চীন-ফ্রান্স কূটনৈতিক সম্পর্কের ৬০তম বার্ষিকী অনুষ্ঠানের তাৎপর্য জানালেন ওয়াং ওয়েনবিন
2024-02-08 15:25:54



ফেব্রুয়ারি ৮: চীন ও ফ্রান্সের সাংস্কৃতিক ও পর্যটন-বর্ষ আয়োজনের তাৎপর্য নিয়ে সাংবাদিকের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন। গতকাল (বুধবার) নিয়মিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ওয়াং বলেন, এটি হলো গত বছর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর চীন সফরকালে দ্বিপক্ষীয় সাংস্কৃতিক বিনিময় ও জনগণের উন্নয়নের জন্য দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে পৌঁছানো গুরুত্বপূর্ণ মতৈক্যের প্রতিফলন। 

তিনি আরও বলেন, ২০০৩ ও ২০০৫ সাল থেকে চীন ও ফ্রান্স একে অপরের দেশে সংস্কৃতি-বর্ষ পালন করছে। ২০১৪ সালে চীন ও ফ্রান্সের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকীর ধারাবাহিক কিছু অনুষ্ঠানের পর এটি ছিল আরেকটি গুরত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক বিনিময় প্রকল্প।

মুখপাত্র বলেন, দু’দেশই এবারের সংস্কৃতি ও পর্যটন বর্ষের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরাও জোর দিয়ে বলেছেন, এবারের সুযোগ কাজে লাগিয়ে দুই দেশের জনগণ বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে যোগাযোগ দৃঢ় হবে। যার হাত ধরে গড়ে উঠবে ভবিষ্যত চীন-ফ্রান্স সম্পর্কের ভিত্তি।

২০২৪ সালের চীন-ফ্রান্স সংস্কৃতি ও পর্যটন বর্ষ এবং প্যারিস অলিম্পিক গেমসের সুবাদে ফ্রান্সের সঙ্গে পারস্পরিক বোঝাপড়া বাড়াতে চায় চীন। সেইসঙ্গে দুদেশের জনগণের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধন তৈরিতে আরও বিনিময় ও মিথস্ক্রিয়া চালানোর সুযোগটাও হাতছাড়া করতে চায় না চীন। 

ফ্রান্সকে ১৫ দিনের ভিসামুক্ত পলিসি দিয়েছে চীন। চীনের বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে, স্থানীয় সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা নিতে, ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাদ নিতে, চীনা সভ্যতা সম্পর্কে জানতে, চীনের উন্নয়ন ও রূপান্তর চাক্ষুষ করতে, এবং সর্বোপরি চীনা ও ফরাসি জনগণের মধ্যে থাকা ভাতৃত্ব অনুভব করতে আরও বেশি ফরাসি পর্যটককে স্বাগত জানিয়েছে চীন।



-প্রেমা/ফয়সল