শেকড়ের গল্প পর্ব ৪৮
2023-12-13 18:26:07

এবারের পর্বে রয়েছে

১. লেবু চাষে ভাগ্য বদলেছে কৃষকদের

২. প্রকৃতি সংরক্ষণে বিশেষ নজর দিয়েছে চীন

 

বিশ্ববাসীকে ক্ষুধামুক্ত রাখতে একটু একটু করে ভূমিকা রাখছে চীনের অত্যাধুনিক কৃষি প্রযুক্তি। পেছনে পড়ে থাকা ছোট ছোট গ্রামগুলো মুক্তি পাচ্ছে দারিদ্রের শেকল থেকে। দিনশেষে স্বল্প পরিসরের উদ্যোগগুলো দেখছে সফলতার মুখ, হয়ে উঠছে সামগ্রিক অর্থনীতির অন্যতম অনুসঙ্গ।

কিন্তু কম সময়ে এত বড় সফলতার গল্প কীভাবে সম্ভব করলো চীন দেশের কৃষকরা? সে গল্পই আপনারা জানতে পারবেন “শেকড়ের গল্প” অনুষ্ঠানে।

 

 

লেবু চাষে ভাগ্য বদলেছে কৃষকদের

ভিটামিন সি-এর আধার লেবু কার না পছন্দ? খাওয়া থেকে রূপচর্চা- সবকিছুতেই রয়েছে লেবুর দারুণ চাহিদা। বাংলাদেশে সারা বছরই নানান জাতের লেবু উৎপাদিত হয়। এলাকাভেদে কিছু জায়গায় দেখা যায় বিশেষ জাতের লেবুর চাষাবাদ।

 

                                            

তবে শুধু বাংলাদেশ নয়, মানসম্মত লেবু উৎপাদনের জন্য বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা পেয়েছে চীনের চিয়াংসি প্রদেশের কাংচৌ সিটি। দিন দিন এর সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ায় একদিকে যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে এর চাহিদা, পাশাপাশি সম্ভব হয়েছে বড় পরিসরে উৎপাদন। ভালো ফলন ও মুনাফার জন্য এই ধরনের কৃষিকাজে আগ্রহী হয়ে উঠছেন অনেকে।

যত রকম দারুণ স্বাদের ফল পৃথিবীতে দেখতে পাওয়া যায় তার অধিকাংশই এখন উৎপাদন হচ্ছে চীনে।

এদেশে বেশ বড় পরিসরেই ফলের চাষ করা হয়। এর পেছনে অন্যতম একটি কারণ হলো সমবায় সমিতি। যেখানে গ্রামের প্রায় সবাই একজন বড় কৃষককে দায়িত্ব দিয়ে থাকেন চাষাবাদ করার জন্য।

সবার জমি যোগ করে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা করতে পারেন এদেশের কৃষকরা। আর এ কাজে সঙ্গী হয় সরকার। সব ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে আন্তরিক সহযোগিতা দিয়ে যায় স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

এতে করে একজন কৃষক কয়েক হেক্টর জায়গায় চাষ করার সুযোগ পান, আর মুনাফার আকারটাও বেড়ে যায় কয়েকগুণ।  অনেকেই ঝুঁকছেন কৃষিকাজে, সমৃদ্ধ হয়ে উঠছে তাদের জীবনযাত্রা।

এত বড় উদ্যোগের দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে চীনের চিয়াংসি প্রদেশের কাংচৌ সিটি। মানসম্মত লেবু উৎপাদনের জন্য বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই এলাকা। সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ায় একদিকে দিন দিন যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে এর চাহিদা, পাশাপাশি সম্ভব হয়েছে বড় পরিসরে উৎপাদন। ভালো ফলন ও মুনাফার জন্য এই ধরনের কৃষিকাজে আগ্রহী হয়ে উঠছেন অন্যান্য পেশার মানুষ।

 

প্রতিবেদন: এইচআরএস অভি

সম্পাদনা:  মাহমুদ হাশিম

 

 

প্রকৃতি সংরক্ষণে বিশেষ নজর দিয়েছে চীন

পরিবেশ সংরক্ষণে বরাবরই বিশেষ নজর দিয়েছে চীন সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের এই ইতিবাচক মনোভাবের ফলে গেল কয়েক বছরে দেশটিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে হাজারো প্রাকৃতিক জলাভূমি সংরক্ষণ এলাকা।

মানুষের দেহে বিপাকীয় প্রক্রিয়ায় তৈরি বর্জ্য যেমন কিডনির মাধ্যমে পরিষ্কার হয়, তেমনি পৃথিবীর অনেক বর্জ্য পরিষ্কার হয় জলাভূমির মাধ্যমেই। তাই এই জলাভূমি সংরক্ষণে কাজ করে যাচ্ছে চীন সরকার।

শীতের শুরুতেই পূর্ব চীনের চিয়াংসি প্রদেশের শাংইউ কাউন্টির নানহু জাতীয় জলাভূমি পার্কে রোপন করা হচ্ছে সাইপ্রেস ও  রডোডেনড্রন গাছ। স্থানীয় সরকারের উদ্যোগে এখানে চলছে উদ্যানের মানোন্নয়নের কাজ। পাশাপাশি  পরিশোধন কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে সারা বছর জলাভূমির পানির গুণমান উচ্চ স্তরে বজায় রাখার চেষ্টাও করে যাচ্ছে তারা।

১৯৯২ সালে ‘আন্তর্জাতিক জলাভূমি চুক্তিতে’ যোগ দেয়ার পর থেকেই চীন সরকার জলাভূমি সম্পদ রক্ষা এবং পুনরুদ্ধারের সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে চীন।  বিশেষ করে ২০২১ সালের ২৪ ডিসেম্বর চীনে জলাভূমি আইন গৃহীত হয়েছে, যা চীনের জলাভূমি সংরক্ষণ-কাজকে দিয়েছে আইনের ভিত্তি।

বিশ্বের ৪৩টি আন্তর্জাতিক জলাভূমি শহরে ১৩টি রয়েছে চীনে, যা বিশ্বের সর্বোচ্চ। চীনে রয়েছে সারা বিশ্বের মোট আয়তনের ৪ শতাংশ জলাভূমি। বিশ্বের এক-পঞ্চমাংশ জনসংখ্যার জলাভূমিতে উত্পাদন, জীবনযাপন ও সংস্কৃতিসহ নানা চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয়েছে চীন। বিশ্ব জলাভূমি সংরক্ষণ ও উপযোগী ব্যবহারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে বেইজিং।

 ২০২২ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে চীনে রয়েছে ৬৪টি আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ জলাভূমি, ২৯টি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ জলাভূমি এবং ৯০১টি জাতীয় জলাভূমি এবং ১০২১টি প্রাদেশিক জলাভূমি।

 

প্রতিবেদন: আফরিন মিম

সম্পাদনা:  শিহাবুর রহমান

 

 

এটি মূলত চায়না মিডিয়া গ্রুপ-সিএমজি বাংলার বাংলাদেশ ব্যুরোর কৃষি বিষয়ক সাপ্তাহিক রেডিও অনুষ্ঠান। যা সঞ্চালনা করছেন ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট এইচআরএস অভি।

এ অনুষ্ঠানটি আপনারা শুনতে পাবেন বাংলাদেশের রেডিও স্টেশন রেডিও টুডেতে।

শুনতে থাকুন শেকড়ের গল্পের নিত্য নতুন পর্ব । যেখানে খুঁজে পাবেন সফলতা আর সম্ভাবনার নানা দিক। আর এভাবেই চীনা কৃষির সঙ্গে শুরু হোক আপনার দিন বদলের গল্প।

 

পরিকল্পনা ও প্রযোজনা: এইচআরএস অভি

অডিও সম্পাদনা: রফিক বিপুল 

সার্বিক তত্ত্বাবধান: ইউ কুয়াং ইউয়ে আনন্দী