ডিসেম্বর ৮: গতকাল (বৃহস্পতিবার) ২৪তম চীন-ইউরোপ শীর্ষসম্মেলন বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল ও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেইনের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেছেন। এ বিষয়ে সিএমজি সম্পাদকীয়তে বলা হয়, ইউরোপকে চীনের বিষয়ে সঠিক উপলব্ধি করতে হবে।
সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়, এ বছর হলো চীন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে সার্বিক কৌশলগত অংশীদারি সম্পর্ক গঠনের ২০তম বার্ষিকী এবং চীন-ইউরোপ শীর্ষসম্মেলন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার ২৫তম বার্ষিকী। চীন-ইইউ সম্পর্কের ইতিহাসে এবারের শীর্ষসম্মেলন অতীত ব্যবস্থা এগিয়ে নেওয়া ও ভবিষ্যতের সঙ্গে সংযুক্ত করার ক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। দু’পক্ষ এ সুযোগে অভিজ্ঞতা বিনিময় করা এবং উচ্চ পর্যায়ের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের সুষ্ঠু প্রবণতা জোরদার করতে ইচ্ছুক।
সঠিকভাবে পারস্পরিক বোঝাপড়া করা হলো চীন ইইউ’র সঙ্গে সহযোগিতার পূর্বশর্ত। গত ২০ বছরে চীন ইইউ সম্পর্কে তিনটি নীতিগত দলিল প্রকাশ করেছে। চীন ইইউকে বিশ্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ মেরু হিসাবে বিবেচনা করে।
এবারের সাক্ষাত্কালে সি চিন পিং পুনরায় চীন ও ইইউ-এর পারস্পরিক আস্থা এবং দু’পক্ষের সার্বিক কৌশলগত অংশীদারি সম্পর্ক জোরদার করেছেন। ইইউ আবারও এক চীন নীতি বজায় রাখার কথা ঘোষণা করেছে। ইইউ চীনের সঙ্গে পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে উন্মুক্ত ও আন্তরিক ধারণার ভিত্তিতে মতভেদ নিয়ে যোগাযোগ বাড়াতে ইচ্ছুক।
চীনের দৃষ্টিতে ইইউ হলো আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার পছন্দনীয় অংশীদার এবং শিল্প ও সরবরাহ চেইনের সহযোগিতার বিশ্বস্ত অংশীদার। এদিকে ইইউ’র নেতারা মনে করেন, দু’পক্ষের সহযোগিতা পারস্পরিক কল্যাণকর ও ন্যায্য।
বহুপক্ষীয় কাঠামোয় যোগাযোগ ও সমঝোতা জোরদার করা, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয়ে সমঝোতা বাড়ানো, জলবায়ু পরিবর্তন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে দু’পক্ষ সহযোগিতা ও সংলাপ জোরদারে একমত হয়েছে।
(ছাই/তৌহিদ)