এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ‘আগামী সোনালি ৩০ বছর’ কিভাবে অর্জিত হতে পারে? সিএমজি সম্পাদকীয়
2023-11-19 17:14:50

 

নভেম্বর ১৯: চীনে একটি প্রবাদ আছে, বয়স ৩০ হলে মানসিকতা স্বাধীন হয়। ৩০ মানে পরিপক্ব, তার মানে নতুন যাত্রার সূচনা। চলতি বছর এপেক নেতাদের আনানুষ্ঠানিক সম্মেলন আয়োজনের ৩০ বছর পূর্তি। অনেকে ভাবছেন, এ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে কেমন এশিয়া-প্রশান্ত গড়ে উঠবে এবং এ অঞ্চলের আগামী সোনালি ৩০ বছর কিভাবে তৈরি হবে? যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিস্কোতে অনুষ্ঠিত এপেক নেতাদের ৩০তম অনানুষ্ঠানিক সম্মেলনে সি চিন পিং আহ্বান জানান যে, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের গুণগত মানসম্পন্ন প্রবৃদ্ধির জন্য সব দেশ যৌথ প্রচেষ্টা চালাবে এবং চীনের বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়নের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের আধুনিকায়ন বাস্তবায়নের জন্য নতুন সুযোগ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেয় চীন। এর মাধ্যমেই বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে চীন। সিএমজি সম্পাদকীয় এসব কথা বলেছে।

 

সম্পাদকীয়তে বলা হয়, আগামী ৩০ বছরের কথা ভাবতে গেলে গত ৩০ বছরে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উন্নয়নের দিকে ফিরে তাকানো দরকার। গত ৩০ বছরে এ অঞ্চলে শুল্কের হার ১৭ শতাংশ থেকে নেমে ৫ শতাংশে নেমেছে, যা বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ৭০ শতাংশ অবদান রেখেছে। একশ কোটি মানুষ সাফল্যের সঙ্গে দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছে। এ বিস্ময় সবার চোখে পড়েছে। এ বিস্ময়ের পিছনে রয়েছে দুটি মৌলিক শব্দ। এটি হলো ‘মূল পদ্ধতি’। এপেক আঞ্চলিক গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সহযোগিতামূলক ফোরাম হিসেবে গত ৩০ বছরে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের একীকরণ বেগবান করেছে এবং এ অঞ্চলকে বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কেন্দ্র বানিয়েছে। অন্য শব্দটি হলো যাত্রার প্রথম লক্ষ্য। স্নায়ুযুদ্ধ সবেমাত্র শেষ হওয়া এবং অর্থনীতির বিশ্বায়নের প্রেক্ষাপটে এপেকের লক্ষ্য হলো আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও একীকরণ গভীরতর করার পাশাপাশি এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উন্নয়ন সাধন করা এবং জনকল্যাণ সৃষ্টি করা।

 

৩০ বছর পার হয়েছে। বিশ্বে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিশ্ব অর্থনীতিতে সবচেয়ে প্রাণবন্ত জোনে পরিণত হয়েছে। তবে একই সঙ্গে উন্নয়নের ভারসাম্যহীনতা, ভূ-রাজনীতি এবং জলবায়ু পরিবর্তসহ নানা চ্যালেঞ্জ দেখা যাচ্ছে। এ অবস্থায় চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এবারের এপেক শীর্ষসম্মেলনে ‘যাত্রার লক্ষ্যে অবিচল থেকে সহযোগিতা ও সংহতি  জোরদার করা এবং হাতে হাত রেখে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের গুণগত মানসম্পন্ন প্রবৃদ্ধি বেগবান করার উদ্যোগ উত্থাপন করেছেন। তাঁর এ প্রস্তাব এপেকের অবস্থান এবং যুগের উন্নয়নের ধারার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। যা আঞ্চলিক জনগণের মনের কথা। চীনে গুণগত মানের উন্নয়ন বরাবরই গুরুত্ব পায়। এবারে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে গুণগত মানের উন্নয়ন সাধন করার প্রস্তাব দেওয়া হলো। দুটোর সম্পর্ক কি? এ প্রশ্নের উত্তরে চীনের নান খাই বিশ্ববিদ্যালয়ের এপেক বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক লিউ ছেন ইয়াং বলেন, চীন নিজের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সৃজনশীলতা, সবুজায়ন ও উন্মুক্তকরণসহ গুণগত মান নিয়ে নিজের উপলব্ধির মাধ্যমে এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চায়। যাতে এপেকের অধিকতর দেশ যৌথভাবে উন্নয়ন সাধন করতে পারে।

(রুবি/তৌহিদ/লাবণ্য)