ঢাকা, এপ্রিল ১৪, সিএমজি বাংলা: বছর ঘুরে আবার এসেছে পহেলা বৈশাখ, বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় বাংলাদেশে প্রতিবছর উদযাপিত হয় বাংলা নববর্ষ।
নতুন বছর ১৪৩১ বঙ্গাব্দকে স্বাগত জানিয়ে হাজারো মানুষের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে রোববার সকাল সোয়া ৯টায় মঙ্গল শোভাযাত্রায় রঙিন হয়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আঙিনা।
অন্ধকার দূর করে আলো জ্বালার প্রত্যয়ে বর্ণিল সাজে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার রাস্তায় নামে মঙ্গল শোভাযাত্রা। এবার প্রথমবারের মত কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতা থেকে নির্ধারণ করা হয় প্রতিপাদ্য 'আমরা তো তিমিরবিনাশী'।
এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রায় পাখি, হাতি ও ভোঁদরের পাশাপাশি ছিল ভিন্ন আরেকটি মোটিফ। চাকার মধ্যে ফুল দিয়ে একটি শিল্পকর্ম তৈরি করা হয়। রিকশার চিত্রকর্মকে প্রাধান্য দিয়ে বানানো হয় এই মোটিফ।
শোভাযাত্রায় দল মত নির্বিশেষে সকল মানুষের ঢল নামে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ শোভাযাত্রায় অংশ নেন। এতে অংশ নিতে আসা নারীদের পরনে ছিল শাড়ি। অনেকের মাথায় ছিল নানা রঙের ফুল। পুরুষদের পরনে ছিল পাঞ্জাবি।
পরিবারের সদস্যদের সাথে নবর্বর্ষের আনন্দে মেতে ওঠে শিশুরাও।
মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন ভিনদেশিরাও। বাংলা ভাষায় নতুন বছরকে বরণের উচ্ছ্বাস ছিল তাদের মুখেও।
গত শতকের আশির দশকের শেষে সামরিক শাসনের অর্গল ভাঙার আহ্বানে পহেলা বৈশাখে চারুকলা থেকে যে শোভাযাত্রা বের হয়েছিল; সেটিই পরে মঙ্গল শোভাযাত্রায় রূপ নেয়। ২০১৬ সালে ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতিও পায় এ কর্মসূচি।
মিম/শান্তা
ছবি: সিএমজি বাংলা