'হাসিমুখ'
2024-03-21 10:00:14


 


আজকের অনুষ্ঠানে চীনের তাইওয়ানের একজন বিখ্যাত ও জনপ্রিয় গায়িকার সঙ্গে আপনাদেরকে পরিচয় করিয়ে দেবো, তার নাম ছি ইয়ু। তিনি তার কোমল ও আকর্ষণীয় কণ্ঠের জন্য পরিচিত। আত্মপ্রকাশের ৪০ বছরে তিনি অনেক জনপ্রিয় গান প্রকাশ করেছেন। চীনা সংগীত মহলের অনন্য ও খুব প্রভাবশালী একজন গায়িকা তিনি। বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আমরা একসঙ্গে তার কিছু সুন্দর গান শুনবো। অনুষ্ঠানের শুরুতে শুনুন ছি ইয়ু’র একটি সুন্দর গান ‘বিদায়’।গান ১

 

ছি ইয়ু ১৯৫৭ সালে চীনের তাইওয়ানের তাইচোং শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৮ সালে তিনি তাইওয়ানের ‘গোল্ডেন সুর’ সংগীত প্রতিযোগিতায় অংশ নেন এবং চ্যাম্পিয়ন হন। পরে তিনি এক সংগীত কোম্পানিতে যোগ দেন, শুরু হয় তার গায়িকা জীবন। পরের বছর ছি ইয়ু তার প্রথম অ্যালবাম ‘জলপাই গাছ’ প্রকাশ করেন। অ্যালবামের প্রধান গান ‘জলপাই গাছ’ চীনের বিখ্যাত নারী লেখক সান মাও’র একটি কবিতা অনুসারে রচিত হয়। গানের কথায় জন্মস্থানকে মিস করা ও সুন্দর ভবিষ্যতের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশিত হয়। এই গান মুক্তির পরই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং অনেক পুরস্কার পায়। যা পরে ছি ইয়ুর প্রতিনিধিত্বকারী একটি গান হয়। অনেক গায়ক বারবার গানটি গেয়েছে। বন্ধুরা, এখন শুনুন ছি ইয়ুর জনপ্রিয় গান ‘জলপাই গাছ’।গান ২

 

এখন আমরা শুনবো ‘হাসিমুখ’, যা ১৯৭৯ সালে ছি ইয়ু চলচ্চিত্র ‘হাসিমুখের’ জন্য গাওয়া একটি গান। গানে পপ সংগীতে ক্লাসিক সংগীতের উপাদান মিশ্রিত করা হয়, আর ছি ইয়ু’র কোমল ও আকর্ষণীয় কণ্ঠে এই গান মানুষদেরকে নতুন শোনার অভিজ্ঞতা দেয়। গানটি তাইওয়ান ‘ফিল্ম গোল্ডেন হর্স অ্যাওয়ার্ডের’ শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের গানের পুরস্কার পায়। ‘জলপাই গাছ’ ও ‘হাসিমুখ’ এ দুটি গান জনপ্রিয় হওয়ার কারণ ছি ইয়ু দ্রুত তাইওয়ানে সবার কাছে পরিচিত হয়ে ওঠেন। বন্ধুরা, এখন শুনুন ছি ইয়ু’র জনপ্রিয় গান ‘হাসিমুখ’।গান ৩

 

জনপ্রিয় হওয়ার পর ছি ইয়ু অনেক চলচ্চিত্রের জন্য গান গেয়েছেন। এসব গানের মধ্যে একটি গান উল্লেখ করতে হয়, তা হল ‘নৌকার গান’, যা ১৯৮৯ সালে তার চলচ্চিত্র ‘আটটি সোনার’ জন্য গাওয়া একটি গান। গানটি তাইওয়ানের বিখ্যাত সংগীত প্রযোজক লৌ তা ইয়ো তৈরি করেন। গানে বিদেশে কাজ করার মানুষ নৌকায় জন্মস্থানে ফেরা এবং মেয়ের সুন্দর পোশাক পরে নৌকায় বিয়ে করার দৃশ্য তুলে ধরা হয়। এতে চীনের লোকসংগীত ও ঐতিহ্যবাহী সংগীতের উপাদান ব্যবহার করে প্রাচ্যের সংগীতের সৌন্দর্য প্রদর্শন করা হয়। গানটি পরে তার প্রতিনিধিত্বকারী গান হয়। বন্ধুরা, এখন ছি ইয়ু গান ‘নৌকার গান’ শুনুন।গান ৪

 

অনেক চীনা বৈশিষ্ট্যময় গান গাওয়ার পাশাপাশি ছি ইয়ু’র ইংরেজি গানও খুব ভালো। ১৯৮৭ সাল থেকে তিনি কয়েকটি ইংরেজি অ্যালবাম প্রকাশ করেন। এর মধ্যে তার ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত ইংরেজি অ্যালবাম ‘Whoever finds this I love you’ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চীনা গায়কের ইংরেজি অ্যালবাম বিক্রির রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। ১৯৯৩ সালে তিনি রাশিয়ান সিম্ফনি অর্কেস্ট্রার সঙ্গে অ্যালবাম ‘love of my life’ তৈরি করেন, যা দেশ-বিদেশে উচ্চ প্রশংসিত হয়। বন্ধুরা, এখন আমরা একসঙ্গে শুনবো ছি ইয়ু’র একটি সুন্দর ইংরেজি গান ‘Whispering Steppes’।গান ৫

 

এখন আমরা শুনবো ছি ইয়ু’র ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত একটি গান, গানের নাম ‘পাখি ও মাছ’। এই গানের কথা তিনি নিজে লিখেছেন, পরে সুর দিয়েছেন। তিনি এই গানের মাধ্যমে পরিতাপপূর্ণ প্রেম তুলে ধরেন: দুটি মানুষ যেন পাখি ও মাছ, একে অপরকে খুব পছন্দ করলেও শেষ পর্যন্ত একসঙ্গে থাকতে পারে না। গানটি প্রকাশের পর এখনও অনেক জনপ্রিয়। বন্ধুরা, এখন শুনুন ছি ইয়ুর এই সুন্দর গান ‘পাখি ও মাছ’।গান ৬

 

সংগীত জীবনে ছি ইয়ুর জনপ্রিয় ও সুন্দর অনেক যে একটি অনুষ্ঠানে সব শোনা যায়। বন্ধুরা, অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে আমরা একসঙ্গে ছি ইয়ু’র আরেকটি খুব জনপ্রিয় গান ‘গল্প’ শুনবো। আশা করি, আপনারা তার গানগুলো পছন্দ করবেন।গান ৭

বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠান তাহলে এখানেই শেষ করছি। আশা করি, আমাদের অনুষ্ঠানে প্রচারিত গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। এখন বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন ও সুস্থ থাকুন। আবার কথা হবে। চাই চিয়ান।