ডিসেম্বর ২৩: চলতি বছর টেসলাসহ বিভিন্ন বিদেশী প্রতিষ্ঠান চীনে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও মডার্না চীনে নতুন ঔষধ কারখানা নির্মাণ করেছে। ড্যানফস গ্লোবাল রেফ্রিজারেশন গবেষণা ও উন্নয়ন পরীক্ষামূলক কেন্দ্র ব্যবহার করা হচ্ছে। অনেক অন্তঃদেশীয় প্রতিষ্ঠান কার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে চীনা বাজারে আস্থা প্রদর্শন করেছে। সম্প্রতি চীনের সরকারি তথ্য-উপাত্ত এটি প্রমাণ করে।
সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত চীনে বিদেশী বিনিয়োগের প্রতিষ্ঠিত নতুন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৪৮ হাজার ৭৮টি, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৬.২ শতাংশ বেশি। বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি মন্থর হওয়া ও ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে, চীনা বাজার যেন আরও আকর্ষণীয় হয়েছে।
চীনে বিদেশী অর্থ সংগ্রহের কাঠামোও অব্যাহতভাবে উন্নত হচ্ছে। গত নভেম্বর পর্যন্ত চীনের উচ্চপ্রযুক্তির শিল্প ৩৬৮.৬৫ বিলিয়ন ইউয়ান বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে, যা আসল ব্যবহৃত বিদেশী মূলধনের পরিমাণের ৩৭.২ শতাংশ। এর মধ্যে চিকিত্সা সরঞ্জাম এবং যন্ত্র উত্পাদন শিল্প, টেলিযোগাযোগ সরঞ্জাম উত্পাদন শিল্পে বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণের পরিমাণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়াও, গবেষণা ও উন্নয়ন এবং নকশা পরিষেবা ক্ষেত্রে আসল বিদেশী অর্থ ব্যবহারের পরিমাণ স্পষ্টভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিদেশী বিনিয়োগের উত্স থেকে উন্নত অর্থনৈতিক সত্তাগুলো চীনে বিনিয়োগের পরিমাণ দ্রুত বাড়িয়েছে। এর মধ্যে ব্রিটেন, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া চীনে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে যথাক্রমে ৯৩.৯, ৯৩.২, ৩৪.১, ২৩.২ ও ১৪.৩ শতাংশ। পশ্চিমা মিডিয়ার কর্তৃক প্রচারিত তথাকথিত ‘চীন থেকে বিদেশী পুঁজি প্রত্যাহার’-এর খবর পশ্চিমা দেশগুলোই মিথ্যা প্রমাণ করেছে।
বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য চীনে বিনিয়োগ হলো সুযোগ। বিশাল বাজার ছাড়াও সম্পূর্ণ অবকাঠামো, স্থিতিশীল শিল্প ও সরবরাহ-চেইন, উন্মুক্ততা ও উদ্ভাবন, অব্যাহতভাবে উন্নত হতে থাকা বাণিজ্যিক পরিবেশ ও পর্যাপ্ত সম্পদ—এ সবই বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবসায়ের নিশ্চয়তা সরবরাহ করে এবং মুনাফা নিশ্চিত করে। (ছাই/আলিম)