‘বিজনেস টাইম’পর্ব- ০৭
2024-04-05 16:44:49

 চীন ও চীনের বাইরের দুনিয়ার ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি-উন্নয়নের হালচাল নিয়ে নিয়মিত সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান ‘বিজনেস টাইম’।

এই পর্বে থাকছে:

১. চলতি বছর চীন-বাংলাদেশ মুক্তবাণিজ্য চুক্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে- জানালেন রাষ্ট্রদূত

২. চীন-বাংলাদেশ মুক্তবাণিজ্য চুক্তি নিয়ে বিশ্লেষণ

৩. ২০২৪ সালে চীনা মোটরসাইকেলের রপ্তানিতে রেকর্ড

কর্পোরেট প্রোফাইল:

চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে এ বছর। গত সপ্তাহে চীন-বাংলাদেশের মুক্তবাণিজ্য চুক্তির সম্ভাব্যতা যাচাই নিয়ে একটা প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। চলতি বছর কৃষি, স্বাস্থ্য, পানি প্রযুক্তি, জরুরি উদ্ধার ও চীনা ভাষা বিষয়ে বাংলাদেশের ১৯টি দ্বিপক্ষীয় অনুষ্ঠান, ৫০০টি প্রশিক্ষণ এবং ৩০টি বহুপক্ষীয় অনুষ্ঠানসহ সম্পন্ন হবে। বহুপক্ষীয় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশসহ অন্য দেশও অংশগ্রহণ করবে।

একইসঙ্গে অংশগ্রহণকারীরা চীন, চীনের উন্নয়ন, ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এ খাবার সম্পর্কে জানতে পারবে।

চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ও স্নাতকোত্তর ও পিএইচডির জন্য বৃত্তির আয়োজন করেছে। চীনা দূতাবাস ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ-ইআরডি এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। এ বছরের অক্টোবরের মধ্যেই সকল প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সম্পন্ন করা হবে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।

অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে কথা বলেন চীনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন কর্পোরেশনের ডেপুটি ডিরেক্টর অব জেনারেল মেং রান। দূতাবাসের ফাস্র্ট সেক্রেটারি শি শেন, বাংলাদেশের ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাসান সারোয়ার এবং ইআরডির অতিরিক্ত সচিব মো. আনোয়ার হোসেন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

।। প্রতিবেদন: শাহানশাহ রাসেল

।। সম্পাদনা: ফয়সল আবদুল্লাহ

বিশ্লেষণ পর্ব:

সম্প্রতি চীন ২২টি দেশের সাথে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করেছে। বাংলাদেশের সাথেও মুক্ত বাণিজ্যের সম্ভাব্যতা যাচাই চলমান রয়েছে।

এই বিষয়ে মতামত দিয়ে বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশের সম্পাদক ফরিদ হোসেন বলেন, এই চুক্তি নিয়ে গত দুই বছর ধরে কাজ চলছে। দ্রুত এর বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ বেশি উপকৃত হবে।

ভিন দেশে চীন:

চলতি বছরে মোটরসাইকেল রপ্তানিতে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে চীন। জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চীনা মোটরসাইকেল নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট রপ্তানি ১ দশমিক ১৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩১ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।

পূর্ব চীনের চেচিয়াং প্রদেশের থাইচৌ শহরে অবস্থিত একটি মোটরসাইকেল কারখানায় ইঞ্জিন, ব্রেক এবং অন্যান্য যন্ত্রাংশ একত্রিত করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কর্মীরা। কারখানাটির দায়িত্বপ্রাপ্তরা জানিয়েছেন, সম্প্রতি এ কারখানাটি প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে চারটি কন্টেইনারে করে মোটরসাইকেল বিদেশে রপ্তানি করছে।

চীনা মোটরসাইকেল অ্যাসোসিয়েশনের (সিএমএ) তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের প্রথম দুইমাসে চীনা মোটরসাইকেল নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ১ দশমিক ১৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মোটরসাইকেল রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩১ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। এছাড়া প্রথম তিন মাসে ২ দশমিক ৪ মিলিয়ন মোটরসাইকেল রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২২ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।

থাইচৌয়ের একটি মোটরসাইকেল আমদানি ও রপ্তানি কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার ইয়াং এনহুয়া বলেন, ‘বসন্ত উৎসবের সময় আমরা ব্যস্ত সময় পার করেছি, তবুও এই দুই মাসে আমাদের রপ্তানি মূল্য এখনও প্রায় দুই পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বছরের জানুয়ারিতে এটি ৪০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।’

থাইচৌয়ের আরেকটি মোটরসাইকেল নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক ব্যক্তি জানান, গত বছর থেকে কোম্পানিটি মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকা সহ নতুন বাজার তৈরি হয়েছে এবং সেখানে ভালো বিক্রয় হচ্ছে।

মোটরসাইকেল নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের উপ-মহাব্যবস্থাপক লি চিমিন বলেন,

চলতি বছর মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ আমেরিকার মতো অঞ্চলগুলোতে আমাদের মোটরসাইকেলের বাজার প্রসারিত করার পরিকল্পনা করছি। এসব অঞ্চল থেকে পাওয়া রপ্তানি অর্ডারের মোট মূল্য প্রায় ৪০ মিলিয়ন ইউয়ান।

বর্তমানে বিদেশী বাজারে বিক্রি হওয়া মোটরসাইকেলগুলো মূলত ২৫০ সিসির উপরে। এই গাড়ীগুলোতে সাধারণত স্বয়ংক্রিয় স্টার্ট-স্টপ এবং অ্যান্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেমের মতো ফাংশন থাকে। এছাড়া সামনের ড্যাশবোর্ডটি একটি স্মার্ট ডিভাইস হিসেবে ডিজাইন করা হয়েছে, যেখানে মোবাইল ফোন স্ক্রিন প্রজেক্টেশন, নেভিগেশন এবং টায়ারের চাপ সনাক্তকরণের মতো একাধিক ফাংশন রয়েছে। বিদেশী পণ্যের সঙ্গে তুলনা করলে চীনা মোটরসাইকেলের দাম কম এবং অপারেটিংয়ের ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার রয়েছে। 

।। প্রতিবেদন: শুভ আনোয়ার

।। সম্পাদনা: ফয়সল আবদুল্লাহ

প্রযোজনা, উপস্থাপনা ও অডিও সম্পাদনা - শাহানশাহ রাসেল

স্ক্রিপ্ট সম্পাদনা- ফয়সল আবদুল্লাহ

সার্বিক তত্ত্বাবধান- ইউ কুয়াং ইউয়ে আনন্দী