বিআরআইর আওতায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা গভীর করার চেষ্টা করবে চীন
2024-01-26 17:43:30

জানুয়ারি ২৬: চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েন বিন বলেছেন, ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’র অধীনে চীন আন্তর্জাতিক সহযোগিতাকে আরও গভীরতর করতে এবং আরও ‘উন্নয়ন বেল্ট’ ও ‘সুখী রোড’ নির্মাণে বিশ্বের দেশগুলোর সাথে প্রচেষ্টা চালাতে ইচ্ছুক।

পাশাপাশি, শান্তির বোধ বৃদ্ধি, পারস্পরিক কল্যাণের সহযোগিতা এবং সাধারণ সমৃদ্ধির বৈশ্বিক আধুনিকীকরণে চীন আরও বেশি অবদান রাখতে চায় বলেও জানান তিনি।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ওয়াং।

প্রেস ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিক যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফরেন পলিসি’ ম্যাগাজিনের সাম্প্রতিক একটি নিবন্ধের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, বর্তমান লোহিত সাগর সংকট এটা প্রমাণ করে যে, চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের আওতায় যৌথ নির্মাণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, “অনিশ্চয়তা ও বিশৃঙ্খলার যুগে প্রতিটি দেশের এই পরিকল্পনা দরকার। অবিশ্বাস ও অপ্রত্যাশিত সংকটে জর্জরিত পৃথিবীতে, বৈশ্বিক জনকল্যাণে অর্থপূর্ণ সম্মিলিত পদক্ষেপের একমাত্র উপায় হলো চাহিদা মেটাতে আরও সরবরাহ-পথ গড়ে তোলা। বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ ঠিক সেটাই করছে। চীন একমাত্র দেশ যেটি এ বিষয়টি স্বীকার করে এবং সব সময় পদক্ষেপ নিচ্ছে।”

জবাবে ওয়াং ওয়েন বিন বলেন, ১০ বছরেরও বেশি আগে প্রেসিডেন্ট সি চিং পিং বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের প্রস্তাব উত্থাপনের পর থেকে এর যৌথ নির্মাণ ইউরেশিয়া থেকে আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে এবং এটি বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বিস্তৃত ও বৃহত্তম আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, বিশ্ব যখন অস্থিরতা ও পরিবর্তনের একটি নতুন সময়ে প্রবেশ করছে, তখন আরও বেশি সংখ্যক মানুষ বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের সমসাময়িক মূল্য এবং বৈশ্বিক তাৎপর্য সম্পর্কে সচেতন হচ্ছে।

তিনি বলেন, “বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের প্রভাবে অবকাঠামো, সংযোগ ও অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা বিশ্বজুড়ে ব্যাপক মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। আন্তর্জাতিক উৎপাদন ও সরবরাহ চেইনের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে শক্তিশালী উদ্দীপনা প্রদান করেছে। বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের ধারণা জাতিসংঘ ও সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক দলিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে এ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যাপক অংশগ্রহণের আকাঙ্ক্ষা ও দৃঢ় ঐকমত্য প্রতিফলিত হয়েছে।”

 (অনুপমা/রহমান)