বিভিন্ন দেশের কোম্পানিগুলো চীনা ব্যাটারি চায়, কারণ জানিয়েছে সিএমজি সম্পাদকীয়
2024-01-28 20:35:39

জানুয়ারি ২৮: "'মেড ইন চায়না'-এর কোনো ভালো বিকল্প নেই।" সম্প্রতি, কোরিয়ান অটোমোবাইল কোম্পানিগুলোর অসুবিধার পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ কোরিয়ার "কোরিয়া ইকোনমি" এই মন্তব্য করেছে। মার্কিন সরকার চীনের উপর তার রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রাখায়, যেসব কোরিয়ান গাড়ি কোম্পানি চীনা ব্যাটারি সামগ্রীর উপর অনেক নির্ভরশীল ছিল, তারা কঠিন সমস্যায় পড়েছে। এ লক্ষ্যে, সংস্থাগুলো মার্কিন সরকারকে চীনের উপর তথাকথিত বিধিনিষেধ শিথিল করা এবং তাদের চীনে মূল ব্যাটারি সামগ্রী কেনার অনুমতি দেওয়ার জন্য আবেদন জমা দিয়েছে। সিএমজি সম্পাদকীয় এসব কথা বলেছে।

 

সম্পাদকীয়তে বলা হয়, বিশ্বের অন্য প্রান্তে, আমেরিকান কোম্পানি টেসলা একই সমস্যার সম্মুখীন। নতুন বৈদ্যুতিক গাড়ি সাইবারট্রাকের জন্য ব্যাটারি উৎপাদনে অচলাবস্থার কারণে, টেসলাকে জরুরিভাবে ব্যাটারি উপাদান সমর্থনের জন্য চীনা নির্মাতাদের কাছে যেতে হয়েছিল।

দক্ষিণ কোরিয়া কোম্পানি থেকে শুরু করে মার্কিন কোম্পানি, সরকার ও ব্যবসায়ী পর্যন্ত সবাই এই বার্তাটি পাঠিয়েছে যে, নতুন শক্তির যানবাহনের উন্নয়নে চীনকে বাইপাস করা যাবে না।

 

সম্প্রতি চীনের শিল্প ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য দেখা যায় যে, ২০২৩ সালে চীনের ব্যাটারির ক্রমবর্ধমান রপ্তানি ছিল ১২৭.৪ গিগাওয়াট আওয়ার; যা বছরে ৮৭.১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বাজারের আকার টানা সাত বছর ধরে বিশ্বের শীর্ষে অবস্থান করছে। তাদের মধ্যে, বৃহত্তম রপ্তানি বাজার হল ইউরোপ, তারপরে যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। শুধু তাই নয়, গাড়ির ইনস্টলেশনের পরিমাণের দিক থেকে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি পাওয়ার ব্যাটারি কোম্পানির মধ্যে চীনা কোম্পানি ৬টি আসন দখল করে আছে।

চীনের পাওয়ার ব্যাটারির শিল্পগত সুবিধা রয়েছে যা প্রতিস্থাপন করা কঠিন। চীন বৈদ্যুতিক ব্যাটারি উৎপাদনের সব মৌলিক কাঁচামাল, যেমন- ক্যাথোড সামগ্রী, অ্যানোড সামগ্রী এবং ইলেক্ট্রোলাইটের স্বাধীন উৎপাদন সক্ষমতা অর্জন করেছে এবং একটি সম্পূর্ণ পাওয়ার ব্যাটারি শিল্প শৃঙ্খল গঠন করেছে।

একই সময়, চীনা ব্যাটারি পণ্য স্থিতিশীল গুণমান এবং তুলনামূলক কম খরচের কারণে বিভিন্ন দেশের গাড়ি কোম্পানিগুলোর মধ্যে জনপ্রিয়।

আরও গুরুত্বপূর্ণ, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনে দীর্ঘমেয়াদী অধ্যবসায় এবং জোরদার বিশ্বায়ন চীনা কোম্পানিগুলোর সাফল্যের চাবিকাঠি হয়ে উঠেছে।

সিএমজি সম্পাদকীয়তে প্রাসঙ্গিক বিশেষজ্ঞদের বক্তব্যে বলা হয় যে, যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপগুলো ধারাবাহিক আধিপত্যবাদের প্রতিফলন এবং বিশ্ব বাণিজ্যের ন্যায্যতার নিয়মের বিপরীতে চলছে। যুক্তরাষ্ট্র তথাকথিত "জাতীয় নিরাপত্তার" ব্যানারে চীনকে দমন করছে।" তবে, চীনের ব্যাটারি শিল্পের অনন্য প্রযুক্তিগত সুবিধা বিবেচনা করে, যুক্তরাষ্ট্র এটি বন্ধ করতে পারবে না।

(শুয়েই/তৌহিদ)