লিউ ছোং বা কী. এল ১৯৮৮ সালের ১৩ আগস্ট চীনের হুনান প্রদেশের হেংইয়াং শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চীনের মূল-ভূখণ্ডের একজন গায়ক, গীতিকার এবং র্যাপ গ্রুপ সি-ব্লকের সদস্য।
২০০৭ সালে তিনি র্যাপ গ্রুপ সি-ব্লকে যোগ দেন। ২০০৮ সালে তিনি গ্রুপের সঙ্গে অ্যালবাম ‘সিয়াং শো’ প্রকাশ করেন। ২০১৪ সালে তিনি তাঁর প্রথম একক গান ‘২৬ বছরের বাচ্চা’ প্রকাশ করেন। একই সময় তিনি সি-ব্লকের সঙ্গে ‘পুরনো সময়’ নামক অ্যালবাম প্রকাশ করেন।
বন্ধুরা, কী. এল লিউ ছোংয়ের আরও গল্প আমি পরেও আপনাদেরকে শোনাবো। তবে, তার আগে আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদেরকে তাঁর সেই ‘২৬ বছরের বাচ্চা’ এবং ‘পুরনো সময়’ নামক অ্যালবামের শিরোনামের গান দুটি শোনাবো।
২০১৬ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে লিউ ছোং র্যাপ গ্রুপের সঙ্গে অ্যালবাম ‘তিনটি ঘাটতি এক’ প্রকাশ করেন। অ্যালবামে বেশ কয়েকটি গানে আবার ছাংশা উপভাষা ব্যবহৃত করা হয়। ফলে এগুলোতে আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্য অতি স্পষ্ট। বিশেষ করে, ‘সাত মাইল আট মাইল’ গানটি অতি উত্তম ও জনপ্রিয়। এমনকি অনেক তরুণ শ্রোতার শোনা প্রথম র্যাপ গান এটি।
২০১৯ সালের ১১ জানুয়ারি কী. এল তাঁর প্রথম অ্যালবাম ‘কী টু এল’ প্রকাশ করেন। এতে ‘দুটো বিশ্ব’, ‘মনিকা’ এবং ‘বাড়ি থেকে পালিয়ে যাই’সহ মোট ১১টি গান অন্তর্ভূক্ত করা হয়। একই বছরের আগস্টে তিনি ‘দ্য র্যাপ অব চায়না ২০১৯’ অনুষ্ঠানে অংশ নেন এবং ‘হেই কং’ গানটি দিয়ে সেমিফাইনালে প্রবেশ করেন। তাহলে প্রিয় বন্ধুরা, এখন আমি আপনাদেরকে সঙ্গে ‘কী টু এল’ এবং ‘হেই কং’ গান দুটো শুনবো, কেমন?
২০১৯ সালের ১০ অক্টোবরে লিউ ছোং তাঁর দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘ব্লক গল্প’ প্রকাশ করেন। কিছুক্ষণ আগে আপনারা যে ‘হেই কং’ গানটি শুনেছিলেন, সেটাও এ অ্যালবামে রাখা হয়। তাছাড়া অ্যালবামে ‘রাষ্ট্রের নামে’ এবং ‘মাই বু’সহ ১৪টি গান অন্তর্ভূক্ত রাখা হয়। ৩ নভেম্বরে তিনি কাফে হু’র সঙ্গে একটি একক গান ‘ইকোনমি ক্লাস’ প্রকাশ করেন। পরে তিনি সিসিটিভি’র অনুষ্ঠানেও গান পরিবেশন করেন। বন্ধুরা, এখন আমি আপনাদের শোনাতে চাই, লিউ ছোংয়ের ‘ইকোনমি ক্লাস’ গানটি।
বন্ধুরা, কেমন লেগেছে গানগুলো? গান শুনতে শুনতে বিদায়ের সময় চলে এসেছে। অনুষ্ঠান শেষে আমি আপনাদেরকে কী. এল লিউ ছোংয়ের আরেকটি গান শোনাতে চাই। গানের নাম ‘ছাংশা হুড’।
(প্রেমা/রহমান)