রোববারের আলাপন:‘সুরেলা ও সুন্দর গ্রাম ফুটবল প্রেমিয়ার লিগ’-এর নতুন সিজন শুরু
2024-02-25 06:36:36

আকাশ: সুপ্রিয় শ্রোতা, সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানে। আপনাদের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমাদের সাপ্তাহিক আয়োজন ‘রোববারের আলাপন’। আপনাদের সঙ্গে আছি আমি আপনাদের বন্ধু আকাশ এবং তৌহিদ।


বন্ধুরা, চীনে এখন ‘সুরেলা ও সুন্দর গ্রাম ফুটবল প্রেমিয়ার লিগ’ তথা ‘ছুন ছাও’অনেক জনপ্রিয়। আমরা আজ এ বিয়ে কথা বলব, কেমন?


বন্ধুরা, সম্প্রতি চীনের কুইচৌ প্রদেশের রংচিয়াং কাউন্টিতে ‘সুরেলা ও সুন্দর গ্রাম ফুটবল প্রেমিয়ার লিগ’ তথা ‘ছুন ছাও’-এর নতুন সিজন শুরু হয়েছে। গত বছরের মে মাসে উদ্বোধনের পর এই লিগ দেশের সব ফুটবলপ্রেমির নজর কাড়ে।


প্রথমবার ছুন ছাও-এ মোট ২০টি ফুটবল দল অংশগ্রহণ করেছিল। আর চলতি বছর মোট ৬২টি গ্রাম ফুটবল দল এতে অংশগ্রহণ করছে। এ ৬২টি দল রংচিয়াং কাউন্টির সব গ্রাম ও আবাসিক কমিউনিটি থেকে এসেছে। দলগুলোকে মোট ১০টি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। পরিকল্পনা অনুসারে, চলতি বছরের মে মাসে, ‘ছুন ছাও’-এর ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। 


‘ছুন ছাও’-এর সব অংশগ্রহণকারী, ফুটবলার থেকে রেফারি পর্যন্ত, সমাজের বিভিন্ন মহল থেকে এসেছেন। তাদের কেউ বারবিকিউ তৈরি করেন, কেউ শিক্ষক, কেউ সরকারি কর্মকর্তা। তাদের বয়সেও রয়েছে পার্থক্য। তবে, ফুটবলের প্রতি তাদের ভালোবাসা ও আগ্রহ একই। 


‘ছুন ছাও’ আসলে গ্রামাঞ্চলের পুনরুজ্জীবনে অবদান রাখছে। এ পর্যন্ত, মোট ৫০ লাখেরও বেশি পর্যটক ‘ছুন ছাও’ দেখতে রংচিয়াংয়ে এসেছেন এবং পর্যটন থেকে এলাকার আয় হয়েছে প্রায় ৬০০ কোটি ইউয়ান। পাশাপাশি, ২০৪টি নতুন রেস্তোরাঁ গড়ে উঠেছে এখানে। গত বছরের ‘ছুন ছাও’ আয়োজনের সময়, গোটা কাউন্টিতে কৃষির বৈশিষ্ট্যময় পণ্যের বিক্রির পরিমাণ ছিল ৪০ কোটি ইউয়ান।

ভাই, ‘ছুন ছাও’য়ের খরব দেখে কেমন লাগছে?

তৌহিদ:...


ভাই, ‘ছুণ ছাও’য়ের কথা বলে, বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের কথা আমার মনে পড়ছে। তখন আমি দেখেছি, অনেক ছেলে মাঠে ফুটবল খেলছে এবং তারা অনেক আনন্দিত। এ সম্পর্কে আপনি কিছু বলতে পারেন কি?

তৌহিদ:..

ভাই, চীনারা ফুটবল বা অন্য ক্রীড়া অনেক পছন্দ করেন। এ সম্পর্কে আপনি কি মনে করেন?

তোহিদ:...


আপনার নিজের চীনের ক্রীড়ায় অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা আমাদের বলতে পারবেন কি?

তৌহিদ:...

সংগীত

বন্ধুরা, প্রথমে আমরা ‘ ছুন ইউন’নিয়ে আলাপ করব, কেমন? প্রথমে আমরা আপনাদের সাথে একটি খবর জানাই।


সংশ্লিষ্ট তথ্যে দেখা গেছে, ‘বসন্ত উৎসবে যাতায়াতের ব্যস্ততা’ তথা ‘ছুন ইউনের’ প্রথম দিন ২৬ জানুয়ারি দেশজুড়ে যাতায়াত করেছে ১৮৯৩.৫২ লাখ মানুষ। যা গত বছরের ডিসেম্বরের একই দিনের চেয়ে ৯.৫ শতাংশ বেশি এবং ২০২৩ সালের একই সময়ের চেয়ে ১৯.৭ শতাংশ বেশি।


এর মধ্যে রেলপথে যাত্রীসংখ্যা ১১০.৬৩ লাখ, যা ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের একই দিনের চেয়ে ১২.১শতাংশ বেশি এবং ২০২৩ সালের একই সময়ের চেয়ে ৭৮ শতাংশ বেড়েছে। 


সড়কপথে যাতায়াত করা যাত্রীসংখ্যা ১৭৫৬.৪ লাখ; যা ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের একই দিনের চেয়ে ৯.৪ শতাংশ বেশি, ২০২৩ সালের একই সময়ের চেয়ে ১৬.৬ শতাংশ বেশি। 


নৌপথে যাত্রীসংখ্যা ৫.৮৩ লাখ; যা গত বছরের ডিসেম্বরের একই দিনের চেয়ে ১৭.২ শতাংশ বেশি এবং ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় ৪৮.৬ শতাংশ বেশি। 


বিমানযাত্রীর সংখ্যা ২০.৬৬ লাখ পৌঁছেছে। এ সংখ্যা গত বছরের ডিসেম্বরের একই দিনের চেয়ে ৪.১ শতাংশ বেশি এবং ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় ১১১.৮ শতাংশ বেড়েছে। 


উল্লেখ্য, এ বছর ‘ছুন ইউন’ ২৬ জানুয়ারি থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত- মোট ৪০ দিন বজায় থাকবে। এ সময় চীনারা জন্মস্থানে ফিরে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে পুনর্মিলনের চেষ্টা করেন অথবা পরিবার নিয়ে ভ্রমণ করেন।


ভাই, ‘ছুন ইউন’য়ের অভিজ্ঞতা আপনার আছে? তখন আপনি ট্রেন বা কিভাবে ভ্রমণ করেছেন?

তোহিদ:...

বসন্ত উতসবে সবাই জন্মস্থানে ফিরে যান, এজন্য ‘ ছুন ইউন’য়ের জন্ম হয়। বাংলাদেশে ঈদের সময় ‘ ছুন ইউন’র মত একই রকম ব্যস্ততা দেখা যায়। তাইনা?

তৌহিদ:...