বসন্ত উৎসবের উদযাপনী আয়োজন প্রথমবার জাতিসংঘে ‘প্যালেস অব ন্যাশনসে’ আয়োজিত
2024-02-05 20:08:12


ফেব্রুয়ারি ৫: গত ২ ফেব্রুয়ারি সুইজারল্যান্ডের জেনিভায় জাতিসংঘ ও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় নিযুক্ত চীনের স্থায়ী প্রতিনিধি দল এবং জেনিভায় জাতিসংঘ কার্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে বসন্ত উৎসব উদযাপনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এতে জেনিভায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, বিভিন্ন দেশের সাংবাদিকসহ তিন শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন।


জাতিসংঘ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে,  চন্দ্র নববর্ষকে জাতিসংঘ ছুটি হিসাবে পালন করবে। এ সিদ্ধান্তের পর, ২০২৪ সালের বসন্ত উৎসব হচ্ছে প্রথম উদযাপিত চন্দ্র নববর্ষ। জেনিভায় জাতিসংঘ কার্যালয়ে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ছেন সু তাঁর বক্তব্যে জানান, ‘চীনা বসন্ত উৎসব’ উন্নত হয়ে ‘বিশ্বের বসন্ত উৎসবে’ পরিণত হয়েছে। এতে প্রাচ্যের সাংস্কৃতিক প্রভাবশক্তি এবং জাতিসংঘের বৈচিত্র্যময় অন্তর্ভুক্তিমূলক সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ এগিয়ে নেওয়া প্রতিফলিত হয় ।


তিনি বলেন, ‘আমি খুব খুশি যে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বসন্ত উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারছি। সবার সঙ্গে একযোগে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য আলিঙ্গন করতে চাই। সবার সঙ্গে একযোগে সভ্যতার পারস্পরিক শিক্ষা এগিয়ে নেওয়ার আশা করছি। উচ্চ গুণগত মানের উন্নয়নের মাধ্যমে আধুনিকায়নের নির্মাণকাজকে অব্যহতভাবে এগিয়ে নেবে চীন। পাশাপাশি, জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা-কেন্দ্রিক বহুপাক্ষিক সহযোগিতা অব্যাহতভাবে এগিয়ে নেবে চীন। যা দিয়ে বিশ্বের শান্তি ও অভিন্ন উন্নয়নে আরও বেশি অবদান রাখা যাবে।’


জেনিভায় নিযুক্ত জাতিসংঘ কার্যালয়ের ডিরেক্টর জেনারেল তাতিয়ানা ভালোভায়া বসন্ত উৎসব উপলক্ষ্যে চীনা ভাষায় সব অতিথিদের চন্দ্র নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘প্রথমে, আমি সবাইকে বসন্ত উৎসবের শুভেচ্ছা জানাই। নতুন বছর যদি আমরা আজকের মতো, একযোগে দাড়াঁই, হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাই, একে অপরকে শুনি এবং একযোগে উদযাপন করি, তাহলে ভবিষ্যত অবশ্যই সুখী ও সমৃদ্ধ হবে।’


প্যালেস অব ন্যাশনসে লাল লন্ঠন উপরে ওঠানো হয়, বসন্ত উৎসবের আনন্দময় পরিবেশ তৈরি হয়। এ সুন্দর মুহূর্তে সবাই মনের সুন্দর শুভকামনা প্রকাশ করেন। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল গোজি ওকোঞ্জো-ওয়েলা জানান, ‘প্রথমে চীনা জনগণকে ড্রাগন বর্ষের শুভেচ্ছা জানাই। বিশ্বের শান্তি প্রত্যাশা করি এবং দৃঢ়ভাবে বহুপক্ষবাদ রক্ষা করতে হবে। বিশ্বের সমস্যাগুলো একযোগে মোকাবিলা করতে হবে। যে কোনো একটি দেশ তা মোকাবিলা করতে পারে না। আমাদের দরকার পারস্পরিক সমন্বয়।’


বিশ্ব বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ সংস্থার মহাপরিচালক ড্যারেন থাং বলেন, ‘বসন্ত উৎসব হচ্ছে পরিবারের পুনর্মিলনের সময়। এ পুনর্মিলন বিশ্বের জন্যও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব হচ্ছে একটি বড় পরিবার। সবার উচিত যৌথভাবে কাজ করা। বসন্ত উৎসবের সময় চীন ও বিশ্বের বন্ধুদের নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই।’


জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্মেলনের মহাসচিব রেবেকা গ্রিনস্প্যান বলেন, ‘আমি বলতে চাই, নতুন বছর আমাদের উচিত বোঝাপড়া জোরদার করা এবং সহযোগিতা এগিয়ে নেওয়া। আর এটা হচ্ছে ড্রাগনবর্ষের বার্তা। আমরা আরও বুদ্ধিমান হব। তাতে আমরা আরও সমন্বয় ও সহযোগিতা করতে পারব।’


জেনিভায় নিযুক্ত পাক স্থায়ী প্রতিনিধি বিলাল আহমেদ জানান, ‘শুধু চীন ও চীনা জনগণ নয়, বরং গোটা বিশ্বের জনগণকে আমি শুভেচ্ছা জানাতে চাই’।


বসন্ত উৎসবের সময়, জেনিভায় নিযুক্ত চীনের স্থায়ী প্রতিনিধি দলের কূটনীতিকরা সব চীনা মানুষকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

(আকাশ/তৌহিদ/ফেইফেই)