যারাথন স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

 ‘বেইজিং আন্তর্জাতিক অর্ধ-ম্যারাথন, ২০২৪’ স্কেল ও সাংগঠনিক দিক দিয়ে একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।


‘সারা বিশ্ব থেকে হাজার হাজার দৌড়বিদ বেইজিংয়ে এসে নিজেদের চ্যালেঞ্জ করতে ও নিজ নিজ স্বপ্নকে অনুসরণ করতে জড়ো হয়েছে। তাদের অংশগ্রহণ শুধুমাত্র ইভেন্টে একটি শক্তিশালী আন্তর্জাতিক স্বাদ যোগ করেছে, তা নয়; বরং, বিশ্বব্যাপী দূরপাল্লার দৌড় প্রতিযোগিতার ব্যাপক প্রভাবশালী শক্তি ও আকর্ষণও প্রদর্শন করেছে। একই সাথে, প্রতিযোগিতার সুষ্ঠু সংগঠন, নিরাপত্তা সুনিশ্চিতকরণ এবং চিকিত্সা সেবাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সতর্ক ব্যবস্থাও নিয়েছে আয়োজক কমিটি, যাতে প্রতিযোগিতার সুষ্ঠু আয়োজন এবং খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা ও সুস্থতা নিশ্চিত করা যায়।’

ক্রীড়া সংস্কৃতির প্রচার এবং শহরের ভাবমূর্তিকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে ‘বেইজিং আন্তর্জাতিক অর্ধ-ম্যারাথন, ২০২৪’।


‘এই ইভেন্ট আয়োজনের মাধ্যমে বেইজিং শুধুমাত্র একটি আন্তর্জাতিক মহানগর হিসাবে বিশ্বকে তার সমৃদ্ধি ও জীবনীশক্তি প্রদর্শন করেনি, বরং একটি সক্রিয় ও স্বাস্থ্যকর জীবনধারা এবং ক্রীড়াঙ্গনের অধ্যবসায়ও প্রকাশ করেছে। ট্র্যাকে, খেলোয়াড়রা ঘাম ও কঠোর পরিশ্রমের সাথে গতি ও আবেগের কিংবদন্তি লিখেছেন, দর্শকরা খেলোয়াড়দের জন্য উত্সাহ ও উল্লাস দিয়ে যৌথভাবে একটি শক্তিশালী ক্রীড়া পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন। এই সকলের অংশগ্রহণ এবং যৌথভাবে ক্রীড়ার আনন্দময় পরিবেশ ভাগাভাগি করা কেবল যে বেইজিং শহরের ভাবমূর্তি এবং সাংস্কৃতিক সফটপাওয়ার উন্নত করেছে, তা নয়; বরং আন্তর্জাতিক বিনিময় ও সহযোগিতাও জোরদার করেছে।’

এ ছাড়া, পরিবেশ রক্ষা ধারণার অনুশীলনকে বেশ গুরুত্বারোপ করা হয় এবারের ‘বেইজিং আন্তর্জাতিক অর্ধ-ম্যারাথন, ২০২৪’-এ।  


‘এবারের প্রতিযোগিতা প্রস্তুতি নেওয়া এবং আয়োজন প্রক্রিয়ায় সাংগঠনিক কমিটি সক্রিয়ভাবে সবুজ ও নিম্ন-কার্বন জীবন-যাপন পদ্ধতি প্রচার করেছে, খেলোয়াড় ও দর্শকদের পাবলিক পরিবহন বেছে নিতে এবং ডিসপোজেবল আইটেমের ব্যবহার কমাতে উত্সাহিত করেছে। এ সব পদক্ষেপ কেবল যে পরিবেশ দূষণ এবং সম্পদের অপচয় কমাতে সাহায্য করে, তা নয়; বরং এর মধ্য দিয়ে অবিরাম উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে বেইজিংয়ের দৃঢ়প্রতিজ্ঞা ও কার্যক্রমও ফুটে উঠেছে।’

সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক তত্পরতার মাধ্যমে খেলোয়াড় ও দর্শকরা প্রতিযোগিতার পাশাপাশি বেইজিংয়ের সাংস্কৃতিক সৌন্দর্যশক্তিও উপলব্ধি করতে পারে ‘বেইজিং আন্তর্জাতিক অর্ধ-ম্যারাথন, ২০২৪’ থেকে।  


‘ট্র্যাক বরাবর দর্শকরা ঐতিহ্যবাহী বেইজিং অপেরা ও সিংহ নাচসহ অন্যান্য রীতিনীতি উপভোগ করেন এবং গভীরভাবে বেইজিংয়ের সাংস্কৃতিক সৌন্দর্যশক্তিও উপলব্ধি করতে পারেন। শেষ পয়েন্ট অঞ্চলে বিভিন্ন রকমের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সুস্বাদু খাবার এবং হস্তশিল্পও স্থান পায়, যা প্রত্যেকের স্বাদ নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিল। সুস্বাদু খাবার উপভোগ করার সময় লোকেরা বেইজিংয়ের অনন্য রীতিনীতি উপলব্ধি করতে পারেন। সামগ্রিকভাবে বলতে গেলে, ‘বেইজিং আন্তর্জাতিক অর্ধ-ম্যারাথন, ২০২৪’ একটি সফল ক্রীড়া ইভেন্ট, যা কেবল যে একটি আন্তর্জাতিক মহানগর হিসাবে বেইজিংয়ের সৌন্দর্যশক্তি ও প্রাণশক্তি প্রদর্শন করেছে, তা নয়; বরং ক্রীড়া সংস্কৃতির প্রচার এবং শহরের ভাবমূর্তি উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়েছে।’

ভবিষ্যতে আমরা আরও বেশি ক্রীড়া মহাসম্মিলনী বেইজিংয়ে আয়োজনের প্রত্যাশায় রইলাম, যাতে আরও বেশি মানুষ ক্রীড়ার সৌন্দর্যশক্তি উপলব্ধি করতে পারে। আমরা আশা করি, ক্রীড়া ব্রত উন্নয়নে অব্যাহতভাবে নিজের নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করে বৈশ্বিক ক্রীড়া ব্রতের সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি অর্জনে নিজের আরও বেশি অবদান রাখবে বেইজিং। 

 (ওয়াং হাইমান/আলিম/সুয়েই)