জাং ইউনচিং ১৯৮৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বরে চীনের তাইওয়ান প্রদেশের তাইপে শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চীনের তাইওয়ানের একজন গায়িকা।
২০০৭ সালে তিনি সংগীত দল পেন সসে’র সঙ্গে প্রথম ইপি ‘বৃষ্টির শক্তি’ প্রকাশ করেন। একই বছর তাইওয়ান টিভির একটি গানের প্রতিভা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে শোবিজ জগতে পা রাখেন। ২০০৯ সালে তিনিপ্রথম একক অ্যালবাম ‘অভূতপূর্ব’ প্রকাশ করেন। ২০১০ সালে তিনি চীনের মূল সংগীত পপ-চার্টে সেরা নতুন শিল্পী পুরষ্কার জেতেন। তাঁর ‘পছন্দে অগ্রাধিকার’ নামক গানটি সেরা জনপ্রিয় টিভি নাটক গোল্ড সং পুরষ্কার জেতে। গানটিও তাঁর প্রথম অ্যালবাম থেকে নেওয়া।
২০১০ সালের ৯ জুলাই জাং ইউনচিং তাঁর দ্বিতীয় অ্যালবাম প্রকাশ করেন। অ্যালবামের নাম ‘আমার বিপরীত’। অ্যালবামে শিরোনাম গান ছাড়া আরো দশটি গান অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর মধ্যে ‘ভাঙ্গা’ নামক গানটি ধারাবাহিক পাঁচ দিন ধরে তাইওয়ান অঞ্চলের ‘কেকেবক্স ম্যান্ডারিন একক গানের দৈনিক তালিকা’র শীর্ষে থাকে। একই বছরের ১২ আগস্টে তিনি প্রথম পরবর্তী ম্যাগাজিন বিনোদন পুরস্কারে বছরের সেরা দশ জনপ্রিয় তারকা পুরস্কার জেতেন। অ্যালবামের শিরোনাম গান জাং ইউনচিংয়ের নিজেরই সৃষ্টি। আসলে গানটি সৃষ্টির প্রক্রিয়ায় তিনি অনেক ব্যর্থতার সম্মুখীন হন। বন্ধু ও আত্মীয়স্বজনেরা অনেক ডেমো খুব একটা পছন্দ করেন না। সে সময় তার অনেক চাপ ও মনোকষ্টও ছিল।
২০১২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর জাং ইউনচিং ‘ছোট মেয়ে’ নামে তাঁর তৃতীয় অ্যালবাম প্রকাশ করেন। এতে ‘হাঁফ’ ও ‘আমি পাগল নই’সহ মোট দশটি গান অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অ্যালবামটি দিয়ে তিনি ২০১৩ টিভিবি ৮ গোল্ডেন গানের তালিকার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সেরা জনপ্রিয় গায়িকা পুরষ্কার জেতেন। অ্যালবামটির লক্ষ্য ছিল মানুষদের বিশুদ্ধ হৃদয় জাগিয়ে ছোট ছেলে বা মেয়ের অবস্থায় স্বপ্ন অনুসন্ধান করা। অ্যালবামের নামের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ করার জন্য তিনি তার ২০ বছর ধরে রাখা ছোট চুল বড় করেন।
২০১৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বরে জাং ইউনচিং তাঁর চতুর্থ সৃজনশীল অ্যালবাম ‘ব্যর্থতার গান’ প্রকাশ করেন। অ্যালবামের শিরোনাম গানের কথা এমন: প্রতিবারই আমি একটি সুযোগ নেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেই। আমার চারপাশে সবসময় অনেক বাধা রয়েছে, সমস্ত শক্তি দিয়ে আমাকে থামানোর চেষ্টা করে। প্রতিবার আমি প্রতিবন্ধকতা ভেঙ্গে এবং অসুবিধা অতিক্রম করার জন্য সিদ্ধান্ত নেই। শুধু ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করি যে আমি এত অহংকারী ছিলাম। আবার শুরুর দিক থেকে পুনরায় কাটানোর মাধ্যমে প্রমাণ করি যে আমি তার চেয়ে বেশি। আবার করার লক্ষ্য আগে লেখা গল্পগুলোর নিজেকে অস্বীকার করার জন্য নয়। লম্বা চুল রাখছি যা তুমি পছন্দ করো না বা অভ্যস্ত নও। এটি পরিবর্তন নয়, তবে আমি যেভাবে ছিলাম। কান্না, হাসি, ব্যর্থতাও গ্রাস করে। হয়তো শুধু একবার নয়। ব্যর্থতার গান হয় তো একটি বিশেষ অধিকার।
চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি জাং ইউনচিং নতুন গান ‘প্রেম শুরু হয় বাতাস দিয়ে’ প্রকাশ করেন। গানটি পাশাপাশি টিভি নাটক ‘তলোয়ার এবং পরী’র একটি গান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। গানটিতে বলা হয়েছে: প্রেম যদি বাতাসের সাথে বেড়ে যায়, আমি কীভাবে তাকে শান্ত করব? আমি তোমার সাথে জড়িয়ে না পড়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব। বৃষ্টির মতো আকাশে ঝরে পড়া পাতার দিকে তাকাও, সেটি আমার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়া ভালোবাসা। যে দূরত্ব অতিক্রম করা যায় না তা ভাগ্য। তোমাকে সমুদ্রের তলদেশেও অনুসন্ধান করি, গভীর সমুদ্রে সাঁতার কাটা মাছের মতো। হাজার শব্দের মধ্যে একটি বাক্যই আমাকে তোমার প্রেমে পড়তে বাধ্য করবে। সব কিছু ত্যাগ করে শুধু তোমাকে খুঁজি। একটি সুখী সমাপ্তি খুঁজি।
অনুষ্ঠানের শেষ দিকে আমি আপনাদেরকে জাং ইউনচিংয়ের আরেকটি গান শোনাতে চাই। গানের নাম ‘ভাঙ্গা’। (প্রেমা/হাশিম)