আজকের টপিক: চীন কীভাবে ‘জেড প্রজন্মের’ ফ্যাশনেবল কেনাকাটাকে উদ্দীপ্ত করে?
2023-11-29 12:11:52

২৯ নভেম্বর: নতুন যুগে ‘জেড প্রজন্মের’ কেনাকাটার গ্রুপ বিশ্বে খুব শক্তিশালী ভোগ প্রবণতা তৈরি করেছে। তাদের অনন্য ভোগের ধারণা ও আচরণ গভীরভাবে ব্যবসা-বাণিজ্যকে প্রভাবিত করছে। বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তা বাজার হিসাবে, কীভাবে কার্যকরভাবে ‘জেড প্রজন্মের’ ফ্যাশনেবল কেনাকাটাকে উদ্দীপ্ত করা যায়- তা ইতোমধ্যেই একটি ‘হট টপিকে’ পরিণত হয়েছে।


‘জেড প্রজন্ম’ মানে ১৯৯৫ সালের পরে জন্মগ্রহণকারী মানুষ। তারা ডিজিটাল বিশ্বের সঙ্গে গভীরভাবে পরিচিত ও নির্ভরশীল। তারা বড় হওয়ার সাথে সাথে, ইন্টারনেট শুধুমাত্র একটি হাতিয়ার নয়, তাদের জন্য তথ্য, সামাজিক তত্পরতা, বিনোদন ও কেনাকাটার একটি প্রধান মাধ্যম। তাদের কেনাকাটার আচরণ ও অভ্যাস আগের কয়েক প্রজন্ম থেকে একদম আলাদা। তারা স্বতন্ত্র অভিব্যক্তি এবং স্ব-মূল্যের উপলব্ধিতে আরও মনোযোগ দেয়, তারা আগ্রহ ও শখের জন্য ব্যয় করতে চায়।’

 

তাহলে  ‘জেড প্রজন্মের’ ফ্যাশনেবল কেনাকাটা গ্রুপের খরচের বৈশিষ্ট্যগুলো কী কী? তারা কী ধরণের ভোগ্য পণ্যের ওপর বেশি মনোযোগ দেয়? এবং তাদের দৃষ্টি আকর্ষণে কি কি উদ্যোগ নেবে শিল্পপ্রতিষ্ঠাগুলো। চলুন দেখা যাক।


‘পণ্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে, জেড প্রজন্মের তরুণ-তরুণী গুণগত মান ও ব্যক্তিত্বের দিকে বেশি মনোযোগ দেয়। তারা নিজেদের চাহিদা পূরণ করতে এবং পছন্দের পণ্য খুঁজে পেতে আরও বেশি সময় ও শক্তি ব্যয় করতে ইচ্ছুক। একই সময়, তারা তাদের পণ্যগুলোর স্বতন্ত্রতা এবং উদ্ভাবনের দিকে আরও মনোযোগ দেয়। উদাহরণস্বরূপ, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ‘হানফু’ বাজারে উত্থান জেড প্রজন্মের ব্যক্তিগতকরণ এবং স্বতন্ত্রতা অর্জনের একটি উদাহরণ। পরিষেবার অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে, জেড প্রজন্মের মানুষ ইন্টারেক্টিভ ও অংশগ্রহণের প্রতি আরও বেশি মনোযোগ দেয়। তারা ব্র্যান্ড ভালোবাসে, যাতে পণ্যের নকশা ও প্রচারে কাজ করতে চায়। একই সময়, তারা কেনাকাটা প্রক্রিয়ায় আরও বেশি ইন্টারেক্টিভ ও অভিজ্ঞতা প্রত্যাশা করে। উদাহরণস্বরূপ, AR/VR প্রযুক্তির মাধ্যমে, ভোক্তারা অনলাইনে পণ্যের প্রকৃত বাস্তবতা অনুভব করতে পারেন, অথবা লাইভ স্ট্রিমিংসহ বিভিন্ন পদ্ধতিতে সরাসরি পণ্য সম্পর্কে জানতে পারে। সরবরাহ চেইন পরিচালনার পরিপ্রেক্ষিতে, জেড প্রজন্ম টেকসই অবস্থা এবং পরিবেশগত সুরক্ষার দিকে আরও বেশি মনোযোগ দেয়। যখন তারা পণ্য কিনবে, তখন তারা পণ্যের উত্পাদন প্রক্রিয়া এবং পরিবেশগত সুরক্ষা বৈশিষ্ট্যের প্রতি আরও বেশি মনোযোগ দেবে। শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন বা আরও বেশি কঠোর উদ্যোগ নিতে হবে। নিঃসন্দেহে তাদের পণ্য উত্পাদন প্রক্রিয়ায় পরিবেশ সুরক্ষা এবং টেকসই অবস্থার প্রতি আরও মনোযোগ দিতে হবে।’

 

চীনের জেড প্রজন্মের ভোক্তাদের একটি বিশাল সংখ্যা রয়েছে, তাদের ভোগের সুপ্তশক্তি বিশাল। তাদের ভোগের অভ্যাস ও চাহিদা মেটাতে বহু ক্ষেত্র থেকে উদ্যোগ নিতে পারে সংশ্লিষ্ট শিল্পপ্রতিষ্ঠান।


‘প্রথমত, জেড প্রজন্মের ভোক্তাদের অভ্যাস ও চাহিদা গভীরভাবে বুঝতে হবে, তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে তাদের চাহিদা আরও ভালভাবে পূরণ করে- এমন পণ্য ও পরিষেবা সরবরাহ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, অবশ্যই কেনাকাটার পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে হবে, সামাজিক মিডিয়া, ছোট ভিডিও এবং লাইভ স্ট্রিমিংসহ নতুন চ্যানেলের মাধ্যমে জেড প্রজন্মের ভোক্তাদের সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগ বজায় রাখতে হবে। তৃতীয়ত, সরবরাহ চেইনের পরিচালনা অপ্টিমাইজেশান করতে হবে, যাতে জেড প্রজন্মের ভোক্তাদের চাহিদা পূরণ করা যায়’।

 

‘জেড প্রজন্মের’ ফ্যাশনেবল কেনাকাটাকে কার্যকরভাবে উদ্দীপ্ত করলে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া, গোটা সমাজের ভোগের মান উন্নত করা যাবে এবং অর্থনীতির টেকসই ও সুষ্ঠু উন্নয়ন এগিয়ে নেওয়া যাবে।

 

(ওয়াং হাইমান/তৌহিদ/ছাই)