দাভোস ২০২৪—চীনের কণ্ঠস্বর বিশ্ব অর্থনীতিতে আস্থা যোগ করেছে
2024-01-22 14:58:42

চীন বিশ্ব অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি হিসাবে বৈশ্বিক উন্নয়নে অব্যাহত সুযোগ তৈরি করবে; চীন দৃঢ়ভাবে উচ্চ-মানের উন্মুক্তকরণ জোরদার করবে এবং অর্থনৈতিক বিশ্বায়নকে আরও উন্মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক, ভারসাম্যপূর্ণ এবং সবার জন্য উপকারী- এমন দিকে উন্নীত করার চেষ্টা করবে।

গত মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে বক্তৃতা দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াং বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এবং ব্যবসায়ী মহলের প্রতিনিধিদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন।

 

তার বক্তৃতার টেকসই পুনরুদ্ধারের জন্য তার নিজস্ব সম্ভাবনার প্রতি চীনের দৃঢ় আস্থা প্রতিফলিত হয়েছে এবং একটি ধীর গতির বৈশ্বিক পুনরুদ্ধারের মুখে, সব দেশকে অসুবিধা কাটিয়ে উঠতে এবং অভিন্ন উন্নয়নের জন্য একসাথে কাজ করতে হবে।


সুইস রিসোর্টে অন্যান্য সরকারি ও ব্যবসায়ী নেতাদের সাথে প্রধানমন্ত্রী লি এর মতবিনিময় থেকে তারা আরও নিশ্চিত হবে যে, চীনের একটি নতুন উন্নয়ন মডেল তৈরির প্রচেষ্টা বিশ্বে কল্যাণ বয়ে আনবে। এতে কোন সন্দেহ নেই যে, চীন একটি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে তার ভূমিকা সম্পূর্ণরূপে পালন করতে প্রস্তুত, চীন উচ্চ-মানের উন্মুক্তকরণ উন্নীত করবে, চীনের বৃহত্ বাজারকে সব দেশের জন্য একটি শেয়ার্ড মার্কেটে পরিণত করবে, আন্তর্জাতিক গণপণ্য ও পরিষেবাগুলি আরও ভালভাবে সরবরাহ করবে এবং একটি উন্মুক্ত বিশ্ব অর্থনীতি গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।

কিছু উন্নত দেশের "ক্লোজড-ডোরিজমের" বিপরীতে, বহুজাতিক কোম্পানি, বিনিয়োগ এবং প্রতিভাকে লি ছিয়াং আন্তরিক স্বাগত জানিয়েছেন। যদিও চীন বিশ্বের সাধারণ উন্নয়ন প্রচার এবং বিশ্বের শিল্প ও সরবরাহ চেইনকে স্থিতিশীল করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে, কিছু উন্নত দেশ উল্টো কাজ করছে, বিশ্বায়নকে এগিয়ে নেওয়া এবং বিশ্বের দুর্বল অর্থনীতি যুগে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছে।

প্রধানমন্ত্রী লি এবং তাঁর নেতৃত্ব সরকারি ও ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল দাভোসে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, চীন বিশ্বের সঙ্গে সহযোগিতা, উন্নয়ন ও সংলাপের মাধ্যমে মানবজাতির নানা ধরনের মতভেদ ও সমস্যা সমাধান করতে চেষ্টা করবে। যা ইতিহাসের এ অবস্থায় বিশ্বের জন্য সঠিক বাছাই।

এ ছাড়া, এটি ওয়াশিংটন চীনের বিষয়ে ভুল তথ্য এবং ভুল বোঝাবুঝি বাড়ানোর চেষ্টা করছে। পশ্চিমা শক্তি দাবি করে যে, চীন বিশ্ব থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে, তার দরজা বন্ধ করছে, বিদেশি কোম্পানিগুলিকে কালো তালিকাভুক্ত করছে এবং বাণিজ্যিক সমস্যা বৃদ্ধি করছে। এইগুলি ঠিক, এসব তারা তাদের নিজেদের দেশগুলির সঙ্গে বছরের পর বছর ধরে করে আসছে, কেবলমাত্র চীনা সংস্থার বিরুদ্ধেই নয়, বরং তাদের মিত্রদের বিরুদ্ধেও।

চীন উদ্যোক্তা, উদ্ভাবন, প্রতিভা এবং প্রযুক্তিকে সর্বদা মূল্য দেয়, আরও উন্মুক্ত মনোভাব নিয়ে বিশ্বের দেশগুলির সাথে সহযোগিতা করবে এবং একটি স্বচ্ছ আইন শাসিত ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরির জন্য আরও চেষ্টা করবে।

 

বিশ্বের কিছু দেশ বিচ্ছিন্নতা এবং সংঘাতের ডাক দিচ্ছে। অন্যদিকে, লি ছিয়াং-এর বক্তৃতায় দেখা গেছে, চীন যোগাযোগ, উন্মুক্তকরণ এবং শান্তিপূর্ণ সহযোগিতার প্রচার করছে। বিশ্ব পরিস্থিতি যেভাবেই পরিবর্তিত হোক না কেন, চীন বহির্বিশ্বের জন্য নিজেকে উন্মুক্ত করার মৌলিক জাতীয় নীতি অনুসরণ করে যাবে এবং বিদেশের জন্য নিজের দরজা আরও প্রশস্ত ও বিস্তৃত করবে।

 

জিনিয়া/তৌহিদ/ফেই