জু হাই
2024-02-07 11:40:32

জু হাই ১৯৭৬ সালের ১০ মে চীনের আনহুই প্রদেশের বেংবু শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চায়না কনজারভেটরি অব মিউজিকের একজন স্নাতক। জু হাই লোকশৈলী গানের গায়িকা এবং চীনের জাতীয় প্রথম শ্রেণির অভিনেত্রী।

 

১৯৯১ সালে তিনি যখন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ অর্থাৎ দশম গ্রেডে লেখাপড়া করেন, তখন তিনি বেইজিংয়ে গিয়ে সংগীত একাডেমিতে ভর্তি পরীক্ষা দেন। তিনি শতাধিক প্রার্থীর মধ্য থেকে চায়না কনজারভেটরি অব মিউজিক-অধিভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভর্তি হয়ে সংগীতের পথে চলে আসেন।

চায়না কনজারভেটরি অব মিউজিক-অধিভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১৯৯৪ সালে স্নাতক হবার পর জু হাই তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের পড়াশোনা চালাতে থাকেন। ১৯৯৮ সালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সিসিটিভির অষ্টম তরুণ গায়ক গ্র্যান্ড প্রিক্সে অংশ নিয়ে রৌপ্যপদক জেতেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি সিসিটিভির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন। জুন মাসে তিনি সিসিটিভির তৈরি গান ‘কার জন্য’ গান। একই বছর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হবার পর তিনি চীনের সংগীত ও নৃত্য দলে প্রবেশ করেন এবং সেখানকার একক কণ্ঠশিল্পী হন। তখন থেকে তিনি সত্যিকারের পারফরমেন্সের পথে হাঁটতে শুরু করেন। 

 

১৯৯৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জু হাই প্রথমবারের মতো সিসিটিভির বসন্ত উত্সব গালায় সংগীত পরিবেশন করেন। তিনি অন্য একজন কণ্ঠশিল্প থোং থিয়েশিনের সঙ্গে ‘কার জন্য’ গানটি পরিবেশন করেন। দর্শকভোটে গানটি বসন্ত উত্সব গালা অনুষ্ঠানের তৃতীয় স্থান অর্জন করে। ২০০০ ও ২০০১ সালের বসন্ত উত্সব গালায় তিনি অন্য কণ্ঠশিল্পীদের সঙ্গে ‘আজ রাত দীর্ঘ’ এবং ‘পুনর্মিলনের জন্য আশাবাদী’ গান দুটি গান। ২০০২ সালে তিনি প্রথমবারের মতো সিসিটিভির বসন্ত উত্সব গালায় একক গান পরিবেশন করেন। গানের নাম ‘আমার পরিবার চীনে আছে’। সে গানটিও দর্শকভোটে বসন্ত উত্সব গালায় তৃতীয় স্থান পায়। ২০০৪ সালে সিসিটিভির বসন্ত উত্সব গালায় তিনি আবারও একক গান ‘শুভকামনা’ পরিবেশন করেন। সেটি দর্শকভোটে বসন্ত উত্সব গালা অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় স্থান পায়। 

জু হাই ২০০৫ সালে বসন্ত উত্সব গালায়ও সংগীত পরিবেশন করেন। একই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ৪০তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত বড় মাপের কার্যক্রমে অংশ নেন। এতে তিনি একক গান ‘সুখের লোকগান’ পরিবেশন। অক্টোবরে তিনি পরপর দশম জাতীয় গেমসের সমাপ্তি অনুষ্ঠান এবং তাইওয়ান মুক্তির ৬০তম বার্ষিক গালায় পরিবেশন করেন। একই সময় তিনি চায়না কনজারভেটরি অব মিউজিকের মাস্টার ডিগ্রি প্রার্থী হন। 

 

চাকরি করার পর থেকে জু হাই বহু বার রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের পুরষ্কার জিতেছেন। তিনি বার বার সিসিটিভি ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের বড় ধরনের অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন। তাঁর সবই গান ইতিবাচক ও জনগণের জীবনঘনিষ্ঠ। তিনি পরপর ১৫টি অ্যালবাম প্রকাশ করেন এবং ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলে বড় সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেন। তিনি চীনের লোকগানের উন্নয়নে বড় অবদান রাখেন। ‘পাহাড় ও নদী, আমার কথা শোনে’ গানটি তাঁর লেখা এবং তাঁর সুরারোপিত। গানটি তাঁর ‘শুভকামনা’ নামে অ্যালবামে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। 

 

(প্রেমা/রহমান)