মা সিওয়ে
2023-11-22 15:30:21

মা সিওয়ে ১৯৯৩ সালের ২৭ জানুয়ারি চীনের সিছুয়ান প্রদেশের ছেংদু শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চীনের মূল-ভূখণ্ডের একজন র‌্যাপার এবং র‌্যাপ গ্রুপ ‘হায়ার ব্রার্দাস’র সদস্য। বিদ্যালয়ে পড়ার সময় তিনি হিপ-হপ সঙ্গীত পছন্দ করা অন্য বন্ধুদের সঙ্গে পরিচয় হন এবং কয়েকটি গান রেকর্ড করেন। বাইশ বছর বয়সী মা সিওয়ে নিজের যোগ্যতা প্রমাণের ওজন্য বাড়ি থেকে পালিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে একজন র‍্যাপারে পরিণত হন। ২০১৪ সালে একক গান ‘লাওশান পর্বতের তাওবাদী’ দিয়ে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে শোবিজ জগতে পা রাখেন।

বন্ধুরা, শুনছিলেন মা সিওয়ে’র গান ‘আগামীকাল’। ২০১৬ সালে মা সিওয়ে ডিজেড, মেলো ও সাই পি’র সঙ্গে ‘হাইয়ার ব্রার্দাস’ নামের র‍্যাপ দলটি গঠন করেন। গ্রুপটি হিপ-হপ উই-মিডিয়ার মাধ্যমে তাদের শিল্পকর্ম ইউটিউবে প্রকাশ করে। জুলাই মাসে গ্রুপের সঙ্গে তিনি ‘হাইয়ার ব্রার্দাস’ নামে রিমিক্স প্রকাশ করেন।

 

২০১৭ সালে মা সিওয়ে’র র‍্যাপ গ্রুপ মার্কিন কন্ট্রো মিউজিক গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে। মার্চ মাসে গ্রুপটি একক ট্র্যাপ গান ‘পান্ডা’ প্রকাশ করে। একই মাসে এ গ্রুপ ‘ফেমাস ডেক্স’র সঙ্গে যৌথ গান ‘মেইড ইন চায়না’ প্রকাশ করে। গানটি সপ্তম আবিলু মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসে সেরা একক র‍্যাপ সঙ্গীত পুরষ্কার জেতে। জুন মাসে মা সিওয়ে র‍্যাপ গ্রুপটির সঙ্গে প্রথম স্টুডিও অ্যালবাম ‘ব্ল্যাক ক্যাব’ প্রকাশ করেন। অ্যালবামটি সপ্তম আবিলু মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসে সেরা জনপ্রিয় র‍্যাপ রেকর্ড পুরস্কার জেতে। 

 

বন্ধুরা, শুনছিলেন মা সিওয়ে’র গান ‘ডার্ক হর্স প্রিন্স’। এটি ছিল ২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারিতে তাঁর প্রথম অ্যালবামের শিরোনামের গান। ‘ডার্ক হর্স প্রিন্স’ ছাড়াও এতে ১৮টি গান অন্তর্ভূক্ত হয়। ‘আমার প্রতিভা একটা কাজে লাগাতে হবে’ এর মধ্যে অন্যতম।

বন্ধুরা, মা সিওয়ে’র ‘ডার্ক হর্স প্রিন্স’ অ্যালবাম তাঁর প্রথম সোলো অ্যালবাম। চীনা ভাষার এ অ্যালবামে ছয় মাস সময় নিয়ে ছেংদু, নিউ ইয়র্ক, লস এঞ্জেলেসে তাঁর ৬ বছরের র‍্যাপ জীবন রেকর্ড করা হয়। তিনি অ্যালবামটি তাঁর মতো সাধারণ কিন্তু অবিরাম প্রচেষ্টা চালানো তরুণ-তরুণীদেরকে দিতে চান। নিজের চেষ্টার মাধ্যমে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা যায় — এমন ধারণা প্রচার করতে চান। আচ্ছা বন্ধুরা, এখন আমি অ্যালবামের অন্য একটি গান আপনাদের শোনাব, কেমন? গানের নাম ‘প্লেবয়’। 

 

২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারিতে মা সিওয়ে তাঁর দ্বিতীয় একক অ্যালবাম ‘ডার্ক হর্স’ প্রকাশ করেন। অ্যালবামে তিনি নিজেকে একটি কালো ঘোড়া হিসাবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলতে চান, তরুণকালে আশা ছিল না, কিন্তু তিনি দুরাগ্রহ ভেঙ্গে একটি কালো ঘোড়ার মতো সাফল্য অর্জন করেছেন। ‘ডার্ক হর্স’ শুধু একটি অ্যালবাম নয়, বরং সঙ্গীতের প্রতি তাঁর আবেগ, ধৈর্য ও ভালোবাসার ফসল। আচ্ছা বন্ধুরা, তাহলে এখন আমি এ অ্যালবাম থেকে দু’টো গান বেছে আপনাদেরকে শোনাব, কেমন?  (প্রেমা/রহমান)