“আমাদের ভবিষ্যত এখানে রয়েছে!” মার্কিন ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের বিশেষজ্ঞ থাং হুই সি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বোআও এশিয়া ফোরামে চায়না মিডিয়া গ্রুপ-সিএমজিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন। তিনি জানান, আগে অনেক দেশে বসবাস করলেও এখন তিনি চীনে থাকেন। অনেক বছর ধরে, চীনের উন্নয়নের সম্ভাবনা, উন্মুক্ত ও বন্ধুপূর্ণ পরিবেশ তাঁর মনে গভীর ছাপ ফেলেছে।
এবারের বোআও এশিয়া ফোরামে বিশ্বের ৬০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলের প্রায় ২ হাজার রাজনীতিক, ব্যাবসায়ী প্রতিনিধি ও পণ্ডিত অশগ্রহণ করেন। ৪ দিনের ফোরামে, অংশগ্রহণকারীরা এবারের মূল প্রতিপাদ্য ‘এশিয়া ও বিশ্ব: অভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও অভিন্ন দায়িত্ব’ প্রসঙ্গটি নিয়ে গভীরভাবে মত বিনিময় করেছেন। পাশাপাশি তাঁরা আন্তর্জাতিক সামাজকে ঐকবদ্ধভাবে সহযোগিতা ও একযোগে উন্নয়নের আহ্বান জানিয়েছেন। এক্ষেত্রে চীনের ইতিবাচক ভূমিকা সব পক্ষের স্বীকৃতি পেয়েছে।
রাশিয়ার বিজ্ঞান একাডেমির বিশেষজ্ঞ বাবায়েভ সিএমজিকে জানান, ধারাবাহিক জটিল চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যেই, এশিয়া, বিশেষ করে চীন বিশ্ব অর্থনীতির টেকসই উন্নয়নের চালিকাশক্তিতে পরিণত হবে। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক বা প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, যাই হোক না কেন, চীনের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ রয়েছে।
এমন আত্ববিশ্বাস কোথা থেকে এসেছে? “চীনে বড় আকারের বাজার রয়েছে”, “চীন উচ্চ মানের উন্মুক্তকরণ সম্প্রসারণ করছে”, “চীনে শিল্পের ব্যবস্থা, মানব সম্পদ ও উদ্ভাবনের সুবিধা রয়েছে…”। ফোরামে একাধিক অংশগ্রহণকারী জানান, চীনের অর্থনীতির শুধু সম্ভাবনা রয়েছে তা নয়, বরং নতুন উন্নয়নের প্রাণশক্তি রয়েছে। জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইয়োকিও হাতোইয়ামা সিএমজিকে জানান, “আমি মনে করি চীনের অর্থনীতির সুষ্ঠু উন্নয়নের প্রবণতা বজায় থাকবে এবং বিশ্বের জন্য তা গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।”
অভিন্ন উন্নয়নের জন্য উন্মুক্তকরণ দরকার। সম্প্রতি, চীন ধারাবাহিক উচ্চমানের উন্মুক্তকরণ ব্যবস্থা চালু করেছে বা করছে। মার্কিন বিশেষজ্ঞ পেই চ্য মিন জানান, “বিদেশি পুঁজি শিল্পপ্রতিষ্ঠান চীনে উন্নয়ন করতে পারবে –এ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সংশ্লিষ্ট উপাত্তে দেখা যায়, এ বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে, চীনে নতুন করে প্রতিষ্ঠিত বিদেশি পুঁজি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা আগের চেয়ে ৩৪.৯ শতাংশ বেড়েছে। দেলোয়েত্তে কোম্পানির চীনের ডেপুটি সিইও লিউ মিং হুয়া মনে করেন, চীনের অর্থনীতির অব্যাহত উন্নয়ন অন্য দেশের জন্য বিপুল বাজার ও সহযোগিতামূলক সুযোগ প্রদান করছে এবং বিশ্বের অর্থনীতির উন্নয়ন ও স্থিতিশিলতা এগিয়ে নিচ্ছে।
উদ্ভাবন, সবুজ, উন্মুক্ত, ভাগাভাগি— চীনে এমন ভবিষ্যৎ লক্ষ্য করছেন আন্তর্জাতিক মহল। পাকিস্তানের জাতীয় টেলিভিশন স্টেশনের কর্মকর্তা সালেম খান জাগসাই মনে করেন, “তা শুধু চীনের ভবিষ্যৎ নয় ,বরং এশিয়া ও বিশ্বেরও ভবিষ্যৎ।”
(আকাশ/হাশিম/ফেইফেই)