আকাশ: সুপ্রিয় শ্রোতা, সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানে। আপনাদের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমাদের সাপ্তাহিক আয়োজন ‘রোববারের আলাপন’। আপনাদের সঙ্গে আছি আমি আকাশ...
বন্ধুরা, এপেক নেতাদের ৩০তম অনানুষ্ঠানিক সম্মেলন যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর মোসকোন সেন্টারে স্থানীয় সময় ১৭ নভেম্বর সকালে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং যোগ দেন এবং ‘যৌথভাবে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে উচ্চ গুণগত মানের প্রবৃদ্ধি অর্জনে এপেক প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অবিচল থাকা এবং ঐক্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেন।
তিনি বলেন, এপেক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ অঞ্চলের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, অর্থনীতি ও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, পণ্য ও মানুষে-মানুষে বিনিময় এগিয়ে গেছে, যা অসাধারণ ‘এশিয়া প্রশান্ত আশ্চর্য’ সৃষ্টি করেছে।
বর্তমানে, বিশ্বের অর্থনীতি একাধিক ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। বিশ্বের উন্নয়নের চালিকাশক্তি হিসেবে, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল আরও বৃহৎ যুগের দায়িত্ব গ্রহণ করছে।
সি চিন পিং জোর দিয়ে বলেন, আমাদের উচিত এশিয়া ও প্রশান্ত সহযোগিতার চেতনা অনুসরণ করে হাতে হাত রেখে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা, সার্বিকভাবে ‘পুত্রজায়া রূপকল্প’ বাস্তবায়ন করা, উন্মুক্ত, শক্তিশালী ও শান্তিপূর্ণ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কনমিউনিট প্রতিষ্ঠা করা এবং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জনগণ ও ভবিষ্যত প্রজন্মের অভিন্ন সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা।
প্রেসিডেন্ট সি বলেন, “প্রথমত, উদ্ভাবনের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদের উচিত আরও ইতিবাচকভাবে প্রযুক্তির আদান-প্রদান ও সহযোগিতা এগিয়ে নেওয়া, হাতে হাত রেখে উন্মুক্ত, ন্যায় ও বৈষম্যহীন প্রযুক্তিগত উন্নয়নের পরিবেশ সৃষ্টি করা, বিগ ডেটা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ নতুন প্রযুক্তি খাতে সমর্থন দেওয়া এবং অব্যাহতভাবে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উন্নয়নে নতুন প্রাণশক্তি যোগানো।” চীন ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে সবুজ, নিম্ন-কার্বন রূপান্তরকে এগিয়ে নেওয়াসহ একাধিক উদ্যোগ উত্থাপন করেছে, যাতে এ অঞ্চলের উন্নয়নে আরও বেশি শক্তি যোগানো যায়।
চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, “দ্বিতীয়ত, উন্মুক্ততা বজায় রাখতে হবে। আমাদের উচিত উন্মুক্ত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ রক্ষা করা, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা-কেন্দ্রিক বহুপাক্ষিক বাণিজ্যিক ব্যবস্থা সমর্থন ও জোরদার করা, বৈশ্বিক শিল্প চেইন ও সরবরাহ চেইনের স্থিতিশীলতা রক্ষা করা, আর্থ-বাণিজ্যিক সমস্যার রাজনীতিকরণের বিরোধিতা করা, আঞ্চলিক অর্থনীতির সমন্বয় এগিয়ে নেওয়া এবং এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে উন্মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এগিয়ে নেওয়া।”
তিনি বলেন, চীন সাফল্যের সংগে তৃতীয় ‘বেল্ট আ্যন্ড রোড’ আন্তর্জাতিক সহযোগিতা শীর্ষ ফোরাম আয়োজন করেছে, যেটি বিশ্বের আন্তঃসংযোগে নতুন প্রাণশক্তি যুগিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট সি বলেন, তৃতীয়ত, সবুজ উন্নয়নকে বজায় রাখতে হবে। আমাদের উচিত মানবজাতি ও প্রকৃতির শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখা এবং সবুজ নিম্ন-কার্বন রূপান্তর আরও দ্রুতগতিতে এগিয়ে নেওয়া। চীন সবুজ উন্নয়নের পথে অবিচল রয়েছে। আমরা এপেক সবুজ কৃষি, টেকসই শহরসহ নানা সহযোগিতামূলক প্রস্তাব উত্থাপন করেছি এবং আরও পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নির্মাণের জন্য চীন কাজ করছে।”
তিনি বলেন, “চতুর্থত, ভাগাভাগির নীতিতে অবিচল থাকতে হবে। আমাদের উচিত ‘টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক জাতিসংঘ এজেন্ডা ২০৩০’ সার্বিকভাবে বাস্তবায়ন করা, উন্নয়ন কৌশলগুলোর সংযোগ জোরদার করা এবং একযোগে বিশ্বের উন্নয়নের ঘাটতি দূর করা। অর্থনীতি ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার ক্ষেত্রে এপেকের কার্যক্রমের প্রতি চীন তার সমর্থন অব্যাহত রাখবে, যাতে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অভিন্ন উন্নয়ন অর্জন করা যায়।”
সি চিন পিং জোর দিয়ে বলেন, চীনা বৈশিষ্ট্যের আধুনিকায়নের মাধ্যমে চীন সার্বিকভাবে শক্তিশালী দেশ নির্মাণকাজ ও জাতিগত পুনর্জাগরণ এগিয়ে নিচ্ছে। শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের পথ, উচ্চ গুণগত মানের উন্নয়ন এবং উচ্চ মানের উন্মুক্তকরণে চীন অবিচল থাকবে। চীনা বৈশিষ্ট্যের আধুনিকায়নের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আধুনিকায়নের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে চীন। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সহযোগিতায় আরও সুফল অর্জনে চীন বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে চায়। বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে একযোগে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য আগামীতে ‘সোনালী ৩০ বছর’ সৃষ্টি করতে চায় চীন।
বন্ধুরা, নতুন যুগে এবং নতুন যাত্রায়, চীন অবশ্যই এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরসহ বিশ্বের সঙ্গে যৌথভাবে মানবজাতির অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গড়ে তোলা এবং একটি সুন্দর বিশ্ব নির্মাণের জন্য অব্যাহতভাবে চীনা মেধা ও চীনা শক্তি দিয়ে অবদান রাখবে। এ খাতে আপনার ধারণা কি ভাই?
তৌহিদ:
সংগীত
চীনের জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশনের সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশন-সহ মোট ৫টি সরকারি বিভাগ যৌথভাবে ‘বহিরঙ্গন খেলাধুলার স্থাপনা নির্মাণ ও সেবা উন্নয়ন বিষয়ে অ্যাকশন প্ল্যান ২০২৩- ২০২৫’ প্রকাশ করেছে। এতে সংশ্লিষ্ট স্থাপনা ও সেবা উন্নয়নে ধারাবাহিক পদক্ষেপ উল্লেখ করা হয়েছে। জনগণের বহিরঙ্গন খেলাধুলার চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে অ্যাকশন প্ল্যান কাজ করবে।
পরিকল্পনায় বলা হয়, বহিরঙ্গন খেলাধুলাকে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এ ছাড়া, বহিরঙ্গন খেলাধুলা-বিষয়ক বেসরকারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন এগিয়ে নেওয়ার জন্য অ্যাকশন প্ল্যানে ব্যবস্থা রয়েছে।
ভাই, আপনি চীনে বহিরঙ্গন খেলাধুলায় অংশ নেয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের শেয়ার করতে পারবেন কি?
তৌহিদ:..
ভাই, বহিরঙ্গন খেলাধুলাসহ চীন গণশরীরচর্চা ও খেলাধুলা অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। এ খাতে আপনার ধারণা কি?
তৌহিদ:...
বাংলাদেশের বহিরঙ্গন খেলাধুলা উন্নয়নের অবস্থা কেমন?
তৌহিদ:...
(আকাশ/তৌহিদ)