চীন-নাউরু কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠিত
2024-01-25 14:25:43

জানুয়ারি ২৫: চীন ও নাউরুর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপিত হয়েছে। সফররত নাউরুর পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিওনেল আইঙ্গিমিয়া এবং চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই গতকাল (বুধবার) বেইজিংয়ে ‘নাউরু-চীন কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন সম্পর্কিত যৌথ ইশতিহার’ স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে ফের এই সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হলো।

এদিন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েন বিন এক নিয়মিত সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনকারী ১৮৩তম দেশ হলো নাউরু।

তিনি বলেন, দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্কের পুনঃপ্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে, বিশ্বে একটি মাত্র চীন দেশ রয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী চীন সরকারই বিশ্বে চীনকে প্রতিনিধিত্বকারী একমাত্র বৈধ সরকার, তাইওয়ান চীনের ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মতৈক্য এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মৌলিক বিধান।

মুখপাত্র ওয়াং বলেন, চীনের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগলিক অখণ্ডতাকে কেউ চ্যালেঞ্জ করতে সক্ষম নয়, জাতিসংঘের ২৭৫৮ নম্বর প্রস্তাব বদলানো যাবে না, চীনের একীকরণের ঐতিহাসিক ধারা অপ্রতিরোধ্য এবং একচীন নীতি অনুসরণ করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি অর্জন করেছে।

চীন ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর মধ্যকার সম্পর্ক সুগভীর – একথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, নাউরুর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে আশাসৃষ্টিকারী ব্যাপার এবং দুদেশের মৌলিক ও দীর্ঘমেয়াদী স্বার্থের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।

ওয়াং বলেন, দুদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা ও অভিন্ন উন্নয়নের দরজা খুলেছে এবং পারস্পরিক সম্মান ও শান্তিপূর্ণ সহবস্থানের ভিত্তিতে নাউরুর সঙ্গে বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা জোরদার করবে চীন।

এখনও কয়েকটি দেশ তথাকথিত ‘তাইওয়ান’ সরকারের সঙ্গে ‘কূটনৈতিক সম্পর্ক’ বজায় রেখেছে – একথা জানিয়ে তিনি বলেন, ইতিহাসের সঠিক ধারা বিবেচনায় নিয়ে এসব দেশ আন্তর্জাতিক ন্যায্যতার পাশে দাঁড়াবে বলে আশা করে চীন।

একচীন নীতির ভিত্তিতে বেইজিং এসব দেশের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক স্থাপন করতে চায় বলেও জানান তিনি। (সুবর্ণা/রহমান/রুবি)