‘ফিরে আসা’
2024-02-06 10:10:36

বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আপনাদেরকে চীনের খুব জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ছি ছিনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবো এবং তার কণ্ঠে কয়েকটি সুন্দর গান শোনাবো।

ছি ছিন ১৯৬০ সালে ১২ জানুয়ারি চীনের তাইওয়ান প্রদেশের তাইচুং শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হলেন চীনা সংগীতমহলের খুব মর্যাদাপূর্ণ একজন কণ্ঠশিল্পী ও অভিনেতা। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত ছি ছিন রেস্তোরাঁয় গান গাইতেন এবং নিজে গান রচনা করতেন।

১৯৮১ সালে ছি ছিনের প্রথম অ্যালবাম ‘আবার তাকে দেখেছি’ প্রকাশিত হয়। তারপর একই বছর ছি ছিন নৌবাহিনীতে যোগ দেন। সেখানে তিনি তিন বছর কাজ করেন। ১৯৮৫ সালে ছি ছিনের ‘নেকড়ের অ্যালবাম’ বাজারে আসে। ১৯৮৬ সালে ছি ছিন প্রেমের চলচ্চিত্র ‘সুন্দর সবুজ ঘাসে’ অভিনয় করেন।

বন্ধুরা, এখন শুনুন ছি ছিনের গান ‘ফিরে আসা’। গানের কথায় বলা হয়, বাতাস ও রোদ সব পথে উড়ে। তখনও অনেক ধুলো লেগেছে। এই কুয়াশা শুধু অপ্রতিরোধ্য আমার দিকে গড়াগড়ি উচিত নয়।

আমি তুমি নই, আমি বুঝতে পারবো না। এটা ঠিক আছে যদি আমি শুধু তোমাকে যেতে দেখতে পারি। আমাদের ভালোবাসা আর নেই। আর উত্তেজনাপূর্ণ নয়। তোমার হৃদয় এই মানুষের ভিড়ে হারিয়ে যায়।

আচ্ছা, শুনুন গানটি।

প্রিয় বন্ধুরা, এখন শুনুন ছি ছিনের গান ‘ঠান্ডা চাঁদ’। গানের কথায় বলা হয়, সীমাহীন নীরবতার মুখোমুখি আমার মন একা কাঁদে। আকাশে উঁচুতে ঝুলে থাকা নীল শীতল চাঁদের মতো। মাথা তুলে অন্ধকার রাতের দিকে তাকাও। দুঃখে আমার চোখ টলমল করছে। অন্ধকার রাতে একলা কাঁদে শীতল চাঁদকে ডাকে। ওহ, মধ্য রাতের  রূপকথা, ভয়ে চোখ এড়িয়ে যাচ্ছে।  নিঃসঙ্গ যাত্রায় আমিই একা একা হাঁটছি।

আচ্ছা, শুনুন গানটি।

 

প্রিয় বন্ধুরা, এখন শুনুন ছি ছিনের গান ‘শহরে চাঁদের আলো’। গানের কথায় বলা হয়, প্রতিটি হৃদয়ে কোথাও না কোথাও সবসময় একটা স্মৃতি থাকে। কোথাও প্রতি রাতে, গভীর রাতে সবসময় গভীর চিন্তা আছে। পৃথিবীতে হাজারো পরিবর্তন, ভালোবাসার মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করে। হৃদয় যদি চেনে আত্মার দিক, দিনরাত তোমার সাথে থাকতে না পারলেও, শহরের চাঁদের আলো স্বপ্নকে আলোকিত করে, তার হৃদয় উষ্ণ করুক।

আচ্ছা, শুনুন গানটি।

প্রিয় বন্ধুরা, সুন্দর গান শুনতে শুনতে অনুষ্ঠানের শেষ প্রান্তে চলে এলাম, বিদায় দেওয়ার আগে আপনাদের শোনাচ্ছি ছি ছিনের কণ্ঠে ‘স্বপ্নের ক্ষেত’ নামের গানটি। আশা করি, গানটি আপনাদের ভালো লাগবে।

 

শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আপনাদেরকে চীনের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ছি ছিনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলাম এবং তাঁর কণ্ঠে কয়েকটি সুন্দর গান শোনালাম। আশা করি, গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ হলো। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন। পরের আসরে আবারও কথা হবে।

(শুয়েই/তৌহিদ/সুবর্ণা)