‘তারুণ্যের অগ্রযাত্রা’ পর্ব ৬১
2024-03-13 18:58:39

     

                      

                              ‘তারুণ্যের অগ্রযাত্রা’ পর্ব ৬১

‘তারুণ্যের অগযাত্রা’ অনুষ্ঠানে স্বাগত জানাচ্ছি আমি রওজায়ে জাবিদা ঐশী।  দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেওয়ার প্রধান হাতিয়ার তারুণ্য। তরুণরা চাইলেই পারে সমাজকে বদলে দিতে। এজন্য দরকার তাদের চিন্তা ও মেধার সমন্বয়। চীন ও বাংলাদেশের তরুণদের অফুরান সম্ভাবনার কথা তুলে ধরবো এই অনুষ্ঠানে। তরুণদের সৃজনশীলতার গল্পগাঁথা নিয়েই সাজানো হয়েছে আমাদের তারুণ্যের অগ্রযাত্রা।

 

১. হানফুর আধুনিকতা, তারুণ্য ভাবনা এবং উদ্যোগ নিয়ে তথ্যচিত্র ‘কলিং অল হানফু ট্যালেন্টস’

চীনের ৫৬টি জাতির মধ্যে সবচেয়ে বড় গোষ্ঠী বলা হয় হান জাতিকে। আর এই জাতিগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী পোশাক হানফু। অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় যা বেশ শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছে।

 

পোশাকটির ব্যবহার এক সময় কমে গেলেও গত কয়েক বছরে কদর বেড়েছে হানফুর। এরইমধ্যে জায়গা করে নিয়েছে বর্তমান প্রজন্মের পছন্দের তালিকায়।

 

এমনকি এই হানফু নিয়ে অনেক তরুণ উদ্যোক্তা শুরু করেছেন কাজ। হানফু সংস্কৃতিকে নতুনত্বের আবহে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করতে অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে বহুমাত্রিক পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। হানফুকে পেশা হিসেবে নেয়া এমন দুই ডিজাইনার ফং ইয়ুছিং ও  ছাই শিয়াওথোং। তারা তিন বছর ধরে হানফু ডিজাইন নিয়ে কাজ করছেন।

তাদের মতে, হানফু ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মধ্যে একটি সেতুর মতো। তবে ব্যবধানটাও দেখিয়ে দেয়। আধুনিক ফ্যাশনের সঙ্গে মিল রেখে হানফু সংস্কৃতিকে তারা সময়োপযোগী করে তুলছেন তাদের সৃজনশীলতা দিয়ে।

 

হানফু এবং প্রাত্যহিক পোশাকে তেমন পার্থক্য নেই বলে মনে করেন  অনেকে। হানদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক হানফু একটি ফ্যাশন ধারা হিসেবে পুনরুজ্জীবিত হয়েছে এবং বর্তমানে এটি শখের পরিচ্ছদ থেকে নিত্যদিনের পোশাকেও পরিণত হচ্ছে।

সম্প্রতি চায়না গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক সিজিটিএনে সম্প্রচারিত একটি বিশেষ তথ্যচিত্র ‘কলিং অল হানফু ট্যালেন্টস’ এ মেগাব্র্যান্ডের দুই ডিজাইনার পোশাক সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করেছেন।

 

তারা বিশ্বাস করেন, হানফু প্রতিটি ঐতিহাসিক সময়ের সামাজিক প্রবণতা এবং মানবতাবাদী মূল্যবোধের প্রতিনিধিত্ব করে। কীভাবে হানফুকে ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মধ্যে ব্যবধান দূর করা যায় সে পথও  অনুসন্ধান করে যাচ্ছেন ফং ইয়ুছিং ও  ছাই শিয়াওথোং।

 

প্রতিবেদক : রওজায়ে জাবিদা ঐশী

সম্পাদক: ফয়সল আব্দুল্লাহ

 

২. শাংহাই ও শায়ানসিতে চাকরি মেলা

 

শাংহাইয়ে ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে নিয়োগ শুরু হয়। সেখানে চাকরি মেলাগুলো চাকরিপ্রার্থীদের জন্য ক্যারিয়ারের গঠনের ক্ষেত্রে নীতি পরামর্শ ও ক্যারিয়ার নির্দেশনার অঞ্চলকে প্রসারিত করেছে।

নীতি পরামর্শক অংশে শাংহাইতে বিভিন্ন বিভাগ এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের সমন্বিত সহযোগিতায় পরিচালিত হয়, যেখানে কর্মসংস্থান, উদ্যোক্তা, ছাত্র বিষয়ক, উদ্ধার সহায়তা, অধিকার সুরক্ষা সম্পর্কিত নীতি ব্যাখ্যা এবং পরামর্শ পরিষেবা প্রদান করা হয়।

ক্যারিয়ার গাইডেন্স এরিয়াটি ক্যারিয়ার কাউন্সিলরদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। তারা চীনের স্নাতক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে বিনামূল্যে নির্দেশিকা এবং প্রশ্নের উত্তর দিয়ে থাকেন।

 

শায়ানসিতে, চাকরিপ্রার্থীদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর কর্মসংস্থান বাড়ানোর জন্য অফলাইন এবং অনলাইনে চাকরি মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

 

এর আগে গেল মাসেই শায়ানসির প্রাদেশিক রাজধানী সিয়ান সিটিতে ২০২৪ সালের জন্য বড় আকারের বসন্ত চাকরি মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এই মেলা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকদের মতো মূল কর্মসংস্থান গোষ্ঠীর ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়। ২ শতাধিক বেশি নিয়োগকর্তা মেলায় অংশ গ্রহণ করেন এবং পরিবহন, লজিস্টিক থেকে শুরু করে বায়োফার্মাসিউটিক্যালস সহ বিভিন্ন বিষয়ে চাকরির সুযোগ দেন তারা।

কর্মসংস্থানে সহায়তার জন্য অনলাইন চাকরি মেলা এবং লাইভ স্ট্রিমিংও অনুষ্ঠিত হয়। মার্চের শেষ পর্যন্ত এসব কার্যক্রম চলবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানানো হয়।

 

প্রতিবেদক : রওজায়ে জাবিদা ঐশী

সম্পাদক: ফয়সল আব্দুল্লাহ

 

৩. চীন থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করে বাংলাদেশে একটি গাড়ি কারখানা করতে চান বাংলাদেশি শিক্ষার্থী

নয়ন চৌধুরী অর্জুন। সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর করছেন যানবাহন ও গতিশীলতায়। স্নাতক শেষ করেছেন নর্থ চায়না ইলেক্ট্রিক পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে।

 

তারুণ্যের অগ্রযাত্রার এই পর্বে নয়ন চৌধুরী অর্জুন চীন আন্তর্জাতিক বেতারকে জানান, দেশের মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে চান তিনি। তাই চীন থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করে বাংলাদেশে একটি গাড়ি কারখানা করার ইচ্ছা তার। দেশে উৎপাদিত এই গাড়িগুলো বাইরের দেশে রপ্তানি হলে অর্থনীতিতে একটি ভূমিকা রাখা সম্ভব বলে মনে করেন এই শিক্ষার্থী।

 

একটি দেশের জনসংখ্যাকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে কি করা উচিৎ এমন প্রশ্নের জবাবে নয়ন বলেন, সেদেশের শিক্ষা কাঠামোকে পরিবর্তন করা দরকার। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পর্যাপ্ত গবেষণা করার সুযোগ দিলে দক্ষ জনশক্তি তৈরি সম্ভব।  

 

সাক্ষাৎকার গ্রহণ : রওজায়ে জাবিদা ঐশী

 

আমাদের ‘তারুণ্যের অগযাত্রা’ আজ এই পর্যন্তই। পরবর্তী অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ জানিয়ে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি আমি রওজায়ে জাবিদা ঐশী। শুভকামনা সবার জন্য। আল্লাহ হাফেজ।  

 

পরিকল্পনা ,পরিচালনা ও সঞ্চালনা : রওজায়ে জাবিদা ঐশী 

অডিও সম্পাদনা: রফিক বিপুল

সার্বিক সম্পাদনা: ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দী