সুপ্রিয় শ্রোতা, আপনারা শুনছেন বেইজিং থেকে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান। এখন শুনবেন ‘তোমার জন্য গান’। আপনাদের সঙ্গে আছি আমি মুক্তা। সবাই ভালো আছেন তো? আশা করছি আপনারা সুস্থ আছেন এবং আনন্দে দিন কাটাচ্ছেন।
(গান ১)
বন্ধুরা, আপনারা শুনছিলেন সিঙ্গাপুরে প্রবাসী চীনা নারী কন্ঠশিল্পী ছেন চিয়ে ই’র কন্ঠে ‘আগের আমি’ শীর্ষক গান। এখন আমি আপনাদেরকে তার কন্ঠে ‘হৃদস্পন্দন’ নামের গানটি শোনাবো। ‘হৃদস্পন্দন’ নামের গানটির কথা এমন, ‘কত সময় তোমার সঙ্গে দেখা হয় না। তুমি এখন কোথায়, আসলে তুমি ঠিকই আমার হৃদয়ে। আমার শ্বাসক্রিয়ার সঙ্গে আছো তুমি। কত দূরে আছো, কিন্তু আমার মনে হয় তোমারর সুগন্ধ পাই। কে জানে তোমার ছায়া এত দীর্ঘ, আমি পিছনে তাকিয়ে তোমাকে দেখতে পারি। আগে চলে গেছো। খুব দেরি হয়ে গেছে, আমি শুরু থেকে তোমাকে পছন্দ করতে পারিনি। সাদা মেঘ আকাশে ভরপুর, আহা, যদি আমরা সারাজীবন থাকতে পারবো না, তাহলে কমপক্ষে আমাদেরকে স্মৃতি তৈরি করার যেন সাহস দেয়া হয়, আলিঙ্গন করার যেন অধিকার দেয়া হয়। এর মাধ্যমে তুমি বুঝতে পারবে, আমি তোমাকে পছন্দ করি। আমি তোমার খোঁজ-খবর নেয়ার চেষ্টা করছি। আসলে তুমি আমার শরীরে তোমার স্মৃতি রেখে গেছো। তুমি ঠিকই সেখানে’। চলুন, আমরা গানটি শুনবো
(গান ২)
বন্ধুরা, শুনছিলেন ছেন চিয়ে ই’র কণ্ঠে ‘হৃদস্পন্দন’ নামের গানটি। এখন আমি আপনাদেরকে ‘দুঃখ’ শীর্ষক গান শোনাবো। গেয়েছেন জিন চি ওয়েন। তিনি ১৯৮২ সালের ১২ জুলাই চিলিন প্রদেশের চিলিন শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চিলিন শিল্প একাডেমি থেকে স্নাতক ডিগ্রি পান। তিনি ২০০৩ সাল থেকে সংগীত রচনা শুরু করেন। ২০০৫ সালে তিনি এক ওয়েবসাইট সংগীত প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন। ২০০৭ সালে তিনি নিজের প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ করেন। ২০১২ সালে তিনি এক টিভি সংগীত প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার পর সারা চীনে জনপ্রিয় হন।
চলুন, আমরা গানটি শুনবো।
(গান ৩)
বন্ধুরা, শুনছিলেন জিন চি ওয়েন’র কণ্ঠে ‘দুঃখ’ শীর্ষক গান। এখন আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে চীনের একটি চলচ্চিত্রের থিম গান শোনাতে চাই। চলচ্চিত্রের নাম হল ‘শার্লোট্ট খুবই কষ্ট’। থিম গানের শিরোনামও একই। ‘শার্লোট্ট খুবই কষ্ট’ গানের কথা এমন, ‘আমি তোমার কাছে তোমার পাশাপাশি থাকবো এবং কখনোই দূরে যাবো না। তোমার প্রতিটি পদক্ষেপে আমার হৃদয় প্রভাবিত। আজ, আগামীকাল, পরশু, সারাজীবন আমি তোমার সঙ্গে থাকবো। ভোরের আগে অন্য দিকে আকাশে মেঘ দেখলাম, আকাশে একটি সুন্দর রেখা। আমি জানি না, কত দূর। কিন্তু কখনো তোমার স্মৃতি দূর করতে পারি না। আমি যাবো না। এখন থেকে সে লাল, সাদা, ধূসর ও ঠাণ্ডা সবকিছু চলে যাবে। আমি প্রতিটি দিনরাত তোমার সঙ্গে থাকবো। আমি যাইনি। তুমিও যেয়ো না’। আচ্ছা, বন্ধুরা, এখন আমরা একসঙ্গে গানটি শুনবো।
(গান ৪)
বন্ধুরা, শুনছিলেন জিন চি ওয়েন’র কণ্ঠে ‘শার্লোট্ট খুবই কষ্ট’ শীর্ষক গান। এখন আমি আপনাদেরকে একটি রক গান শোনাতে চাই। গানের শিরোনাম হল ‘বসন্তকালে’। গেয়েছেন কণ্ঠশিল্পী ওয়াং ফেং। তিনি ১৯৭১ সালের ২৯ জুন বেইজিংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন রক গায়ক ও সংগীত প্রয়োজক। ১৯৭৬ সাল থেকে তিনি বেহালা শিক্ষা শুরু করেন। ১৯৮২ সালে তিনি সেন্ট্রাল কন্সারভেটরি অব মিউজিক স্কুলে বেহালা শিক্ষা শুরু করেন। চলুন, আমরা একসঙ্গে গানটি শুনবো।
(গান ৫)
বন্ধুরা, শুনছিলেন ওয়াং ফেং’র কণ্ঠে ‘বসন্তকালে’ শীর্ষক গান। ১৯৮৮ সাল থেকে তিনি সংগীত রচনার চেষ্টা করেন। ১৯৯০ সাল থেকে তিনি স্কুলের সিম্ফনি অর্কেস্ট্রার একজন সদস্য হিসেবে বিদেশে পরিবেশনা শুরু করেন। ১৯৯১ সালে তিনি একই স্কুলে বেহালা শিক্ষা শুরু করেন। ওই বছরেই তিনি চীনের বেহালা প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন। ১৯৯৪ সালে তিনি নিজের ব্যান্ড প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৭ সালে তার ব্যান্ড প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ করে। ২০০০ সালে তিনি নিজের প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ করেন। এখন তিনি সংগীত রচনা ছাড়াও বিভিন্ন সংগীত প্রতিযোগিতায় বিচারকের কাজ করেন। তার রক গান এখন চীনে সবচেয়ে জনপ্রিয় ম্যান্ডারিন রক গান। এখন আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে ‘বেইজিং, বেইজিং’ শীর্ষক গান। আশা করি, বন্ধুরা গানটি পছন্দ করবেন।
(গান ৬)
প্রিয় শ্রোতা, এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনারা আমাদের অনুষ্ঠানে কোনো পছন্দের গান শুনতে চান, তাহলে আমাদের জানাবেন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা হচ্ছে ben@cri.163.com. এবং আমার নিজস্ব ইমেইল ঠিকানা হলো caiyue@cri.com.cn। ‘গানের অনুরোধ’ সম্পর্কিত ইমেইল আমার নিজস্ব ইমেইল ঠিকানায় পাঠালে ভালো হয়। আজ তাহলে এ পর্যন্তই। আশা করি, আগামী সপ্তাহের একই দিনে, একই সময়ে আবারো আপনাদের সঙ্গে কথা হবে। ততক্ষণ সবাই ভালো থাকুন, আনন্দে থাকুন। চাই চিয়ান। (ছাই/হাশিম)