‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রতিষ্ঠাকাজকে এগিয়ে নেওয়া সংক্রান্ত নেতৃস্থানীয় গ্রুপ কার্যালয় আজ (শুক্রবার) ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগের আওতায় আগামী দশ বছরের উন্নয়ন-সম্ভাবনা সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
আগামী দশ বছরে উচ্চ গুণগত মানের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রতিষ্ঠাকাজের ধারণা ও বাস্তব উদ্যোগ এ প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
প্রায় ১৩ হাজার শব্দের এ প্রতিবেদনে মুখবন্ধ ছাড়াও পাঁচটি অংশ রয়েছে। অংশগুলো হলো গত দশ বছরে বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রতিষ্ঠাকাজের সাফল্য ও অনুপ্রেরণা; আগামী দশ বছরে এ উদ্যোগের সামগ্রিক ধারণা; আগামী দশ বছরে উন্নয়েনের গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র ও দিকনির্দেশ; আগামী দশ বছরে উন্নয়য়নের পথ ও উদ্যোগ; এবং এর সম্ভাবনা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন বিভিন্ন পক্ষকে বলেছে যে, তাদের উচিত যৌথভাবে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ নির্মাণকাজের সহযোগিতায় ‘পাঁচটি সমন্বয়ের’ ওপর গুরুত্ব দেওয়া। এই পাঁচটি সমন্বয় হচ্ছে উত্তরাধিকার ও উদ্ভাবনের সমন্বয়; সরকার ও বাজারের সমন্বয়; দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সমন্বয়; ব্যাপকতা ও কার্যকারিতার সমন্বয়; এবং উন্নয়ন ও নিরাপত্তার সমন্বয়। এতে আরও বলা হয়, যৌথ আলোচনা, যৌথ নির্মাণ ও যৌথ ভাগাভাগি করতে হবে, উন্মুক্তকরণ, সবুজতা ও নীতিনিষ্ঠা মেনে চলতে হবে, এবং উচ্চ গুণগত মান, মানুষের কল্যাণ, বিরামহীনতাসহ নীতিগত ধারণা মেনে চলতে হবে।
উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার পরিপ্রেক্ষিতে, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী দশ বছরে সব পক্ষের সমান সহযোগিতা ও পারস্পরিক সুবিধার লক্ষ্যে কাজ করা উচিৎ যাতে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’-এর যৌথ নির্মাণকে উচ্চতার নতুন পর্যায়ে উন্নীত করা যায়। এই প্রত্রিয়ায় পাঁচটি প্রধান লক্ষ্য রয়েছে। এগুলো হলো আন্তঃসংযোগ ও আন্তঃযোগাযোগের নেটওয়ার্ক আরও মসৃণ ও কার্যকর করা; বিভিন্ন ক্ষেত্রের বাস্তব সহযোগিতাকে একটি নতুন স্তরে উন্নীত করা; অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর যৌথ নির্মাণের মাধ্যমে জনগণের লাভ এবং সুখের অনুভূতি আরও বৃদ্ধি করা; চীনে আরও উচ্চ-স্তরের উন্মুক্ত নতুন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা; এবং মানবজাতির জন্য অভিন্ন স্বার্থের সমাজ নির্মাণের ধারণা জনপ্রিয় করা।
প্রতিবেদেনে আগামী দশ বছরে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের উন্নয়নের মূল ক্ষেত্র এবং দিকনির্দেশনাও স্পষ্ট করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নীতি যোগাযোগের ক্ষেত্রে বহুপাক্ষিক দিকের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে সহযোগিতাকে এগিয়ে নিতে হবে, বহু-স্তরে আন্তঃসরকারি নীতি বিনিময় ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে এবং নিয়ম ও মানদণ্ডের সংযুক্তি গভীর করতে হবে। এছাড়া নির্মাণকাজের সংযোগের ক্ষেত্রে, জোরালোভাবে স্থল করিডোর নির্মাণ জোরদার করতে হবে; সামুদ্রিক আন্তঃযোগাযোগ ও আন্তঃসংযোগ গভীর করতে হবে; ‘বিমানের রেশমপথ’-এর উচ্চ মানের উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে হবে; সুষ্ঠু বাণিজ্যিক কার্যক্রমের জন্য বৈশ্বিক বাণিজ্যিক সহযোগিতা বাড়াতে হবে; শিক্ষা ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বিষয়ক প্রশিক্ষণ নিতে হবে; সংস্কৃতি, পর্যটন ও ক্রীড়া ক্ষেত্রের সহযোগিতা জোরদার করতে হবে; রাজনৈতিক দল ও বেসরকারি সংস্থার মধ্যে সহযোগিতা সম্প্রসারিত করতে হবে; সংবাদ ও থিঙ্ক ট্যাংকের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে হবে; নতুন ক্ষেত্রের সহযোগিতায় বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের সবুজ উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে হবে; ডিজিটাল ক্ষেত্রে নতুন ফর্ম্যাট গড়ে তুলতে হবে; এবং বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অধীনে সহযোগিতা এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতাকে সক্রিয়ভাবে গভীর করতে হবে। (ওয়াং হাইমান/রহমান)