মার্চ ৭: চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, চীন একটি সমতাভিত্তিক ও সুশৃঙ্খল বৈশ্বিক বহুমুখিতা এবং অর্থনৈতিক বিশ্বায়ন সমর্থন করে, যা সকলের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উপকারী।
বৈশ্বিক প্রশাসনকে আরও ন্যায্য ও যুক্তিসঙ্গত করতে চীন বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক বলেও জানান তিনি।
আজ (বৃহস্পতিবার) বেইজিংয়ে চীনের চতুর্দশ জাতীয় গণকংগ্রেসের দ্বিতীয় অধিবেশনের পররাষ্ট্র বিষয়ক সাংবাদিক সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ওয়াং ই।
তিনি বলেন, সমতাভিক্তিক বহুমুখিতা হলো সকল দেশের সমান অধিকার, সমান সুযোগ এবং সমতাভিত্তিক নিয়মের প্রতিফলন। কয়েকটি দেশ বা কয়েকটি বড় দেশকে আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে একচেটিয়া অধিকার ভোগের সুযোগ দেওয়া যাবে না এবং দেশগুলোকে শক্তি ও অবস্থা অনুযায়ী নানা শ্রেণীতে বিভক্ত করা যাবে না – একথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “যার বড় মুষ্টি আছে তাকে চূড়ান্ত কথা বলার অনুমতি দেওয়া হয় এবং আমরা কিছু দেশকে টেবিলে থাকতে দিতে পারি না, অন্যরা শুধুমাত্র মেনুতে থাকতে পারে।”
তিনি বলেন, এটি নিশ্চিত করা প্রয়োজন যে, দেশগুলো, আকার, শক্তি বা দুর্বলতা নির্বিশেষে বহু-মেরুকরণ প্রক্রিয়ায় সমানভাবে অংশগ্রহণ করতে, তাদের অধিকার উপভোগ করতে এবং তাদের ভূমিকা পালন করতে পারে। তাঁর মতে, সুশৃঙ্খল বহুমুখিতার অর্থ হলো যৌথভাবে জাতিসংঘ সনদের উদ্দেশ্য ও নীতিগুলি মেনে চলা এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সার্বজনীনভাবে স্বীকৃত মৌলিক নিয়মগুলোকে যৌথভাবে মেনে চলা।
ওয়াং ই আরও বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্বায়নের লক্ষ্য অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরিসরকে আরও বড় ও উন্নত করা, যাতে বিভিন্ন দেশ, বিভিন্ন শ্রেণি এবং বিভিন্ন জনগোষ্ঠী এতে অংশগ্রহণ করতে পারে এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের ফল উপভোগ করতে পারে।
তিনি বলেন, পাশাপাশি দেশগুলোর মধ্যে উন্নয়ন ভারসাম্যহীনতা দূর করতে হবে, যাতে অভিন্ন উন্নয়ন ও অভিন্ন সমৃদ্ধি অর্জন করা যায়। তাঁর মতে, অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্বায়ন হলো দেশগুলোকে তাদের নিজস্ব অবস্থার সাথে মানানসই উন্নয়নের পথ খুঁজে বের করতে সহায়তা করা, উন্নয়ন মডেলগুলোর সরলীকরণ না করা, একতরফাবাদ এবং সুরক্ষাবাদ ত্যাগ করা, অন্যদের ক্ষতি এবং নিজের উপকার না করা, বৈশ্বিক শিল্প ও সরবরাহ চেইনের স্থিতিশীলতা এবং মসৃণতা বজায় রাখা এবং বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রাণশক্তি ও প্রেরণা বজায় রাখা।
(অনুপমা/রহমান)