ডিজিটাল যুগে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন নতুন পদক্ষেপ
2023-12-04 15:30:10

২০১৭ সালে চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদের উদ্যোগে ‘নতুন যুগে এআই প্রযুক্তির উন্নয়ন পরিকল্পনা’ প্রকাশিত হয়। এতে বুদ্ধিমান শিক্ষাদান প্রক্রিয়া, এআই প্রযুক্তি প্রয়োগ করে পেশাদার ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণকাজে গতি আনা, এবং শিক্ষাপদ্ধতির সংস্কার করে এআই-ভিত্তিক ক্যাম্পাস গড়ে তোলাসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হয়। 

এআই প্রযুক্তির দ্রুত উন্নয়নের ফলে উচ্চশিক্ষাও আগের চেয়ে আরও বেশি চ্যালেঞ্জ আর সুযোগের সম্মুখীন হয়েছে। কিভাবে নতুন এআই যুগের পরিবর্তনগুলোর সাথে খাপ খাওয়ানো যায় এবং ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় শিক্ষার মান আরও উন্নত করা যায়? এটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে। আজকের বিদ্যাবার্তায় আমরা চীনের সংশ্লিষ্ট খাতের দক্ষ পণ্ডিত ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সাক্ষাত্কার থেকে পাওয়া কিছু সংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরব।

শাংহাই চিয়াওথং বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ও কর্মীদের চাহিদা সম্পর্কে জানতে পারে এবং স্মার্ট ক্লাসরুম আর ডিজিটাল শিক্ষার প্ল্যাটফর্মসহ বিভিন্ন ডিজিটাল এপিপি উন্নয়ন করেছে। ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় ডিজিটাল শিক্ষার নতুন পদ্ধতিতে অনলাইন ক্লাস, ডিজিটাল গ্রন্থাগারসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে।

চীনের ক্রমবর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় ব্যাপক অর্থ ও সম্পদ বরাদ্দ করে ক্যাম্পাসে বুদ্ধিমান অবকাঠামো গড়ে তুলেছে; বুদ্ধিমান ক্লাসরুম, পরীক্ষাগার ও গ্রন্থাগারসহ বিভিন্ন সুবিধাজনক ব্যবস্থা সরবরাহ করেছে, যা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন সুবিধা ও কল্যাণ বয়ে এনেছে।

সংবাদদাতা সাক্ষাত্কার নেওয়ার সময় খেয়াল করেন যে, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যায়ন প্রক্রিয়া দ্রুত উন্নত হচ্ছে। উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি হারানো ও প্রাপ্তি বা লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড এপিপি চালু করা জরুরি, যাতে ক্যাম্পাসে হারানো জিনিস খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এর পর কম সময়ের মধ্যে সেই এপিপি চালু হয়। তথ্য নিবন্ধন, প্ল্যাটফর্ম পর্যালোচনা, হারানো এপিপি চালুর ২ সপ্তাহের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬৬ শিক্ষার্থীর হারানো জিনিস খুঁজে পাওয়া যায়।

বস্তুত, ২০২০ সাল থেকে উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০০টিরও বেশি ক্লাসরুম অনলাইনে চলছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ক্লাসের রুটিন অনুসারে অনলাইন ক্লাসে যোগ দেন। ৩ বছরের মধ্যে উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন বিভাগ ২৪০টিরও বেশি পরিষেবা ও প্রশাসন প্রক্রিয়া সরবরাহ করেছে; শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের চাহিদা বিবেচনা করে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন প্ল্যাটফর্মের কার্যকারিতা আরও বাড়ানোর প্রচেষ্টাও অব্যাহত আছে।

শাংহাই চিয়াওথং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও প্রযুক্তি কেন্দ্রের পরিচালক শেং হং সিং মনে করেন, চলমান যুগে শিক্ষার্থীরা জন্ম থেকেই ইন্টারনেটের সাথে পরিচিত। তারা টয়লেটে গেলেও হাইফাই দরকার। এ উপলক্ষ্যে শাংহাই চিয়াওথং বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন বুদ্ধিমান ক্লাসরুমে প্রতি আসনের নিচে একটি পাওয়ার আউটলেট লাগানো হয়েছে। এভাবে তারা যে-কোনো সময় বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে পারে।

চলতি বছরের অক্টোবর মাসে চীনের ছিংতাও শহরে আয়োজিত উচ্চশিক্ষা এক্সপোতে চীনের শিক্ষা খাতের পণ্ডিত ও বিশেষজ্ঞরা বুদ্ধিমান যুগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষার সংশ্লিষ্ট পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁরা মনে করেন, নতুন যুগে কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার বাইরের পরিবেশ পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তা নয়, বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরেও অনেক পরিবর্তন ঘটছে।

অনেক মধ্য বয়সী স্নাতক শিক্ষার্থী যখন আবার নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যান, তখন খেয়াল করেন যে, অতীতকালের বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। এখন ক্লাসরুমে এআই মনিটর আছে, ডিজিটল সাইন ইন আছে, অনলাইন ক্লাউড ক্লাস আছে, ইত্যাদি। ধীরে ধীরে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো ব্যবস্থাপনার বুদ্ধিমান পর্যায় তার শিক্ষাদানের মানের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচকে পরিণত হয়েছে। নতুন প্রজন্মের তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যাপক ও গভীরভাবে উচ্চশিক্ষার উদ্ভাবন ও উন্নয়নের সাথে জড়িত।

চীনের জিওসায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উহান ক্যাম্পাসে একটি ভিজ্যুয়াল পোর্টাল চালু হয়েছে, যার মাধ্যমে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা স্মার্ট সহকারী সরঞ্জামের সাথে ধারাবাহিক কথাবার্তা বলতে পারেন।শিক্ষার্থী হলের দরজার তালা নষ্ট হলে, সংশ্লিষ্ট মেরামত এপিপি দেয় স্মার্ট সাহায্য। এ ভিজ্যুয়াল পোর্টাল বিভিন্ন ধরনের অনলাইন অনুষ্ঠান বা প্রতিযোগিতার আয়োজনে সহায়তা দিতেও সক্ষম। যেমন, বিভিন্ন সেমিনার বা প্রতিযোগিতার আয়োজনের সময় ও অবস্থানের তথ্য দেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট নিবন্ধন ব্যবস্থা ও সাইন ইন করা যায় এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে পোস্টার তৈরি করা যায়।

সি’আন ইলেকট্রনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, বর্তমানে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের জন্য বুদ্ধিমান কমিউনিটি স্থাপন করা হয়েছে। বিগ ডেটার বিশ্লেষণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের চাহিদা ও সমস্যা এখন আরও  ভালোভাবে বোঝা যায় এবং তাদেরকে সংশ্লিষ্ট পরামর্শ ও সহায়তা দেওয়া যায়।

তিনি আরও বলেন, শ্রেষ্ঠ শিক্ষাদান বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য। ঐতিহ্যিক শিক্ষাপদ্ধতি ও বিষয় এখন আর সামাজিক চাহিদা মেটাতে সক্ষম নয়। তাই, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ডিজিটাল বুদ্ধিমান যুগের পরিবর্তনে অভ্যস্ত হয়ে পেশাদার ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণপদ্ধতি উন্নত করতে চেষ্টা করছে।

শাংহাই চিয়াওথং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও প্রযুক্তি কেন্দ্রের পরিচালক শেন হং সিং বলেন, ডিজিটাল যুগে নতুন প্রজন্মের ছাত্রছাত্রীরা অধিকাংশই ইন্টারনেট থেকে জ্ঞান অর্জন করে, ক্লাসরুম কেবল তাদের জ্ঞানের ক্ষুদ্রাংশ সরবরাহ করে। ইন্টারনেট, স্কুলের বাইরের প্রশিক্ষণ প্রকল্প, বিভিন্ন ইন্টারশিপের সুযোগ, এআই মডেল, এবং পিলিপিলি এপিপি, ইত্যাদি ঐতিহ্যিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তাই এ বিষয়টি ভালো করে বিবেচনা করতে হবে।

বর্তমানে ইন্টারনেটে জ্ঞান প্রচার হচ্ছে সীমাহীন। অনলাইনে অনেক শ্রেষ্ঠ ও বিনা খরচের শিক্ষা কোর্স পাওয়া যায়। বর্তমানে শাংহাই চিয়াওথং বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত রেকর্ড ব্যবস্থায় মোট ৪৩০টি ক্লাসের বিষয় রেকর্ডিং করা হয়। শিক্ষার্থীরা এ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ক্লাসের ভিডিওর রিপ্লে দেখতে পারে। চলতি বছরের প্রথমার্ধে মোট ২.৫ লাখ ঘন্টার ভিডিও প্রচার করা হয়েছে, যার দৈনিক ভিউ ৩৩৩৩ পার্সনটাইমস। অনেক শিক্ষার্থী ক্লাসের ভিডিও দেখার পর নিজের মন্তব্য রাখেন। ভিডিও-র কারণে ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার মান ও কার্যকারিতা বেড়েছে। ধীরে ধীরে ক্লাসের রেকর্ডকৃত ভিডিও শিক্ষার্থীদের কাছে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।

কোনো কোনো শিক্ষক অনলাইন ক্লাসের ভিডিও নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। তারা মনে করেন, কোভিড মহামারী শেষ হয়েছে, এখন ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে এসে ক্লাসে বসে লেখাপড়া করতে পারে। যদি সবসময় অনলাইন ক্লাসের ভিডিও দেখে, তাহলে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাসরুমে আসার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। এ সম্পর্কে শাংহাই চিয়াওথং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি জরিপ চালানো হয়। ৬০০ জন ছাত্রছাত্রী এ জরিপে অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ৭৪ শতাংশ মনে করে, শুধু শরীর অসুস্থ বা জরুরি কাজ থাকার সময় ভিডিও ক্লাসে যোগ দেওয়া যেতে পারে। কেবল ৩ শতাংশ ছাত্রছাত্রী অনলাইন আর অফলাইনের ক্লাসের পার্থক্য অনুভব করে না। তাদের ভিডিও ক্লাসের প্রতি আগ্রহ বেশি; তারা ক্লাসরুমে আসতে চায় না।

বুদ্ধিমান যুগে ভিডিও বা লাইভ ক্লাসের কারণে শিক্ষকদের পড়ানোর পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আনা জরুরি। কারণ, ঐতিহ্যিক পদ্ধতিতে জ্ঞান দিলে নেটিজেন শিক্ষার্থীদের কোনো মজা পাবে না। এমন ক্লাস তাদের আকর্ষণ করতে পারে না। তাই নতুন যুগের পরিবর্তনের চাহিদা মেটাতে, কেবল ক্যাম্পাসের পরিবেশ, সরঞ্জামে পরিবর্তন নয়, বরং শিক্ষকদের পড়ানোর পদ্ধতি ও ছাত্রছাত্রীদের সাথে যোগাযোগের পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আনতে হবে।

ঐতিহ্যিক শিল্প যুগে নিয়মিত ক্লাসরুমে বিভিন্ন ছাত্রছাত্রীদের চাহিদা আলাদা, তাই ক্লাসের বিষয়ের প্রতি আবেগও ভিন্ন। ঐতিহ্যিক ক্লাস প্রত্যেকের জন্য নির্দিষ্ট পড়াশোনার পরিকল্পনা দিতে পারে না এবং ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ায় উত্সাহ দিতেও সক্ষম নয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুম শুধু ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে জ্ঞান বিতরণের জন্য নয়, বরং তাদের চিন্তাভাবনা ও সহযোগিতার দক্ষতাসহ বিভিন্ন সামর্থ্য বাড়াতে হবে এবং ছাত্রছাত্রীদের চরিত্র গঠনে সহায়তা দিতে হবে। তাই ক্লাসের ভিডিও দেখার পর ছাত্রছাত্রীরা বাস্তব অনুশীলন ও সহপাঠীদের সাথে আদান-প্রদানের মাধ্যমে নিজেরাই বিভিন্ন জ্ঞান অর্জন করতে পারে। যদি তারা কোনোকিছু না বোঝে, তবে শিক্ষকদের কাছ থেকে সাহায্য নিতে পারে।

নতুন প্রজন্মের ছাত্রছাত্রীদের জন্য নতুন ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থা সহজে গ্রহণযোগ্য। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কোনো বয়স্ক ও সিনিয়র শিক্ষকের জন্য নতুন পদ্ধতির ক্লাস চ্যালেঞ্জিং। তাদেরকে বেশি সময় দিতে হবে, পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে।

বর্তমানে শাংহাই চিয়াওথং বিশ্ববিদ্যালয়ের মাত্র ৫ ভাগের এক ভাগ শিক্ষক অনলাইন শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেন। তাই শিক্ষকদের জন্য প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণও জরুরি ব্যাপার। শিক্ষকদের জন্য ডিজিটল যুগে তাদের পেশাদার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ছাড়া আরো বিস্তারিত জ্ঞানের কাঠামো ও প্রযুক্তির দক্ষতা প্রয়োজন। ছাত্রছাত্রীদের জন্য ডিজিটাল যুগে তাদের আরো বেশি উদ্ভাবনী দক্ষতা আর নিজে নিজে পড়ার দক্ষতা বৃদ্ধি করা দরকার।

২০১৮ সালে বেইজিং বিদেশি ভাষা বিশ্ববিদ্যালয় এবং নিংসিয়া হুই জাতির স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে প্রথম দফার এআই প্রযুক্তির শিক্ষক প্রশিক্ষণের পরীক্ষামূলক প্রকল্প শুরু হয়। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও ৫৬টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চীনের ২০টি শহরে অনলাইন বুদ্ধিমান প্রযুক্তিতে ভিডিও ক্লাস চালু হয়।

২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ‘শিক্ষকদের ডিজিটাল প্রযুক্তির দক্ষতা’ সম্পর্কিত মানদন্ড প্রকাশ করে। এতে শিক্ষকদের ডিজিটাল চেতনা, ডিজিটাল প্রযুক্তির জ্ঞান ও দক্ষতা, ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রয়োগসহ বিভিন্ন মানদন্ড অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কেবল সমৃদ্ধ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা থাকবে না, বরং আধুনিক প্রযুক্তিতে শিক্ষার্থীদের পড়ানোর দক্ষতাও থাকতে হবে।

ডিজিটাল বুদ্ধিমান যুগ ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষকদের জন্য একই সাথে সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ।

(সুবর্ণা/আলিম/মুক্তা)