চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সাপ্তাহিক আয়োজন: বিজ্ঞানবিশ্ব
৪৭তম পর্বে যা থাকছে:
অঙ্গ প্রতিস্থাপন গবেষণায় চীনের সফলতা
চীনা মহাকাশচারীদের গল্প শুনে অনুপ্রাণিত হংকং শিক্ষার্থীরা
পৃথিবীর নিকটবর্তী দুটি গ্রহাণুর সন্ধান পেয়েছেন চীনা বিজ্ঞানীরা
অঙ্গ প্রতিস্থাপন গবেষণায় চীনের সফলতা
বিভিন্ন রোগের কারণে মানুষের দেহের কোনও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে গেলে সেটি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ এক শরীর থেকে কোনও অঙ্গ অন্য মানব-শরীরে স্থাপন করা হয়। এ ক্ষেত্রে দাতার প্রয়োজন পড়ে। তবে দাতা পাওয়াটা বেশ দুঃসাধ্য হওয়ায় বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে অন্যান্য প্রাণীর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ মানবদেহে প্রতিস্থাপনের গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ গবেষণায় সফলতা পেয়েছে চীনা একদল চিকিৎসক। সম্প্রতি শূকরের অঙ্গগুলোকে বানরের মধ্যে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে দলটি।
অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে দাতার শরীর থেকে একটি সুস্থ অঙ্গ এমন একজন ব্যক্তির শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়, যার ওই অঙ্গটি অকার্যকর হয়ে গিয়েছে। এসব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মধ্যে রয়েছে হৃদযন্ত্র, লিভার, কিডনি, ফুসফুস, অন্ত্র, থাইমাস ও অগ্ন্যাশয়। চীনের শায়ানসি প্রদেশের সি’আনের সার্জনরা সফলভাবে শূকরের বিভিন্ন অঙ্গ বানরের শরীরে প্রতিস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন। প্রাণী থেকে মানবদেহে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের এ গবেষণা ‘জেনোট্রান্সপ্ল্যান্ট’ নামে পরিচিত।
এয়ার ফোর্স মিলিটারি মেডিকেল ইউনিভার্সিটির শিচিং হাসপাতালের ২০টিরও বেশি বিভাগের ৪০ জনেরও বেশি চিকিৎসক ও গবেষক একটি ‘জেনেটিক্যালি এডিটেড’ শূকর থেকে লিভার, কিডনি, হার্ট, পেটের অংশ (অ্যাবডোমিনাল ওয়াল), কর্নিয়া, হাড়, মিডিয়ান নার্ভসহ একাধিক অঙ্গ ও টিস্যু প্রতিস্থাপন করেছেন। চলতি বছরের ২৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সাতটি বানরের শরীরে এসব অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হয়।
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যেসব বানরের মধ্যে এসব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ স্থাপন করা হয়েছে সেগুলো বর্তমানে সুস্থ রয়েছে। প্রাণীর মধ্যে রক্তনালীসহ পেটের অংশ প্রতিস্থাপন বিশ্বে এটাই প্রথম। পৃথিবীর কোথাও এই ধরনের কোনও অস্ত্রোপচার রেকর্ড নেই।
এ অস্ত্রোপচারগুলো গুরুতর টিস্যুর ক্ষতি এবং অঙ্গের ব্যর্থতার চিকিত্সায় জেনোজেনেটিক প্রতিস্থাপনের গুরুত্ব তুলে ধরে। এটি মানবদেহে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের সম্ভাব্যতা ও কার্যকারিতা আরও নিশ্চিত করেছে বলে জানান চীনের বিজ্ঞান একাডেমি এবং হাসপাতালের লিভার ও গলব্লাডার সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ড. তু খেফেং।
তিনি বলেন, “বিভিন্ন রোগের কারণে মানবদেহের নষ্ট হয়ে যাওয়া অঙ্গগুলো প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা দাতা খুঁজে না পাওয়া। জেনোট্রান্সপ্লান্ট এ ঘাটতি দূর করবে। শিচিং হাসপাতাল এ বিষয়ে আরও গভীরভাবে গবেষণা চালিয়ে যাবে।”
বিশ্বব্যাপী অঙ্গদানের ঘাটতি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চীনে প্রতি বছর প্রায় ৩ লাখ মানুষ অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য দাতার জন্য অপেক্ষা করে, যদিও প্রতি বছর মাত্র ১০ থেকে ২০ হাজার মানুষ অঙ্গ প্রতিস্থাপন করাতে সক্ষম হন।
আর এই ঘাটতির কারণেই মূলত বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞানীরা জীবন রক্ষাকারী জেনোট্রান্সপ্ল্যান্ট বা অন্যান্য প্রাণীর অঙ্গ ব্যবহার করার গবেষণা চালিয়ে আসছেন।
জেনোট্রান্সপ্লান্টের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনাটি ঘটেছিল যুক্তরাষ্ট্রে ২০২২ সালের শুরুর দিকে। দেশটিতে হৃদরোগে আক্রান্ত দুইজন রোগী শরীরে জেনেটিক্যালি এডিট করা শূকরের হার্ট বা হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন করা হয়। এছাড়া চলতি বছরের সেপ্টেম্বরেও এরকম একটি অস্ত্রোপচার করা হয়। যদিও অস্ত্রোপচারের প্রায় দুই মাস পর দুজনেই মারা যান।
তবে মানবদেহের মধ্যে প্রাণীর অঙ্গ প্রতিস্থাপনে বিজ্ঞানীদের প্রধান সমস্যাগুলোর একটি হলো নির্দিষ্ট ওই প্রাণীর শরীরে থাকা ভাইরাস, যা মানুষের মধ্যে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে।
শিচিং হাসপাতালটি ২০১৩ সালে প্রাণীর শরীরে অঙ্গ প্রতিস্থাপন গবেষণা শুরু করে এবং সম্প্রতি সফল হওয়া এ অস্ত্রোপচারের প্রস্তুতি এপ্রিল মাসে শুরু হয়েছিল।
এর আগে গত জুলাই মাসে চিকিৎসক তৌয়ের নেতৃত্বে একটি দল সফলভাবে একটি ‘জেনেটিক্যালি এডিটেড’ শূকরের চামড়া গুরুতরভাবে পোড়া রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করেছিল। অস্ত্রোপচারের প্রায় ৫০ দিন পর রোগীর ত্বক সেরে ওঠে এবং পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে।
|| প্রতিবেদন: শুভ আনোয়ার
|| সম্পাদনা: শিয়াবুর রহমান
চীনা মহাকাশচারীদের গল্প শুনে অনুপ্রাণিত হংকং শিক্ষার্থীরা
আমাদের এক জীবনে আমরা কতো কিছুই না হতে চাই। কিন্তু মহাকাশচারী হওয়ার স্বপ্ন থাকে কজনের? আবার থাকলেও সেই স্বপ্নের জন্য পাড়ি দিতে হয় কত শত পথ!
সম্প্রতি মহাকাশে একাধিক সফল মিশন শেষে পৃথিবীতে ফিরেছেন চীনের কয়েকজন মহাকাশচারী। এই দলটি চীনের অন্তত ১ হাজার ৪০০ শিক্ষার্থীর কাছে তুলে ধরেছেন তাদের অভিজ্ঞতা, রোমাঞ্চ আর সফলতার গল্প। তারা তরুণ ও সম্ভাবনাময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে নভোচারী হওয়ার স্বপ্নের বীজ বপন করেছেন, যাতে ভবিষ্যতে এই তরুণরাই নভোচারী হতে কিংবা মহাকাশ গবেষণায় আগ্রহী হয়ে উঠে।
চীনের হংকং ও ম্যাকাও বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলে (এসএআর) ছয় দিনের সফরে গিয়েছেন চীনের মানববাহী মহাকাশ কর্মসূচির একটি প্রতিনিধিদল। সেখানে তারা মাধ্যমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মহাকাশ অনুসন্ধানের জন্য উত্সাহ দেন এবং শূন্য মাধ্যাকর্ষণে অর্থাৎ মহাকাশে তারা কি ধরনের কাজ করেন, কিভাবে খাবার খান কিংবা ঘুমান এসবসহ তাদের দৈনন্দিন জীবনের সব অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।
মহাকাশচারীরা চীনের মহাকাশ কর্মসূচির উন্নয়ন কৌশল, চীনের মহাকাশ স্টেশন নির্মাণ এবং মানবচালিত চন্দ্র অভিযানের পাশাপাশি মহাকাশে তাদের জীবনের বিশদ বিবরণও তুলে ধরেন। এ দলে ছিলেন মহাকাশচারী ও মহাকাশ প্রকৌশলীরা।
এ সময় মহাকাশচারী ছেন তোং শিক্ষার্থীদেরকে মহাকাশ থেকে নেওয়া তাদের শহরের একটি ছবি দেখান। ওই ছবিতে হংকং ও ম্যাকাওয়ের বিমানবন্দর এবং হংকং-চুহাই-ম্যাকাও সেতু ছিল বলে ব্যাখ্যা করেন তিনি। তার উপস্থাপনার সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ ছিল চীনের থিয়ানকং মহাকাশ স্টেশনে বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার গল্প।
পুই খিউ মিডল স্কুলের শিক্ষার্থী ছ্যান মান-লাম। সে জানায়, মহাকাশচারী ছেনের বিনিময় করা অভিজ্ঞতা তাকে মহাকাশ অনুসন্ধানের প্রতি আগ্রহী করে তুলেছে। মহাকাশচারীরা কী ধরনের অসুবিধা এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেছেন এবং কীভাবে সেগুলোর সমাধান করেছেন এসব শুনে সে প্রভাবিত হয়েছে বলেও জানায়।
এর আগে হংকংয়ের কলিসিয়ামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশনার মাধ্যমে চীনের মানববাহী মহাকাশ কর্মসূচির প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী জন লি।
চায়না ম্যানড স্পেস এজেন্সির (সিএমএসএ) উপ-পরিচালক লিন সিছিয়াং প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। তিনি শিক্ষার্থীদের জানান, একজন নভোচারীর অবশ্যই শারীরিক ও মানসিক সামর্থ, পেশাদার জ্ঞান এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা থাকতে হবে। তিনি ম্যাকাওয়ের শিক্ষার্থীদের মহাকশাচারী হতে কঠোর পরিশ্রম, পড়াশোনা ও শারীরিক অনুশীলন করার পরামর্শ দেন।
|| প্রতিবেদন: শুভ আনোয়ার
|| সম্পাদনা: শিয়াবুর রহমান
পৃথিবীর নিকটবর্তী দুটি গ্রহাণুর সন্ধান পেয়েছেন চীনা বিজ্ঞানীরা
উত্তর গোলার্ধ থেকে পুরো আকাশ পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম একটি ওয়াইড-ফিল্ড টেলিস্কোপের মাধ্যমে পৃথিবীর কাছাকাছি দুটি গ্রহাণু আবিষ্কার করেছেন চীনা জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। গ্রহাণু দুটি ১৮ নভেম্বর প্রথম ওয়াইড ফিল্ড সার্ভে টেলিস্কোপে (ডব্লিউএফএসটি) ধরা পড়ে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবীর সঙ্গে এসব গ্রহাণুর সংঘর্ষের সম্ভাবনা কতোখানি - সেটা বলা খুব কঠিন। তবে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে ও ঘটছে।
ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়নের অধীনে মাইনর প্ল্যানেট সেন্টার, ওয়াইড ফিল্ড সার্ভে টেলিস্কোপের মাধ্যমে গ্রহাণু দুটি আবিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা এ গ্রহাণু দুটির নাম দিয়েছে ‘২০২৩ ডব্লিউএক্স১ এবং ২০২৩ ডব্লিউবি২’।
আনুমানিক ১৭০ মিটারের ব্যাসসহ ‘২০২৩ ডব্লিউএক্স১’ গ্রহাণুটি সম্ভাব্য বিপদজনক হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে। এর অর্থ হলো পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে এটি শূন্য দশমিক ০৪১৬ জ্যোতির্বিদ্যা ইউনিট দূরে অবস্থান করছে। অর্থাৎ এটি পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে ৬ দশমিক ২২ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে রয়েছে। তবে অন্যটি নিয়ে পৃথিবীর জন্য কোনও ধরনের হুমকি নেই।
চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশটির বিজ্ঞান একাডেমির পার্পল মাউন্টেন অবজারভেটরি যৌথভাবে ওয়াইড ফিল্ড সার্ভে টেলিস্কোপটি তৈরি করেছে। ২০২২ প্রাচীন চীনা দার্শনিক মোজির নামানুসারে টেলিস্কোপটির নাম রাখা হয় মোজি। এটি মিসিয়াস নামেও পরিচিত। এ দার্শনিক ইতিহাসে প্রথম অপটিক্যাল পরীক্ষা চালিয়েছিলেন বলে জানা যায়।
উত্তর-পশ্চিম চীনের ছিংহাই প্রদেশের ওয়াইড ফিল্ড টেলিস্কোপটির কার্যক্রম ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হয়। এর একটি প্রধান কাজ হলো সৌরজগতের বিভিন্ন বস্তু পর্যবেক্ষণ করা। এটি কোনও সাধারণ টেলিস্কোপ নয়। ২ দশমিক ৫ মিটার ব্যাসের এই টেলিস্কোপটি উত্তর গোলার্ধ থেকে গোটা আকাশ পর্যবেক্ষণে সক্ষম।
ওয়াইড ফিল্ড সার্ভে টেলিস্কোপ সোলার সিস্টেমের স্টাডি প্রোগ্রামের প্রধান চাও হাইবিনের মতে, এ টেলিস্কোপটি ব্যবহার করে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যেই মেইন-বেল্ট গ্রহাণুর একটি নতুন ব্যাচ খুঁজে পেয়েছেন এবং পৃথিবীর নিকটবর্তী বেশ কয়েকটি আর্থ গ্রহাণু পুনরায় আবিষ্কার করেছেন।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এসব গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলে সেটি হবে পারমাণবিক বোমার চেয়েও ভয়াবহ। তাই কোনও ধরনের সম্ভাবনা না থাকলেও তারা সতর্ক রয়েছেন।
ধারণা করা হয়, পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদ সৃষ্টি হয়েছিল মঙ্গলের মতো একটি বস্তুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষের ফলেই। পৃথিবী ভেঙে তার টুকরো দিয়েই চাঁদের জন্ম হয়।
গত শতাব্দীর শুরুর দিকে রাশিয়াতে একটি গ্রহাণু পড়েছিল যা পারমাণবিক বিস্ফোরণের মতো আঘাত হেনেছিল, যার ফলে একটি বন ধ্বংস হয়ে যায়।
||প্রতিবেদন: শুভ আনোয়ার
||সম্পাদনা: শিয়াবুর রহমান
প্রিয় শ্রোতা, এই ছিলো আমাদের এবারের বিজ্ঞানবিশ্ব। অনুষ্ঠান কেমন লাগছে আপনাদের, তা আমাদের জানাতে পারেন। এতোক্ষণ বিজ্ঞানবিশ্বের পুরো আয়োজন জুড়ে ছিলাম আমি শুভ আনোয়ার। নতুন আরও তথ্যবহুল ও অজানা বিষয় নিয়ে প্রতি সপ্তাহের সোমবার হাজির হবো আপনাদের সামনে। আগামী সপ্তাহে আবারো কথা হবে। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
প্রযোজনা ও উপস্থাপনা- শুভ আনোয়ার
অডিও সম্পাদনা- রফিক বিপুল
স্ক্রিপ্ট সম্পাদনা- শিয়াবুর রহমান
সার্বিক তত্ত্বাবধান- ইউ কুয়াং ইউয়ে আনন্দী