‘কাগজের বিমান’
2023-12-13 15:31:43

সিয়ে থিং ফেং, ১৯৮০ সালের ২৯ অগাস্ট চীনের হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হলেন চীনা ভাষা সংগীত মহলের বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী। তিনি একই সঙ্গে একজন অভিনেতা, সুরকার ও উপস্থাপকও বটে।

১৯৮৭ সালে তিনি বাবা-মা’র সঙ্গে কানাডায় যান। ১৯৯৫ সালে তিনি জাপানের টোকিওতে সংগীত শেখেন। ১৫ বছর বয়সে তিনি নিজের প্রথম গান ‘ভুল অনুমান’ রচনা করেন। ১৯৯৬ সালে সিয়ে থিং ফেং আনুষ্ঠানিকভাবে সংগীতমহলে পা রাখেন।

২০০১ সালে সিয়ে থিং ফেং চীনের ছাং ছুন শহরে তাঁর মূল ভূভাগের প্রথম কনসার্ট আয়োজন করেন। সে বছরের ২৮ জুলাই সিয়ে থিং ফেং প্রথমবারের মতো চীনের শাংহাই শহরের ৮০ হাজার দর্শকের জন্য বড় স্টেডিয়ামে কনসার্ট আয়োজন করেন। এ ছাড়া সিয়ে থিং ফেং গণকল্যাণমূলক কাজেও সক্রিয়ভাবে অবদান রেখেছেন। তিনি ৫০টি দরিদ্র শিশুকে আর্থিক সাহায্য দিয়েছেন। এ ছাড়া দরিদ্র এলাকায় স্কুলও স্থাপন করেছেন।

বন্ধুরা, এখন শুনুন সিয়ে থিং ফেং-এর কণ্ঠে ‘কাগজের বিমান’ নামের গানটি। গানের কথাগুলো এমন: একটি কাগজের বিমান, দেখা যাচ্ছে তুমিও উড়তে পারবে। যদি এমন একটি বিশ্ব থাকে যা একেবারে কিংবদন্তি। আমি চাইলে উড়তেও পারি। তুমি বুঝতে পারবে তুমি কত দূরে উড়েছো। বাস্তবতা ছাড়া একটি পৃথিবী আছে। আমি চাইলে উড়তে পারি। সবকিছুর মত ডানা থাকা চাই। তিমিরা পানি থেকে লাফিয়ে ওঠে। হাজার হাজার কাগজের বিমান, দেখা যাচ্ছে, তুমিও উড়তে পারবে।

আচ্ছা, শুনুন গানটি।

 

বন্ধুরা, এখন শোনাচ্ছি সিয়ে থিং ফেং-এর কণ্ঠে ‘পুরনো ক্ষতগুলো’। গানের কথাগুলো এমন: এটা আমি যারা ছেড়ে যেতে অস্বীকার করে, আমার স্বাধীনতা কেউ চায় না। কেন জিজ্ঞাসা করবে না, শুধু নদীর শেষ বলে মনে করো। একজন লোক আসে খুব সহজ। যখন আমি তোমাকে হারাবো, তখনই বুঝলাম এটা কতটা দুঃখজনক। কত গভীর হতে পারে পুরানো ক্ষতগুলো।

বন্ধুরা, এখন আপনাদের শোনাতে যাচ্ছি সিয়ে থিং ফেং-এর আরেকটি গান, গানের নাম ‘মিথ্যা বলবে না’। গানের কথাগুলো এমন: আমার হৃদয় একটি পালকের মতো যা যে কোনও সময় উড়িয়ে দেওয়া যায়। আমি আশা করি, আমি তা পূরণ করার পরে আমি তোমাকে রাখতে পারব। আমার কি ছেড়ে দেওয়া উচিত? আজ রাতে আমি কীভাবে নিজেকে বিশ্বাস করব? মিথ্যা বলো না মিথ্যা বলো না।

আচ্ছা, শুনুন এই গান।