আজকের অনুষ্ঠানে চীনের একজন গায়ক, অভিনেতা ও সংগীত প্রযোজকের সঙ্গে আপনাদেরকে পরিচয় করিয়ে দেবো, তার নাম চাও ইং চুন। তিনি তার গান রচনার দক্ষতা ও আকর্ষণীয় কণ্ঠের জন্য পরিচিত, মানুষ তাকে ‘সংগীত প্রতিভা’ বলে। তিনি অনেক চলচ্চিত্রের জন্য গান রচনা করেছেন এবং গান গেয়েছেন। এর মধ্যে অনেক গান বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আমরা একসঙ্গে তার কিছু সুন্দর গান শুনবো। অনুষ্ঠানের শুরুতে শুনুন চাও ইং চুনের একটি সুন্দর গান ‘বিশ্বে অস্তিত্বহীন গান’।গান ১
চাও ইং চুন ১৯৭৭ সালে চীনের লিয়াও নিং প্রদেশের ফু শুন শহরে জন্মগ্রহণ করেন। মাধ্যমিক স্কুলে পড়ার সময়ে তার সংগীত ও অভিনয়ের প্রতি গভীর আগ্রহ তৈরি হয় এবং নিজে গিটার শেখা শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার পর চাও ইং চুন তার মায়ের পরামর্শে একটি ব্যাংকে কাজ করেন। তবে সংগীতের প্রতি তার আগ্রহ ও পছন্দ আরো বেড়ে যায়। ১৯৯৮ সালে তিনি বন্ধুদের সঙ্গে ‘অসম্ভব’ নামে একটি ব্যান্ডদল প্রতিষ্ঠা করেন। কাজের বাইরে তার ব্যান্ডদল নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় পারফর্ম করতেন, তিনিও ইন্টারনেটে নিজ রচিত গান প্রকাশ করেন। ২০০২ সালে চাও ইং চুন ব্যাংকের চাকরি থেকে পদত্যাগ করেন, তিনি বেইজিংয়ে এসে তার সংগীতের স্বপ্ন পূরণ করা শুরু করেন।গান ২
২০০৪ সালে চাও ইং চুন একটি জনপ্রিয় টিভি সংগীত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। এতে তার সুন্দর গান ও চমত্কার পারফরমেন্স দর্শকদের পছন্দ হয়। এর মাধ্যমে তার পেশাদার গায়কজীবন শুরু হয়। বন্ধুরা, এখন আমরা শুনবো চাও ইং চুনের গাওয়া একটি জনপ্রিয় গান ‘চমত্কার ২০০৫’। তিনি তখনকার জনপ্রিয় ২৩টি গানের অংশ বেছে নিয়ে একটি নতুন গান রচনা করেন। এই গান ইন্টারনেটে মুক্তির পরই বেশ জনপ্রিয় হয়। বন্ধুরা, এখন চাও ইং চুনের গান ‘চমত্কার ২০০৫’ শুনুন।গান ৩
জনপ্রিয় গায়ক হলেও চাও ইং চুনের গান সাধারণ মানুষের জীবনের খুব কাছাকাছি। সাধারণ জীবন থেকে গান রচনার অনুপ্রেরণা পেয়েছেন তিনি। এই কারণে তার রচিত অনেক গান মানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে একই অনুভূতি সৃষ্টি করেছে। বন্ধুরা, এবার আমরা শুনবো তার গান ‘তেলাপোকার মত বাঁচো’। চীনে তেলাপোকার একটি নাম হল ‘সিয়াও ছিয়াং’ বা ‘শক্তিশালী’। কারণ, এর শক্তিশালী জীবনশক্তি আছে, খুব কঠোর পরিবেশে বেঁচে থাকতে পারে। তিনি এই রচনা করেছেন যারা সাধারণ হলেও সাহসী ও পরিশ্রমের সঙ্গে নিজের স্বপ্ন অনুসরণ করে তাদেরকে প্রশংসা করে। বন্ধুরা, এখন চাও ইং চুনের গান ‘তেলাপোকার মত বাঁচো’ শুনুন।গান ৪
২০০৯ সাল থেকে বন্ধুর আমন্ত্রণে চাও ইং চুন চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে শুরু করেন। প্রধান চরিত্রে অভিনয় না করলেও তার অভিনয় অনেক প্রশংসিত হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি অনেক চলচ্চিত্রের জন্য গান রচনা করেছেন। তার গান চলচ্চিত্রকে অনেক আকর্ষণীয় করেছে, এমনকি তার কিছু গান চলচ্চিত্রের চেয়ে বেশি জনপ্রিয়। অনেক মানুষ এসব গানের মাধ্যমে চাও ইং চুন জেনেছে এবং তার সংগীত পছন্দ করেছে। বন্ধুরা, এখন আমরা একসঙ্গে চাও ইং চুনের চলচ্চিত্র ‘চায়নাটাউন গোয়েন্দার জন্য রচিত ও গাওয়া গান ‘চায়নাটাউন’।গান ৫
এবার আমরা শুনবো চলচ্চিত্রের জন্য রচিত ও গাওয়া চাও ইং চুনের একটি গান, গানের নাম ‘তোমাকে একটি ছোট লাল ফুল দেই’। গানটি একই নামের চলচ্চিত্রের থিম সং। এই চলচ্চিত্রে বলা হয় কিছু সাধারণ মানুষ ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করার মর্মস্পর্শী একটি গল্প। চীনে লাল ফুল প্রশংসার প্রতীক। এই গানের মাধ্যমে তিনি এ ধারণা প্রকাশ করতে চান যে, যারা রোগের সঙ্গে লড়া করে, অবশেষে সফল বা ব্যর্থ হোক না কেন, তারা প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। গানটি অনেক মানুষকে মুগ্ধ করেছে, এটাও চাও ইং চুনের প্রতিনিধিত্বকারী গানে পরিণত হয়েছে। বন্ধুরা, এখন গান ‘তোমাকে একটি ছোট লাল ফুল দেই’ শুনুন।গান ৬
২০২১ সালে চাও ইং চুন লিভার ক্যান্সারে মারা যান। প্রায় ২০ বছরের সংগীত জীবনে তিনি অনেক চমত্কার গান রচনা করেছেন, এখনও তার গান বার বার গাওয়া হয়। বন্ধুরা, অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে আমরা একসঙ্গে চাও ইং চুনের আরেকটি সুন্দর গান ‘উপভাষা’ শুনবো। আশা করি, আপনারা তার গানগুলো পছন্দ করবেন।গান ৭
বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠান তাহলে এখানেই শেষ করছি। আশা করি, আমাদের অনুষ্ঠানে প্রচারিত গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। এখন বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন ও সুস্থ থাকুন। আবার কথা হবে। চাই চিয়ান।