‘৩৮২০ কৌশলগত পরিকল্পনা’ উত্থাপনের কুড়িতম বার্ষিকী ও প্রসঙ্গকথা
2024-01-21 15:14:18

জানুয়ারি ২১: আজ (রোববার) ফুচৌ শহরের ‘৩৮২০ কৌশলগত পরিকল্পনা’ উত্থাপনের কুড়িতম বার্ষিকী।

১৯৯৩ সালে ফুচৌ শহরের মিউনিসিপ্যাল পার্টি কমিটির তত্কালীন সেক্রেটারি কমরেড সি চিন পিং বলেছিলেন, “ফুচৌ নতুন শতাব্দীর দিকে দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এই শহরের জন্য প্রথমে বিজ্ঞান ও ব্যবহারিক জ্ঞানভিত্তিক একটি দীর্ঘমেয়াদী কৌশলগত পরিকল্পনা থাকতে হবে। তাহলে, ফুচৌ-এর সংস্কার ও উন্মুক্তকরণকাজে দুর্দান্ত অধ্যায়ের উন্মোচন হবে।”

এরপর সি চিন পিং “ফুচৌ শহরের ২০ বছরব্যাপী অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন কৌশল” প্রণয়ন-সভায় সভাপতিত্ব করেন; ফুচৌয়ে তিন বছর, আট বছর, ও বিশ বছরের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্য, পদক্ষেপ, বিন্যাস ও মূল বিষয়গুলো একটি সার্বিক পরিকল্পনার আওতায় আনেন। তিনি ফুচৌ শহরের উন্নয়নের জন্য একটি সাধারণ কর্মসূচি ও সাধারণ কৌশল গ্রহণ করেছিলেন। উক্ত সাধারণ কর্মসূচি ও কৌশল সংক্ষেপে ‘৩৮২০ কৌশলগত পরিকল্পনা’ হিসেবে পরিচিত। এখনও সেই পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহারিক তাত্পর্য উপলব্ধি করা যায়।

৩০ বছর আগে ফুচৌতে শিল্পের ভিত্তি ছিল দুর্বল, জনগণের আয় ছিল কম, পরিবহন-ব্যবস্থা সুবিধাজনক ছিল না, এবং জনগনের চিন্তাধারারও ছিল পশ্চাদপদ। ১৯৯০ সালের এপ্রিল মাসে কমরেড সি ফুচৌ শহরের মিউনিসিপ্যাল পার্টি কমিটির সেক্রেটারির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি শুরু থেকেই শহরের উন্নয়নের উপায় খুঁজতে থাকেন। পরের দু’বছর তিনি অর্ধেকেরও বেশি সময় নেন তৃণমূল পর্যায়ে তদন্ত ও গবেষণা করার জন্য।

তিনি জানতেন, ভালোভাবে কাজ করার আগে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। তিন বা পাঁচ বছরের স্বল্পমেয়াদের পরিকল্পনার পাশাপাশি, ২০ বছরব্যাপী দৈর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনাও তৈরি করতে হবে।

২০ বছরব্যাপী পরিকল্পনা তৈরি প্রসঙ্গে কমরেড সি “তদন্ত ও গবেষণা হলো নতুন ধারণা গড়ে তোলার প্রযোজনীয় পদ্ধতি” শীর্ষক বাক্যটি উল্লেখ করেন। সেই সময় ৫৮১টি বিষয়কে কেন্দ্র করে, ১৬০০ জন ক্যাডার গবেষণার কাজ শুরু করেন। কৃষি ও শিল্পসহ নানান বিষয়ে জনমত সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন সভার আয়োজন করা হয়। শহরবাসীদের মতামত সংগ্রহ করতে কমরেড সি ফুচৌ শহরের পত্রিকায় প্রশ্নপত্র ছাপানোর অনুরোধ করেন। জনগণের অনেক প্রস্তাব ‘৩৮২০ কৌশলগত পরিকল্পনা’য় অন্তভুর্ক্ত করা হয়।

ফুচৌ শহরের সামুদ্রিক অঞ্চলের আয়তন প্রায় ১১ হাজার বর্গকিলোমিটার, যা মোট ভূমির সমান। তাই কমরেড সি সমুদ্রের ওপর দৃষ্টি দিতে শুরু করেন। “অর্থনীতির উন্নয়নকে দ্রুততর করতে হলে জমি থেকে সমুদ্রে দৃষ্টি নিবন্ধ করতে হবে” ছিল ‘৩৮২০ কৌশলগত পরিকল্পনা’র গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তারপর, ফুচৌ সামুদ্রিক অঞ্চলের ওপর আলোকপাত করে সার্বিক উন্নয়নের জন্য কাজ শুরু করে। সেই থেকে সামুদ্রিক পরিবহন এবং পোর্ট-সাইড শিল্পগুলো ক্রমশ চাঙ্গা হয়ে ওঠে; সামুদ্রিক বায়োমেডিসিন ও অফশোর উইন্ড পাওয়ার হাই-এন্ড সরঞ্জাম উত্পাদনসহ উদীয়মান শিল্পগুলোও জোরালোভাবে উন্নত হতে শুরু করে। ‘৩৮২০ কৌশলগত পরিকল্পনা’ বেশ কয়েক বছরের প্রচেষ্টায় সম্পূর্ণ বাস্তবায়িত হয় এবং ফুচৌ-এর বাসিন্দারা এখন এর সুফল ভোগ করছে। (লিলি/আলিম)