এ বছর চীনের দুই অধিবেশনে কি কি তথ্য প্রকাশিত হবে
2024-03-05 15:31:26

মার্চ ৫: এ বছর হলো নয়া চীন প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বার্ষিকী এবং চতুর্দশ পাঁচসালা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক বছর। সেজন্য এ বছর চীনের দুই অধিবেশন আয়োজনের গুরুত্বপূর্ণ তাত্পর্য রয়েছে।

২০২৩ সালে চীনের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার হয়েছে। চীনের জিডিপি ১২৬ ট্রিলিয়ন আরএমবি ছাড়িয়ে গেছে। যা ২০২২ সালের তুলনায় ৫.২ শতাংশ বেড়েছে। এটি বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ৩০ শতাংশের বেশি অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। সার্বিকভাবে সমাজতান্ত্রিক আধুনিক দেশ নির্মাণ জোরদার হচ্ছে।

এ বছর চীনা অর্থনীতি ও সমাজ উন্নয়নে বেশি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে আরো বেশি নতুন সুযোগ তৈরি হবে।

বর্তমান বিশ্ব বিশৃঙ্খলায় জড়িত এবং শত বছরের অভূতপূর্ব পরিবর্তন হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সমাজে বিভিন্ন রাজনৈতিক বিতর্ক ও সামরিক সংঘাত চলছে। বিশ্বের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দুর্বল হয়ে পড়ছে।

দেশীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যায়, সমাজের পূর্বাভাস ক্রমান্বয়ে জোরদার হচ্ছে। বড় আকারের বাজারের সুপ্তশক্তি বিরাট। নীতিগত অবস্থান পর্যাপ্ত। উচ্চ মানের উন্নয়নে সমর্থন অব্যাহতভাবে বাড়ছে।

গত বছরের শেষ দিকে আয়োজিত কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক কর্ম সম্মেলনে পদ্ধতিগতভাবে ২০২৪ সালের অর্থনৈতিক কর্ম ব্যবস্থাপনা করা এবং নতুন যুগে অর্থনৈতিক কর্মের অভিজ্ঞতা সারসংক্ষেপ করা হয়েছে। সম্মেলনে স্থিতিশীলভাবে উন্নয়ন জোরদার করা, উন্নয়নের মাধ্যমে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা এবং প্রথমে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।

এ বছর নতুন উত্পাদনশীল শক্তির বিকাশ জোরদার করা থেকে নতুন শক্তির উচ্চ-মানের বিকাশ প্রচার করা হচ্ছে। সার্বিকভাবে উন্নয়নের নতুন ধারণা বাস্তবায়ন এবং নতুন কাঠামো গড়ে তোলার ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।

এ বছর দুই অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি সিপিসি’র কেন্দ্রীয় পলিট ব্যুরো’র আয়োজিত সম্মেলনে এ বছরের সরকারি কার্যবিবরণী নিয়ে আলোচনা করা হয়। সম্মেলনে এ বছর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের চেষ্টা করার কথা জোর দিয়ে বলা হয়।

গত ফেব্রুয়ারিতে সিপিসি’র কেন্দ্রীয় কমিটি’র গভীরতর সংস্কার কমিশনের আয়োজিত চতুর্থ সম্মেলনে বলা হয়, এ বছর হলো সার্বিকভাবে সংস্কার গভীরতর করার গুরুত্বপূর্ণ বছর। এ বছরের প্রধান দায়িত্ব হলো আরেক ধাপে সার্বিকভাবে সংস্কার গভীরতর করা।

চীনের দুই অধিবেশন হলো বিশ্বের চীনকে পর্যবেক্ষণ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ জানালা। কিভাবে উচ্চ-স্তরের উন্মুক্তকরণ উন্নীত করা যায়, তা বহির্বিশ্বের ব্যাপক মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। চতুর্দশ পাঁচসালা পরিকল্পনা ও ২০৩৫ সালের দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যের রূপরেখা বাস্তবায়নের মধ্য-মেয়াদী মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বলা হয়, জিডিপির ইউনিট প্রতি শক্তি খরচ হ্রাসের মতো সূচকগুলো প্রত্যাশার চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে।

অচিরে আয়োজক সিপিসি’র কেন্দ্রীয় পলিট ব্যুরোর দ্বাদশ পূর্ণাঙ্গ শাখায় চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বলেন, চীনের জ্বালানি সম্পদের উন্নয়ন এখনও বিপুল চাহিদার চাপ, অনেক সরবরাহের সীমাবদ্ধতা এবং সবুজ ও কম-কার্বন রূপান্তরের কঠিন কাজগুলোর মতো একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পদ্ধতি হলো ব্যাপকভাবে নতুন জ্বালানিসম্পদ উন্নয়ন।

মহাকাশ খাতে শক্তিশালী দেশ, পরিবহন খাতে শক্তিশালী দেশ, শিক্ষায় শক্তিশালী দেশ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে শক্তিশালী দেশ গঠনের মতো ধারাবাহিক লক্ষ্য কিভাবে বাস্তবায়িত হবে? দুই অধিবেশনে এসব প্রশ্নের জবাব দেয়া হবে।

(ছাই/তৌহিদ)