ডিসেম্বর ৩০: চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় বিদেশবিষয়ক কর্মসভা গত ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
চীনের প্রেসিডেন্ট তাতে নতুন যুগের দশ বছরে চীনের বৈশিষ্ট্যময় কূটনৈতিক কার্যক্রমের অগ্রগতি ও অভিজ্ঞতা সারসংকরণ করে বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্য চীনের কূটনৈতিক কার্যক্রমসংশ্লিষ্ট নির্দেশনা দেন।
প্রেসিডেন্ট সি’র কূটনৈতিক চেতনার মূল বিষয় কী? বর্তমান বিশ্বের ধারাবাহিক সমস্যা ও চ্যালেঞ্জের মুখে, চীনের কূটনৈতিক কার্যক্রম কিভাবে সামনে এগিয়ে নেওয়া যায়? শান্তি ও উন্নয়ন হলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে গ্রহণযোগ্য প্রবণতা। তবে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ প্রবণতা অনেক দিক থেকে আসা আঘাতের শিকার হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে ক্ষমতায় আসার পর সি চিন পিং নিজের কূটনৈতিক চেতনা প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়ন করেছেন, যা চীনের কূটনৈতিক তত্ত্ব ও অনুশীলনের নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করেছে, যা চীনের বৈশিষ্ট্যময় কূটনীতির জন্য মূল নিয়মকানুন প্রদান করেছে।
এবারের কেন্দ্রীয় কূটনীতি কর্মসভায় বলা হয়েছে, মানবজাতির অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গঠন করা সি চিন পিংয়ের কূটনীতির চেতনার কেন্দ্রীয় বিষয় এবং এটি নতুন যুগে চীনের বৈশিষ্ট্যময় কূটনীতির উচ্চ লক্ষ্য। দশ বছর আগে সি চিন পিং এ চেতনা উত্থাপন করেন।
মানবজাতির অভিন্ন কল্যাণের সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যকে কেন্দ্র করে বিশ্বের বিদ্যমান ধারাবাহিক সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য সি চিন পিং দু’দিক দিয়ে সমস্যা সমাধানের উপায় প্রস্তাব করেছেন। সেগুলো হলো, সুশৃঙ্খল বহু-স্তরের বিশ্বগঠন করা এবং সকলের প্রতি কল্যাণকর ও সহনশীল অর্থনীতির বিশ্বায়ন প্রক্রিয়া বেগবান করা।
এ প্রস্তাব অনুশীলনে সি চিন পিংয়ের কূটনৈতিক চেতনা প্রতিফলিত হয়। চীন বরাবরই বিশ্বের সঙ্গে সহাবস্থান করে আসছে।যাই হোক না কেন, দেশ বড় বা ছোট, উন্নত বা উন্নয়নশীল, সব দেশ মানবজাতির বড় পরিবারের সদস্য। সব দেশের স্বার্থ মিশ্রিত এবং সংকট ও নিরাপদ ভাগ্যের অভিন্ন সমাজ। বর্তমান বিশ্ব চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষাপটে চীনের প্রস্তাবগুলো মানবজাতির উন্নয়ন ও ভাগ্য নিয়ে বড় দেশের দৃষ্টিভঙ্গি ও দায়িত্ববোধ প্রতিফলিত হয়েছে।
(রুবি/আলিম/লাবণ্য)