এপ্রিল ১১: সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়া যৌথভাবে জাপানের আউকুসে যোগ দেওয়ার খবর প্রচার করে, যা আন্তর্জাতিক সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে আউকুস প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর, তিন দেশ এবারই প্রথম নতুন সদস্যদেশের নাম ঘোষণা করলো। এদিকে, জাপান সরকারও আউকুসের ওপর গুরুত্বারোপ করার কথা উল্লেখ করেছে। তবে অনেক জাপানি এর সমালোচনা করছেন। তাঁরা বলছেন, এতে বিরোধ বাড়বে, পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাবে, এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ও এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়বে।
আউকুসে হলো যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ার ত্রিপক্ষীয় নিরাপত্তা অংশীদারিত্বের সংক্ষিপ্ত নাম। এর আওতায় অস্ট্রেলিয়ার জন্য পারমাণবিক সাবমেরিন তৈরি করা হবে এবং তিন দেশ যৌথভাবে আগামী প্রজন্মের সাবমেরিন তৈরী করবে। তিন দেশ যৌথভাবে নতুন প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করবে এবং পারমানবিক সাবমেরিনের যুদ্ধক্ষমতা উন্নত করবে।
প্রশ্ন হচ্ছে: এ তিন দেশ কেন জাপানকে এই জোটে যুক্ত করেছে? বিশ্লেষকরা মনে করেন, এর দু’টি কারণ আছে। প্রযুক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে, উচ্চ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ার প্রত্যেকের নিজস্ব ত্রুটি রয়েছে। অন্যদিকে, হাইপারসনিক অস্ত্র, কোয়ান্টাম প্রযুক্তি, ইলেকট্রনিক যুদ্ধ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে জাপানের সুবিধা রয়েছে এবং প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিতে বৃহত্তর ভূমিকা পালন করবে এই দেশটি। জাপান এ তিনটি দেশের সাথে সংবেদনশীল সামরিক প্রযুক্তি শেয়ার করতে চায় বা করবে।
শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে সম্প্রতি বলেন, কিন্তু এ ভুল সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র এশিয়াকে একাধিক বিরোধী শিবিরে বিভক্ত করবে। এদিকে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার নেতারা প্রকাশ্যে জোটের বিরুদ্ধে এতদঞ্চলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অভিযোগ এনেছেন। যদি জাপান জোটে যোগ দেয়, তাহলে আউকুসের শক্তি উত্তর-পূর্ব এশিয়ায় প্রসারিত হবে, যা এই অঞ্চলে আরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এটি আঞ্চলিক নিরাপত্তার স্বার্থের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয় এবং এশিয়ার একীকরণ প্রক্রিয়ায় বাধা হয়ে দাঁড়াবে। (ছাই/আলিম)