পর্যটন কোম্পানির চেয়ারম্যান, মরুভূমির বাসিন্দা, কৃষক-শ্রমিক দলের প্রধান এবং পশুপালক। তিনি বাবার সঙ্গে ৬৬ হেক্টর জমিতে অর্থকরী ফসল চাষ করেন। তিনি দু'টি লোডার কিনে বালি নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে ব্যবহার করেন। এ ছাড়া, তিনি শতাধিক গরু ও কয়েক শ মেষ পালন করেন।
এখন ৪০ বছর বয়সী মেংকেদালাই শিশুবেলা থেকে মরুভূমিতে বাসবাস করছেন। মরুভূমিতে স্কুলে যেতে পারতেন না তিনি। তিনি স্কুলে যাওয়ার সুবিধার্থে আত্মীয়ের বাড়িতে থাকতেন। বড় হওয়ার পর তিনি শহরে গিয়ে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। ১৯৯৮ সালে তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন। বাড়িতে ফিরে আসার পর তাঁর প্রথম কাজ হল মরুভূমিতে বৃক্ষ রোপণ করা। তাঁর পিতা বলেন, এ-কাজের মাধ্যমে জন্মস্থানের পরিবেশ বদলে দেওয়া যায়।
২০০৬ সালে মরুভূমির বাসিন্দারা অভিবাসন শুরু করেন। তাঁরা নতুন গ্রামে স্থানান্তরিত হন। তাঁদের নতুন বাড়ি এরদোস শহরে অবস্থিত। তখনই তিনি পর্যটনের সুযোগ দেখেন এবং নিজের পর্যটন-হোটেল খোলেন।
তাঁর হোটেলের ব্যবসা ভালো। এরপর তাঁর গ্রামে আরও দু'টি নতুন হোটেল খোলা হয়। ধীরে ধীরে আরও অধিক সংখ্যক বাড়িতে হোটেল খোলা হয়। তাঁদের পর্যটন-ব্যবসাও দিন দিন জমে ওঠে। চলতি বছর মেংকেদালাই'র নেতৃত্বে বাসিন্দারা যৌথভাবে 'রূপালী মরু পর্যটন কোম্পানি লিমিটেড' গড়ে তোলে। ২০টিরও বেশি স্থানীয় কৃষক ও পশুপালক তাতে অংশ নেয়।
মেংকেদালাই বলেন, "পর্যটন-ব্যবসার ব্যস্ত সময় এক বছরে মাত্র কয়েক মাস। কিন্তু পর্যটন-ব্যবসার মুনাফা আমার অন্য ব্যবসার দুই গুণ। আমরা পর্যটন-ব্যবসার পাশাপাশি অন্য কাজও করতে পারি। সম্প্রতি আমাদের কোম্পানি তিনটি মোটরবোট ক্রয় করে। মূল্য ৪.৫ লাখ আরএমবি।"
মেংকেদালাই আরও বলেন, "আগে আমার জন্মস্থানের পরিবেশ খুব খারাপ ছিল। কিন্তু এখন আগের মতো না। পর্যটকরা বলেন, এটি সুন্দর মরুভূমি। আগের 'মৃত্যুর সাগর' বর্তমানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমিতে পরিণত হয়েছে।"