জানুয়ারি ১৬: স্থানীয় সময় ১৫ জানুয়ারি, তিউনিসিয়ার রাজধানী তিউনিস শহরে, চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং সেদেশের প্রেসিডেন্ট কাইস সায়দের মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকের শুরুতে কাইস সায়দ চীনের আধুনিকায়ন কার্যক্রমে অর্জিত সাফল্যের প্রশংসা করে বলেন, বিগত ৬০ বছর ধরে তিউনিসিয়া ও চীনের সম্পর্ক ক্রমাগত উন্নত হয়েছে এবং তার দেশের সাথে চীনের সহযোগিতা থেকে ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে। তার দেশ বরাবরের মতো ভবিষ্যতেও ‘এক-চীননীতি’ এবং জাতিসংঘের ২৭৫৮ নম্বর প্রস্তাব মেনে চলবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ সময় ওয়াং ই বলেন, চীন ও তিউনিসিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর বিগত ৬০ বছরে দু’দেশের সম্পর্ক ব্যাপক চ্যালেঞ্জ ও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। পারস্পরিক সম্মান, সমতা, ও সহাবস্থানের ভিত্তিতে পারস্পরিক কল্যাণকর সহযোগিতা উক্ত সময়পর্বে অর্জিত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান বিশ্বে ব্যাপক অস্থিতিশীলতা রয়েছে, একতরফাবাদ বাড়ছে, আধিপত্যবাদ ছড়িয়ে পড়ছে। এ প্রেক্ষাপটে, নিজের মূল্যবোধ অন্যের ওপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া, নিজের মান অনুসারে অন্য দেশকে বদলানোর চেষ্টা করা, মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের অজুহাতে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার বিরোধিতা করে চীন। তিউনিসিয়ার সাথে ঐক্যবদ্ধ সহযোগিতা জোরদার করে, প্রেসিডেন্ট সি’র উত্থাপিত বৈশ্বিক উন্নয়ন প্রস্তাব, বৈশ্বিক নিরাপত্তা প্রস্তাব, ও বৈশ্বিক সভ্যতা প্রস্তাব বাস্তবায়ন করবে চীন।
জবাবে প্রেসিডেন্ট সায়দ বলেন, আধুনিক বিশ্বে ঔপনিবেশিকতা চলবে না, আধিপত্যবাদেরও কোনো স্থান নেই। দ্বৈতনীতি এবং গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের অজুহাতে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপের দৃঢ় বিরোধিতা করে তিউনিসিয়া। তার দেশ, চীনসহ বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশের সাথে যৌথভাবে কাজ করে, মানবজাতির অভিন্ন মূল্যবোধ সংরক্ষণে এবং আন্তর্জাতিক ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচার রক্ষায় ভূমিকা রাখবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। (সুবর্ণা/আলিম/মুক্তা)