থাইল্যান্ডের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাম্বির সাথে বার্ষিক আলোচনা করেছেন ওয়াং ই
2024-01-29 17:33:50

জানুয়ারি ২৯: গতকাল (রোববার) সিপিসি’র কেন্দ্রীয় কমিটির রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ব্যাংককে থাইল্যান্ডের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাম্বি পসিতানুগংয়ের সঙ্গে বার্ষিক আলোচনা করেছেন।

ওয়াং ই বলেন, চীন ও থাইল্যান্ড এক পরিবারের মতো এবং ভালো প্রতিবেশী, ভালো বন্ধু এবং ভালো অংশীদার। এ বছর গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বার্ষিকী। আগামী বছর চীন এবং থাইল্যান্ডের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী হবে। চীন আরও স্থিতিশীল, আরও সমৃদ্ধ এবং আরও টেকসই চীন-থাইল্যান্ড অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গঠনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহারিক সহযোগিতা জোরদার করবে এবং দুই দেশের সম্পর্কের নতুন যুগ উন্নত করতে ইচ্ছুক।

ওয়াং ই বলেন, "বেল্ট অ্যান্ড রোড" উদ্যোগ এবং তিনটি প্রধান বৈশ্বিক উদ্যোগের সঙ্গে সঙ্গে, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং একটি সমান ও সুশৃঙ্খল বহুমুখী বিশ্ব এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক বিশ্বায়নের প্রস্তাব দেন, যা বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের সাধারণ আকাঙ্ক্ষার প্রতি সাড়া দেয় এবং চীনের একটি দায়িত্বশীল প্রধান দেশের ভূমিকা প্রতিফলিত করে। চীন থাইল্যান্ড ও অন্যান্য উদীয়মান দেশগুলির সাথে সহযোগিতা জোরদার করতে, তাদের নিজ নিজ উন্নয়নে কাজ করতে ইচ্ছুক এবং বিশৃঙ্খল বিশ্বে আরও স্থিতিশীলতা ও নিশ্চয়তা যোগাবে।

বাম্বি পসিতানুগং বলেন, থাইল্যান্ড ও চীনের ব্যাপক কৌশলগত সহযোগী অংশীদারিত্ব অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং চীনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা জোরদারে অনেক গুরুত্ব দেয় তারা। এটি দুই দেশ এবং বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। থাইল্যান্ড দৃঢ়ভাবে এক-চীন নীতি মেনে চলে এবং তাইওয়ানের সাথে কোনো আনুষ্ঠানিক বিনিময় পরিচালনা করবে না। কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। থাইল্যান্ড উদযাপনের কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করতে, সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান আরও জোরদার করতে, সবুজ উন্নয়ন এবং ডিজিটাল অর্থনীতির মতো উদীয়মান ক্ষেত্রগুলিতে সহযোগিতা জোরদার করতে এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বৃহত্তর উন্নয়নের জন্য চীনের সঙ্গে কাজ করতে চায়। থাইল্যান্ড প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সমান ও সুশৃঙ্খল বিশ্বের বহুমুখীতা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক বিশ্বায়নের সাথে একমত। দেশটি আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ইস্যুতে চীনের সঙ্গে সমন্বয় জোরদার করা, তিনটি প্রধান বৈশ্বিক উদ্যোগ বাস্তবায়নে পূর্ণ সহযোগিতা চালানো, যৌথভাবে "বেল্ট অ্যান্ড রোড" নির্মাণ করা এবং বহুপক্ষবাদে সমর্থন জানাতে চান।

(জিনিয়া/তৌহিদ)