মার্চ ২৯, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: চীনের ভোক্তা বাজার এখন জমজমাট। বসন্ত উৎসবের ছুটিতে বাজারে যে রমরমা ভাব ছিল তা মার্চের শুরু থেকে একই গতি বজায় রেখেছে। বিশেষ করে শাংহাই, নিংবোর মতো বাণিজ্যিক শহরগুলোতে দেদারসে কেনাকাটা করছেন ক্রেতারা।
খাদ্য সামগ্রী থেকে গাড়ি ও নানা রকম শৌখিন সামগ্রীর কেনাবেচা দারুণ জমে উঠেছে চীনে।
চেচিয়াং প্রদেশের নিংবো শহর এবং চিয়াংসি প্রদেশের হুইছাং শহরের বাজারে এসেছে মৌসুমি সবজি। তাজা সবজি দিয়ে তৈরি মুখরোচক সব খাবার তৈরি হচ্ছে যেগুলো ক্রেতারা আগ্রহভরে কিনে নিচ্ছেন। আগের চেয়ে বিক্রি ২০ শতাংশ বেড়েছে।
ছেন ইয়ুয়েবো একজন রেস্টুরেন্ট মালিক। তিনি বলেন, ‘এই মজাদার খাবারগুলো খুব জনপ্রিয়। এখন আমাদের ক্ষমতার তুলনায় অর্ডার অনেক বেশি পাচ্ছি। আমরা তাই কাছাকাছি কৃষিভিত্তিক হোমস্টেগুলোকে একসঙ্গে কাজ করার জন্য উৎসাহ দিচ্ছি।’
শাংহাই শহরের কেনাকাটাও চলছে জোরে শোরে।
বসন্ত আসার সঙ্গে সঙ্গে উন্মুক্ত ক্যাফেগুলো জমে উঠেছে। পোশাকের দোকানগুলোতেও চলছে কেনাকাটা। নিংবোর বিভিন্ন দোকানে চলছে ২০ শতাংশ ছাড়। এতে ক্রেতারা আরও আগ্রহ বোধ করছেন। ফুল, অলংকার, প্রসাধনী সামগ্রী সবকিছুর বাজারেই গতি এসেছে।
একজন ক্রেতা বলেন, ‘২০ শতাংশ ছাড় পাওয়াটা সত্যিই লাভজনক। যেসব জিনিস সাধারণতই আমরা কিনি যেমন পারফিউম, লিপস্টিক বা ত্বকের যত্নের প্রসাধনী সেগুলো এখন কিনে নিচ্ছি।’
চেচিয়াং প্রদেশের হাংচৌ সিটির দোকানগুলোতে গৃহস্থালি ইলেকট্রনিক পণ্যের কেনাবেচা বেড়েছে। এসব সামগ্রীর প্রোমোশনাল সেল চলার কারণে বিক্রি বেড়েছে।
একইভাবে হেনান প্রদেশে বিক্রি বাড়ানোর জন্য ১৭টি পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে। এই পদ্ধতিগুলোর মধ্যে আছে প্রোমোশনাল ডিসকাউন্ট এবং বিক্রয় মূল্যের উপর পাঁচ শতাংশ ভর্তুকি।
হেনান প্রদেশে তাই জমে উঠেছে গাড়ির বাজার।
শায়ানসি প্রদেশের সি’আন শহর তার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য বিখ্যাত। সি’আনের বিখ্যাত টেরাকোটা সৈন্য পুতুল ও অন্যান্য সুভ্যেনির সামগ্রীর চাহিদা বিপুল।
বসন্ত উৎসবের সময় টেরাকোটা সৈন্য ব্লাইন্ড বক্স নামের সামগ্রী তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এধরনের সাংস্কৃতিক ও সৃজনশীল ১০০০ পণ্য তৈরি হয়েছে চীনের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিকে ভিত্তি করে। এ ধরনের সামগ্রীর বিক্রি তিন মিলিয়ন ইউয়ানে দাঁড়িয়েছে যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি।
স্পেনের পর্যটক ফারনানদো রড্রিগেজ। তিনি বলেন, ‘আমরা চীনের দোকানে অনেক অর্থ ব্যয় করছি। বিশেষ করে এ ধরনের দোকানে। আমার পরিবার, পরিবারের সবাই, শিশু ও অভিভাবক সবাই সিআনের সংস্কৃতি পছন্দ করেছি।’
চীনের ভোক্তাবাজারের গতি চাঙা করে তুলেছে অর্থনীতি।
শান্তা/রহমান