২০১৭ সালের ১৮ জানুয়ারি, জাতিসংঘের জেনেভা সদরদপ্তরে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ‘একযোগে মানবজাতির অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গড়ে তুলবো’ শীর্ষক মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এটা বিশ্বব্যাপী প্রবল ইতিবাচক সাড়া পায়। তাঁর বক্তব্য সোমালিয়ার আবদিলাহি ইসমাইল আবদিলাহির হৃদয় গভীরভাবে স্পর্শ করে।
‘নিজের বাড়ি থাকলে কেউ কি উদ্বাস্তুর মতো জীবন চায়?’ সাত বছর আগে প্রেসিডেন্ট সির একথা সব সময় আবদিলাহি ইসমাইল আবদিলাহির মনে পড়ে। ‘এটা আমাকে মনে করিয়ে দেয় সোমালিদের দুর্দশা ও গৃহহীন জীবনের দীর্ঘ ইতিহাস। শান্তি ও নিরাপত্তা কতো মূল্যবান সেটা আমি গভীরভাবে বুঝতে পারি।’
২০২৪ সালের নববর্ষের শুভেচ্ছাবার্তায় প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক সমাজের সঙ্গে মানবজাতির ভবিষ্যতের ভাগ্য এবং জনকল্যাণের ওপর মনোযোগ দিয়ে, মানবজাতির অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গঠন করতে এবং আরও সুন্দর বিশ্ব গড়ে তুলতে কাজ করবো’।
প্রেসিডেন্ট সির যৌবনের কর্মস্থল সফর করেছেন আবদিলাহি ইসমাইল আবদিলাহি। সেটা গভীরভাবে তাঁর হৃদয় ছুঁয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট সি সবসময় জনগণকে শীর্ষস্থানে রেখে আসছেন। প্রেসিডেন্ট সি চি পিং আগে তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করেছেন; তৃণমূল পর্যায়ে জীবনযাপন করার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। তিনি জনগণের মধ্যেও থেকেছেন। যখন আমি দেখেছি, প্রেসিডেন্ট সি প্রবীণদের সঙ্গে করমর্দন করছেন, তখন সেটা ছোটবেলায় নিজের দাদার সঙ্গে সময় কাটানোর কথা আমাকে মনে করিয়ে দেয়। প্রেসিডেন্ট সি আমার প্রবীণ প্রজন্মের মানুষের মতোই।’
২০২১ সালে আবদিলাহি ইসমাইল আবদিলাহি ৩০ জনেরও বেশি বিদেশি তরুণ প্রতিনিধির সঙ্গে একযোগে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। ‘যখন আমি তাঁর জবাবি চিঠি পাই, তখন আমি অনুভব করি, চীনে যারা বসবাস করেন, তাদের সবাইকে গুরুত্ব দেন প্রেসিডেন্ট সি।’
আমাদের দেশে একটি কথা প্রচলিত আছে, আর তা হচ্ছে: ‘যারা প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে জানেন, তাদের সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা থাকে’।
(আকাশ/রহমান)