নতুন রূপ পেয়েছে চিয়াং সি প্রদেশের তা মো সিয়াং গ্রাম
2024-01-12 12:44:55

 

“আমাদের এখানকার খামারে রয়েছে ভালো প্রাকৃতিক পরিবেশ। হাজার হাজার হেক্টর মরুভূমি প্রতিরক্ষামূলক বন রয়েছে এখানে। হৌ থিয়ান মরুভূমি দর্শনীয় স্থান থেকে গাড়ি চালিয়ে কেবল তিন মিনিট লাগে। এখানে রয়েছে বিনোদনমূলক মাছ ধরার অঞ্চল, শাকসবজি অঞ্চল, ফল অঞ্চল, ফল গাছ লালন অঞ্চল ইত্যাদি। এটি একটি অবসর জীবন কাটানো এবং বিনোদনমূলক খামার।” কথাগুলো বলছিলেন চিয়াং সি প্রদেশের হৌ থিয়ান উপজেলার সিপিসি’র উপসম্পাদক ছেং ছাও।

হৌ থিয়ান উপজেলা গাই ও চিন নদীর সংলগ্ন অঞ্চলে অবস্থিত। এখানে রয়েছে চিয়াং নান অঞ্চলের বৃহত্তম মরুভূমি - হৌ থিয়ান মরুভূমি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হৌ থিয়ান উপজেলা হৌ থিয়ান মরুভূমির সুবিধা কাজে লাগিয়ে তা মো খামার প্রতিষ্ঠা করেছে। এ খামারে বিনোদন, রেস্তোরা, ফসল কাটা এবং পালনের অভিজ্ঞতা নেওয়াসহ নানা আনন্দ রয়েছে। এর মাধ্যমে হৌ থিয়ান উপজেলা আরও চাঙ্গা হয়ে উঠেছে।

তা মো খামারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ছেন চিয়ান হুয়া এ উপজেলার অধিবাসী। তিনি বলেন, ‘আমি গ্রাম থেকে বহিরাগত হয়েছি। গ্রাম আমার বাড়ি। গ্রামবাসী আমার আত্মীয়। তাই আমি গ্রামবাসীদের জন্য কিছু করতে চাই; সবার জন্য পর্যটন থেকে উপার্জন করতে সাহায্য করতে চাই, যাতে সুন্দর গ্রামীণ দৃশ্যকে সকলের পকেটের টাকায় পরিণত করা যায়। প্রথম দিকে আমি হৌ থিয়ান মরুভূমি দর্শনীয় স্থানে কিছু বিনোদনমূলক প্রকল্প চালাই। আরও বেশি পর্যটক আসার কারণে পরিপূরক ব্যবস্থা অপ্রতুল হয়ে পড়ে। সেখান থেকে তা মো খামার প্রতিষ্ঠার ধারণার জন্ম হয়।”

ছেন চিয়ান হুয়া আরও জানান, মাটির গুণের কারণে খামারে ফল চাষ শিল্প অনেক উন্নত হয়েছে। বর্তমানে খামারে আঙ্গুরের বার্ষিক উত্পাদনের পরিমাণ ৩০ টনে ছাড়িয়ে গেছে, যার বার্ষিক মূল্য ৪ লাখ ইউয়ানেরও বেশি। লাল ড্রাগন ফলের বার্ষিক উৎপাদনের পরিমাণ ৪ হাজার কেজি ছাড়িয়ে গেছে, যার মূল্য দেড় লাখ ইউয়ান। “

তুয়ান হান লান খামারের ফল সংগ্রহকারী। তিনি হৌ থিয়ান গ্রামের বাসিন্দা। তা মো খামার চালু থেকেই তিনি এখানে চাকরি করতে শুরু করেন। তিনি বলেন, “আমার পরিবার নিজেই কিছু ফল গাছ চাষ করছে। তাই ফল তোলার প্রক্রিয়া আমার কাছে অনেক পরিচিত।  এখানে চাকরি করা আমার জন্য একদম সহজ। এ কাজ বাড়িতে অনেক করেছি। এখন প্রতিমাসে ৩ হাজার ইউয়ান উপার্জন করতে পারছি। আমার জীবন অনেক সুন্দর হয়েছে।”

এ পর্যন্ত এ খামারে ২০জনেরও বেশি স্থানীয় বাসিন্দার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। তাদের মাসিক বেতন গড়ে ৩ হাজার ইউয়ানের মতো। এ খামার গ্রাম কর্তৃপক্ষকে বছরে ৭০ হাজার ইউয়ান উপার্জন বৃদ্ধিতে সাহায্য করেছে। তাছাড়া খামার কর্তৃপক্ষ কর্মীদের অবসর বিমাসহ নানা বিমায় অন্তর্ভুক্ত করে, যার ফলে দরিদ্র্য পরিবারের উপার্জন অনেক বেড়েছে এবং ব্যক্তিগত খরচ অনেক কমেছে।

ভবিষ্যতে খামারে কমলা ও জাম্বুরাসহ আরও বেশি ফল চাষের পরিকল্পনা করছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সেখান থেকে ফল পাওয়া যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। খামারের বিভিন্ন ব্যবস্থা আরও সুবিন্যস্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আশেপাশে গ্রামের বাসিন্দাদের আরও কর্মসংস্থান হবে।

ছেং ছাও বলেন, “পরবর্তীতে আমরা ফলবাগান প্রতিষ্ঠা জোরদার করবো, শিল্পের কাঠামো সুবিন্যস্ত করবো এবং হৌ থিয়ান মরুভূমির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ ঘনিষ্ঠ করবো, যাতে তা মো খামারকে হৌ থিয়ান মরুভূমি দর্শনীয় স্থানের ট্রানজিট এবং সরবরাহ ডিপোতে পরিণত করা যায়। এখানকার প্রাকৃতিক সম্পদকে আর্থিক অর্জনে পরিণত করা এবং হৌ থিয়ানের সুন্দর দৃশ্যকে উপার্জনের উত্সে পরিণত করার জন্য চেষ্টা চালানো হবে, যাতে গ্রামটি আরও পুনরুজ্জীবিত হয়।

(রুবি/রহমান)