জানুয়ারি ২৬: ফ্রান্সের সূর রচনাকারীর সম্পাদিত ‘রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট’ অপেরা গত ২৫ জানুয়ারি বেইজিংয়ের জাতীয় অপেরা থিয়াটারে মঞ্চস্থ হয়। দেশী-বিদেশী শিল্পীরা যৌথভাবে এ অপেরায় অভিনয় করেন, যা ছিল চীন-ফ্রান্স কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৬০তম বার্ষিকীর জন্য একটি বিশেষ উপহার।
এ দিন চীন-ফ্রান্স কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৬০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চীন ও ফ্রান্সের শীর্ষনেতারা ভিডিও-ভাষণ দেন। ভাষণে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং জোর দিয়ে বলেন, চীন-ফ্রান্স সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে স্বাধীন, পারস্পরিক বোঝাপড়া ও কল্যাণের চেতনাকে ভিত্তি করে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাকখোঁ বলেন, দু’দেশের উচিত চীন ও ফ্রান্সের জনগণের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি, বিশ্বের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য অনুকূল অংশীদারিত্বের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা। দু’নেতার বক্তৃতায় দেখা যায় যে, চীন-ফ্রান্স সহযোগিতা জোরদারে তাঁরা একমত।
চীন ও পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ফ্রান্স অন্যান্য দেশ থেকে আলাদা। পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে এ দেশটি সর্বপ্রথমে চীনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে এবং সবার আগে চীনের সঙ্গে সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে।
গত ৬০ বছরে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি বদলেছে, সবাইকে নানান চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে, কিন্তু চীন-ফ্রান্স সম্পর্ক বরাবরই ছিল প্রথম সারির। দু’দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের আদান-প্রদান, উচ্চ পর্যায়ের অর্থনৈতিক ও আর্থিক সংলাপ, এবং উচ্চ পর্যায়ের সাংস্কৃতিক বিনিময় অব্যাহত ছিল এবং সার্বিকভাবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বজায় ছিল স্থিতিশীলতা।
বর্তমানে ফ্রান্স ইইউ-তে চীনের তৃতীয় বৃহত্তম অংশীদার, তৃতীয় বৃহত্তম বিনিয়োগ উত্সদেশ, এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রযুক্তি রপ্তানিকারক দেশ। এদিকে, চীন এশিয়ায় ফ্রান্সের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার।
বিশ্বের অস্থিতিশীলতার মধ্যে চীন-ফ্রান্স সহযোগিতার গুরুত্ব আগের চেয়ে বেড়েছে। আগামী ৬০ বছরে চীন-ফ্রান্সের উচিত সহযোগিতাকে আগের মতো এগিয়ে নিয়ে চলা, যাতে দু’দেশের জনগণের জন্য কল্যাণ সৃষ্টি করা যায় এবং বিশ্বের উন্নয়ন-প্রক্রিয়াকে বেগবান করা যায়। (রুবি/আলিম/লাবণ্য)